গল্প:- "শৈশবের স্মৃতি" পর্ব - ০৩

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago (edited)

আমার বাংলা ব্লগ

আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।


pexels-safari-consoler-19263417.jpg

সোর্স

আজকে আবারো অনেকদিন পরে এই গল্পের আরো একটি পর্ব নিয়ে আমি আপনাদের মাঝে চলে আসলাম৷ আশা করি আজকের পর্বটি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ হবে৷ গত পর্বগুলোর মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে অনেকগুলো ভিন্ন ভিন্ন বিষয় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি৷ আজকেও এই গল্পের ভিন্ন একটি বিষয় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব৷

একদিন স্বাভাবিকভাবে সেই ছেলে স্কুলে প্রবেশ করলো। প্রতিদিনের মতো ক্লাস চলছিল৷ শিক্ষকরা ক্লাসে প্রবেশ করছিলেন৷ ক্লাস শেষ করে আবার সেই ক্লাস থেকে চলে যাচ্ছিলেন৷ ছাত্রছাত্রীরাও শিক্ষকদের কাছ থেকে সব কিছু বুঝে নিল৷ এভাবে ক্লাস শেষ হওয়ার পর শিক্ষকরা চলে যেতে থাকে।কিছুক্ষণ সময় ছাত্র ছাত্রীরা বসে গল্প করছিল৷

যখন দুপুরে খাবার জন্য বিরতি দেওয়া হল তখন ছাত্রছাত্রীরা সকলে মিলে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে গেল৷ তারা সকলে মিলে অনেক মজা করছিল। তাদের স্কুলের সামনে একটি পুকুর ছিল৷ সেখানে সব সময় পানি থাকতো এবং যখন কিছুদিন পূর্বে এই পুকুরটির পানি খালি করা হলো এবং এটি শুকিয়ে গেলে৷ তখন সেখানে ছাত্রছাত্রীরা নেমে অনেক মজা করছিল।

তার পাশে একটি তুলা গাছ ছিল৷ সে তুলা গাছের ফুলগুলো নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা অনেক খেলাধুলা করত৷ তারা সকলে মিলে এই ফুলগুলো কুড়িয়ে আনতো এবং সে ফুলগুলো নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মজা করত। যে তুলাগুলো এদিক সেদিক উড়তে থাকত তারা সে তুলা ধরার চেষ্টা করত৷ এভাবেই তাদের মজার খেলা চলতে থাকে৷

এবার একদিন খেলতে খেলতে যেই শিশুটি এই গল্পের মূল চরিত্রে রয়েছে সেই শিশুর একজন ভালো বন্ধু রয়েছে। সে ওই পুকুরের একদম উপরে পাড়ে দাঁড়িয়ে ছিল৷ মুল শিশুটিকে অন্য একজন শিশু দৌড়াচ্ছিল। যখন সে দৌড়ে এদিক সেদিক যাচ্ছিল তখন ওই বন্ধুটিকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায় এবং তাকে গিয়ে ধাক্কা মেরে দেয় এবং সে নিচে পড়ে যায়৷ সে নিচে পড়ার পর সে অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে তখন ক্লাসের সময় হয়ে যায়৷

যাকে ওই শুকনো পুকুরের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে তার বাড়ি স্কুলের পাশে ছিল৷ তখন সে বাড়িতে চলে গেলে এবং তার মা-বাবাকে নিয়ে আসলো প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দেওয়ার জন্য৷ তখন শিশুটিকে অফিসে ডেকে আনা হলো৷ যখন তাকে সবকিছু জিজ্ঞাসা করা হলো তখন সে একদমই হতবাক হয়ে গেল৷ সে বুঝতেই পারেনি যে কিভাবে সে ধাক্কা দিয়ে দিয়েছে৷ সে বর্ণনা করছে যে, তখন সে পিছন থেকে দৌড়ে এসে দাঁড়াতে গিয়ে ধাক্কা লেগে যায়। তো এভাবেই সকলে এই বিষয়টি বুঝতে পারে এবং তাকে ক্ষমা করে দেয়৷

তারপর তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব বাড়তে থাকে। যখন তার সাথে অন্য কারো ঝগড়া হতো তখন ওই বন্ধু এসে তাকে সাহায্য করত। এভাবে তাদের বন্ধুত্ব অতি বেশি পরিমাণে গভীর হতে থাকে৷ সব সময় তারা একসাথে হাঁটাচলা করতে থাকে৷ ক্লাসরুমে একসাথে বসতে থাকে৷ যতক্ষণ পর্যন্ত স্কুল থাকে তারা দুজন একসাথে থাকে৷ এই তাদের একসাথে থাকা দেখে শিক্ষকরা অবাক হয়ে যায়৷ আজকে এখানে এই গল্পেত পর্ব শেষ করলাম৷

আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।

images (2).png

BIJOY1

images (2).png

আমার সম্পর্কে কিছু কথা

images (2).png

1687576627957.jpg

আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।

images (2).png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 6 months ago 

অসম্ভব ভালোবাসা রইল আমাকে সবসময় সাপোর্ট করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

আপনার মুল্যবান সাপোর্ট পেতে আমার অনেক ভালো লাগে৷

 6 months ago 

ভালো লাগলো গল্পের তৃতীয় পর্ব পড়ে। আসলে বাচ্চারা এমনি, কোন কিছু হলেই নালিশ করবে। আর এদিক থেকে যে বাচ্চাটি ধাক্কা দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে, সে বাচ্চাটি দৌড়াতে গিয়ে ধাক্কা লেগে গেছে। সেক্ষেত্রে সে বাচ্চাটির কোন দোষ নেই। যাইহোক সর্বাপরি সবকিছু সুন্দর মিটমাট হল এবং তাদের মধ্যে গভীর বন্ধুত্ব হল যেন ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

হুম। ঠিক বলেছেন। বাচ্চারা এমনই৷

 6 months ago 

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্কুল জীবনের বন্ধুত্ব বেশ মজবুত হয়। যাইহোক স্কুল জীবনে প্রতিটি মানুষ কমবেশি অনেক মজা করে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করে, হৈ হুল্লোড় করে,যেগুলো সারাজীবন মনে থাকে। যাইহোক নালিশ দেওয়াতে কিন্তু ভালোই হলো। একে অপরের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সৃষ্টি হলো। আপনার পোস্টটি পড়ে আমার শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গেল। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 6 months ago 

আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।

 6 months ago 

শৈশবের স্মৃতি ,গল্পটির প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্বটি পড়া হয়নি। তবে তৃতীয় পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। আসলে সকলেই তো ছোট মানুষ তাই খেলতে গিয়ে হয়তো ধাক্কা লেগে গিয়েছে আর একজনের গায়ে আর অন্যজন তো পড়ে গেলে
কান্নাকাটি করবেই । যাইহোক, পরবর্তীতে সমস্ত ঘটনা শোনার পর তাদের ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেল এটাই ভালো লাগলো।

 6 months ago 

আপনার মুল্যবান মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57893.29
ETH 3130.56
USDT 1.00
SBD 2.44