জেনারেল রাইটিং :- "আত্নহত্যা কখনো একজন মানুষের প্রাণ কাড়ে না"
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে চলে আসলাম। আশা করি আজকের এই জেনারেল রাইটিং আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ এই জেনারেল রাইটিংটি সম্পর্কে যখন আমি ভাবতে লাগলাম, তখন অনেক কিছুই মাথার মধ্যে চলে আসল। এই ভাবনাগুলো যদি আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি তাহলে আপনাদেরও ভালো লাগবে। একইসাথে এই কমিউনিটির মধ্য দিয়ে যদি এরকম একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারি তাহলে আমারও অনেকটাই ভালো লাগবে৷ আশা করি এই জেনারেল রাইটিংটি পড়ে আপনারা অনেক কিছুই জানতে পারবেন৷ আজকের এই জেনারেল রাইটিং এর বিষয়টি হলো আত্মহত্যা নিয়ে৷
এখন প্রতিনিয়তই বিভিন্ন জায়গায় আত্মহত্যার কথা শোনা যায়৷ প্রতিনিয়তই আত্মহত্যার হার বেড়েই যাচ্ছে। ছোট থেকে বড় সকলে আত্মহত্যাকে নিজের জীবনে ভালো পথ হিসেবে বেছে নিচ্ছে। তবে এই পথ কখনোই কারো জীবনে এর ভালো কোন কিছু বয়ে আনে না৷ আত্মহত্যা কখনো ভালো কাজ নয় এবং এই আত্মহত্যার মাধ্যমে যদি কোন ধরনের সমস্যার সমাধানকে কেন্দ্র করে করা হয় তাহলে তা বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়৷ কেননা আত্মহত্যা কখনো কোনো কিছুর সমাধান নিয়ে আসতে পারে না এবং আত্মহত্যার ফলে যখন কোন ব্যক্তি মারা যায় তখন সে শুধু একাই মারা যায় না।
হয়তো সে ব্যক্তি এমন একজন ব্যক্তি, যে পরিবারের অনেক আদরের একজন৷ পরিবারের সবাই তাকে অনেক ভালোবাসে। পরিবারের যে কেউ তার কথা শুনলেই তার জন্য কোন কিছু করার চেষ্টা করে৷ আর সে যদি হঠাৎ করে নিজেকে শেষ করে দেয় তাহলে সকলে এতটাই কষ্ট পায় যে তারা জীবন্ত হয়েও যেন মরার মত থাকে৷ তাদের ভিতর এই জীবন কি জিনিস তার কোন চেতনায় থাকে না৷ এই চেতনা থেকেই তাদেরও মনের মধ্যে একটি খারাপ চিন্তা ভাবনা চলে আসতে থাকে যে, আমাদের সকলের প্রিয় মানুষ এবং আমরা তাকে এত বেশি পরিমাণে আদর, যত্ন দিয়ে রাখার পরেও সে নিজেকে শেষ করে দিল৷ তো আমাদেরও এই পৃথিবীতে থেকে আর কি লাভ৷ এরকম কিছু চিন্তা তাদের মানসিকভাবে ধ্বংস করে দেয় ৷
এই আত্মহত্যা করার ক্ষেত্রে যুবকদেরকে বেশি দেখা যায়৷ কারন তাদের মনের মধ্যে এমন কিছু চিন্তা ভাবনা কাজ করতে থাকে যা সে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে সে তার জীবনকে শেষ করার চিন্তাভাবনা নিয়ে নেয়৷ আত্মহত্যা করার অনেকগুলো কারণ রয়েছে৷ তার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম৷ এর মধ্যে প্রথম কারণটি হচ্ছে নিজের বেকারত্ব৷ বেকারত্বের কারণে সে কোনো জায়গায় চলাফেরা করতে পারে না এবং নিজের কাছে খুব একটা বেশি টাকা না থাকার কারণে বিভিন্ন ভালো কাজ অথবা খারাপ কাজের সাথে জড়িত হতে না পেরে সে নিজেকে অনেকটাই তুচ্ছ ভাবে এবং জীবনকে শেষ করে দেয়৷ কিছু কিছু যুবক রয়েছে যারা নেশা দ্রব্য সেবনের জন্য টাকা চাইলে যখন তাদের পরিবার থেকে সেই টাকা দিতে নিষেধ করে দেওয়া হয়, তখন তাদের মানসিকতা বিপর্যস্ত হয়ে যায় এবং এর কারণে আত্মহত্যা করার চিন্তা মাথার মধ্যে চলে আসে৷
এর মধ্যে আরেকটি কারণ হলো সে যদি কাউকে পছন্দ করে এবং তাকে যদি সে না পায় তখনও তার মানসিকতার অবস্থার অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যায়৷ এর ফলে সে আত্মহত্যার চিন্তার করে। হয়তো সে ভাবতে থাকে যে, তার কোন ধরনের সমস্যা থাকার কারণে তাকে সে পছন্দ করে না৷ তাই তাকে ছেড়ে চলে গিয়েছে৷ এরকম কিছু চিন্তা তার মাথার মধ্যে চলে আসে এবং এই চিন্তা থেকে তার মানসিকভাবে বিপর্যস্ততা আরো অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়ে যেতে থাকে৷ একইসাথে পরিবারের বিভিন্ন ধরনের চাপের কারণেও তার মানসিক অবস্থার বিপর্যয় ঘটে৷ ফলে সে পরিবার থেকেও কিছু পায় না৷ একইসাথে বাইরে থেকেও কিছু কুমন্ত্রণা পেয়ে তার নিজের জীবনে কোন ধরনের সিদ্ধান্তই নিতে পারে না। তাকে যেভাবে খারাপ মানুষরা পরিচালনা করে সেভাবেই সে পরিচালিত হতে হতে একটা সময় সে বুঝতে পারে যে তার এই জীবনের আর কোন মূল্য নেই এবং সে নিজেকে শেষ করে দেয়৷
