ভ্রমণ পোস্ট :- "স্বাধীনতা জাদুঘর" পর্ব - ১১
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে দিয়ে আসলাম ভ্রমণের একটি পোস্ট নিয়ে৷ গত পর্বগুলোতে আমি আপনাদের মাঝে অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন বিষয় শেয়ার করেছি৷ আজকেও ভিন্ন বিষয় শেয়ার করার চেষ্টা করব৷
প্রথমেই বলা যাক ভ্রমণের ফটোগ্রাফি সম্পর্কে৷ এখানে যে ফটোগ্রাফি গুলো আমি আপনার মাঝে এখানে তুলে ধরলাম প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফিগুলোকেই অতিযত্ন সহকারে রাখা হয়েছিল এবং এগুলো যেখানে অবস্থান করছিল সেখানে এই ছবিগুলোকে একটি অন্ধকার ঘরের মধ্যে লাগানো হয়েছিল। এগুলো একটি বক্সের ভিতরে ছিল এবং এই বক্সের ভিতরে আলো দেওয়া হয়েছিল এই ছবিগুলো দেখার জন্য ।
প্রথমে আমি যে জিনিসটা এখানে দেখতে পাই সেখানে ১৯৭১ সালের মার্চ মাস এর রাতে যে নৃসংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছিল সে বিষয়টি এখানে হাইলাইট করে তুলানো হয়েছিল৷ এ বিষয়টি খুবই ভালোভাবে পড়া যাচ্ছিল৷ লাইটের কারণে খুবই ভালো দেখা যাচ্ছিল৷ একই সাথে এখানে এই মানুষদেরকে যেভাবে মারা হয়েছিল সে বিষয়টি এখানে তুলে ধরা হয়েছে৷ যেভাবে সাধারণ মানুষকে অন্যায় ভাবে অত্যাচার করে হত্যা করা হয়েছে৷
যখন হাঁটতে হাঁটতে সামনের দিকে এগোতে থাকি তখন আরো ভয়ংকর কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পাই। ফটোগ্রাফার দিকে তাকিয়ে যেন গায়ের মধ্যে একটি আলাদা শিহরন কাজ করতে থাকে৷ মানুষজনকে যেভাবে রাস্তার মধ্যে মারা হয়েছিল সেখানে মেরে ফেলার দৃশ্যগুলো ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ সে মানুষগুলোকে কবর দেওয়ার মতো কোনো মানুষ ছিল না৷ তারা এখানে কঙ্কাল হয়ে পড়েছিল তাদেরকে দেখার মত কোন মানুষ ছিল না৷ একের উপর আরেকজন ব্যক্তি এখানে একসাথে পড়েছিল৷ চারদিকে শুধু মানুষ এর কাটা মাথা এবং কঙ্কাল দেখা ছিল৷
মানুষ যেদিকে হাঁটছিল সেদিকেই মানুষের মরদেহ দেখা যাচ্ছিল৷ সকলকেই মেরে ফেলা হয়েছে কাউকেই দয়া করা হয়নি৷ যাকে যেখানে তারা পেয়েছে তাকে সেখানে মেরে ফেলেছে৷ যখন এরকম দৃশ্যগুলো সকলের চোখের সামনে ভেসে আসে তখন আমাদেরও অনেকটাই কষ্ট হয়৷
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বড় বড় পর্যায়ের সকল কর্মকর্তাদেরকেও তারা কখনোই দয়া করেনি৷ যাকে যেভাবে পেয়েছে সেখানেই মেরে ফেলেছে। এমন মানুষকে মেরে ফেলার কারণে সকলে অনেক ভয় পেয়ে যায়। যখন মানুষজন এভাবে চারিদিকে মানুষের মানবদেহ দেখতে থাকে তখন মানুষজন একটু ভীত হয়ে যায়৷ তাদের যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে তা দেখে সে সকলের অনেক কষ্ট হয় এবং প্রতিবাদ করতে গিয়েও অনেকে শহীদ হয়ে গিয়েছেন৷
আজকের যে ভ্রমণের পোস্টটি শেয়ার করেছি আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে৷ পরবর্তী পর্বগুলোতে আমি আরো বিস্তারিতভাবে বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব৷
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
মোবাইলের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
মডেল | এ ১৩ |
ক্যাপচার | @bijoy1 |
অবস্থান | নিজ বাড়ি |
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অসম্ভব ভালোবাসা রইল আমাকে সবসময় সাপোর্ট করার জন্য৷
https://twitter.com/bijoy1__2023_SB/status/1736212195636339174?t=vIRX5nUlG2NaaCRHoATIJg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার মুল্যবান সাপোর্ট পেতে আমার অনেক ভালো লাগে।
অসাধারণ একটি ব্লগ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই।স্বাধীনতা জাদুঘরে ঘুরে আপনি ইতিহাস গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যেটা অসাধারণ একটি বিষয় ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মন্তব্য তুলে ধরার জন্য। অনেক খুশি হলাম।
স্বাধীনতা জাদুঘরে গেলে হয়তো কিছুটা ধারনা হবে যে যুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অবস্থা কেমন ছিল। ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে শরীর কেমন যেন কাটা দিয়ে উঠে। জাদুঘরে ফটোগ্রাফি এগুলো যুগের পর যুগ স্বাক্ষী হয়ে রবে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য তুলে ধরার জন্য। আপনার এই মন্তব্য পড়ে আমি অনেক খুশি হলাম