এবার সে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার পরে সে ভালোভাবে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। তবে যখন একটি পরিবার থেকে একজন মানুষ চলে যায়, সেই মানুষটিকে তারা প্রতিনিয়ত মনে করতে থাকে৷ তার সকল কাজকর্মগুলো তাদের নিজের মনের মধ্যে অনেকটা কষ্ট দিতে থাকে৷ তারা এতটাই কষ্ট পেতে থাকে যে এই জীবনকে আর জীবনে মনে করো না৷ এই জীবন্ত অবস্থায় থেকেও তারা যেন মৃত হয়ে রয়েছে৷ আত্মহত্যার কারণে শুধু একজন মানুষের প্রাণ চলে যায় তা কিন্তু একেবারে নয়৷ সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কষ্ট পেয়ে থাকে তার পিতা-মাতা৷ তার পিতা-মাতা এতদিন ধরে তাকে এত কষ্ট করে লালন পালন করে যেভাবে বড় করে তুলেছে, সে হঠাৎ করে যদি পরিবার থেকে চলে যায় তখন পিতা-মাতারা এতটাই ভেঙে পড়েন যে তারা কোন কিছুই করতে পারেন না৷ এমন অনেক ঘটনা আছে যে, ছেলে মারা গিয়েছে, তারপর সেই কথা শুনে অনেক বাবা মাও মারা গিয়েছেন। এরকম অনেক ঘটনা আমরা খবরে দেখছি৷ তাই আত্মহত্যা কখনো একজন মানুষের প্রাণ কাড়ে না৷
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
https://twitter.com/bijoy1__2024_SB/status/1763391208838312389?t=v4zy_Sbervc9Rq3X1Qq_mw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিদিন আপনার সাপোর্ট পেয়ে আমি অনেক উপকৃত হই৷ একইসাথে এর ফলে আমি অনেক খুশিও হই৷
আসলে আত্মহত্যা একজন মানুষের জীবন কেড়ে নেয় না। তার সাথে কেড়ে নেয় আরো অনেকগুলো মানুষের প্রাণ। যারা তাকেই অনেক বেশি ভালোবাসতো। তারাও জীবিত থেকেও মরার মত থাকে। একজন মানুষ মনে করে, সে যদি আত্মহত্যা করে তাহলে তার জীবনের সব দুঃখ কষ্ট সব কিছুই চলে যাবে। এবং কি অন্যদেরকেও সে শান্তিতে থাকতে দেবে। সে যদি না থাকে তাহলে সবাই ভালো থাকবে। অনেক কিছুই চিন্তা ভাবনা করে একজন মানুষ আত্মহত্যা করে। কিন্তু এটা এক ধরনের বোকামি বললেই চলে। কারণ আত্মহত্যা আসলেই কোন সমস্যার সমাধান হয় না। এর ফলে তার জীবনটা যেমন চলে যায়, তেমনি অন্যদের প্রাণটাও যেন চলে যায়। তারা সারা জীবন মরার মতই বেঁচে থাকতে।
এই আত্মহত্যা কখনো একজন মানুষের প্রাণ কাড়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর ফলে অন্যান্য জীবিত হয়ে মৃতের মতো কাটিয়ে দেয়।
আসলে এই ধরনের আত্মহত্যা মূলক কর্মকান্ড বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে। বিশেষ করে ইয়াং ছেলেমেয়েদের এই আত্মহত্যা করার প্রবণতা বেশি । যেটা পরিবারের জন্য কষ্টের এবং সারা জীবনের জন্য দুঃখের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় । মা-বাবার অনেক স্বপ্ন থাকে সন্তানকে নিয়ে ।সেই সন্তান দুর্ভাগ্যবত এরকম খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলে পরিবারসহ বেঁচে থাকলেও মৃত্যুবরণ করে।
হুম৷ অনেক সময় পিতামাতা সন্তানের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেন না। এর ফলে তারাও আর বেঁচে থাকতে চান না।
আমাদের এই পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা আত্মহত্যাকে সবকিছুর সমাধান বলে মনে করে গিয়েছে এখনো মনে করে। ছেলেমেয়েরা অল্প বয়সে আত্মহত্যা করে, আবার বড়রাও অনেক সময় আত্মহত্যা পথ বেছে নিয়ে থাকে। কিন্তু আত্মহত্যা করাটা কোন কিছুর সমাধান হতেই পারে না। বরং সবার উচিত এই পথকে না বেছে নেওয়া। মানুষের দুঃখ কষ্টের জীবন অবশ্যই আসবে। কিন্তু এই সময় ভেঙ্গে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে না নিয়ে, ভালোভাবে জীবনটাকে শুরু করে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
একদম সুন্দর কিছু কথা বলেছেন আপনি৷ আত্মহত্যা কখনো কোনো কিছুর সমাধান নিয়ে আসতে পারে না।