আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।

সোর্স

আজকে এই গল্পের আরেকটি পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসলাম৷ এই গল্পের পূর্ববর্তী পর্বগুলো আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লেগেছিল৷ তাই এর পরবর্তী পর্ব আজকে আমি তুলে ধরলাম৷ এই পর্বের মধ্যে একটু ভিন্ন ধরনের একটি বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব৷

ওই শিশুটির স্কুল তার বাড়ি থেকে অনেকটাই কাছে ছিল। তাই সে সব সময় তার স্কুলে হেঁটে হেঁটে যেতে এবং তার বন্ধুরা মিলে অনেক সময় অনেক জায়গা দিয়ে হেটে যেত৷ তাদের স্কুল কাছে হওয়ায় তারা অল্প সময়ে যাওয়ার জন্য জমি দিয়ে হাঁটা শুরু করতো৷ যখন সেখানে অনেক মানুষ একই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকতো তখন সেই জমিতে খুবই সুন্দরভাবে একটি হাঁটার জায়গা হয়ে যেত৷ হাঁটার রাস্তার মতো হয়ে যেত।

তারা বন্ধুরা মিলে যখন সকালে স্কুলে যেত তখন সবাই একসাথে মিলে স্কুলে যেতে থাকতো৷ এভাবে তারা প্রতিদিন স্কুলে যাওয়া। একইসাথে তারা যখন জমি দিয়ে হাটা বন্ধ করে দিয়েছে তখন তারা রাস্তা দিয়ে হাঁটা শুরু করে। কারণ তখন জমিতে ধান চাষ করা হয়েছিল। তাই ভয়ে সে জমি দিয়ে কেউ হাটত না৷ কারন সেখানে অনেক ধরনের ভয়ানক পশুপাখি থাকতে শোনা যেত।

এই কারণে তারা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকতো। একদিন তার বন্ধুরা মিলে হাটছিল৷ সেখানে একজন গাড়ির ড্রাইভার তাদেরকে কিছুদিন তার গাড়িতে উঠার জন্য বলে তাদের স্কুল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার জন্য। এভাবে কিছুদিন চলতে থাকে। যখন ওই ব্যক্তি তাদেরকে স্কুলে পৌঁছে দিত স্কুল থেকে মাঝে মাঝে দেখা হলে সে নিয়ে আসত৷ টাকা নিতো না৷ তখন শিশুরা খুবই তাকে অনেক ভালো মনে করতে থাকে৷

মাঝে মাঝে শিশুরা তাকে দেখলে নিজ থেকে উঠে যেত। ওই ব্যক্তিটিকে আর কোন কিছুই বলার প্রয়োজন হতো না৷ একদিন তাদেরকে তাদের শিক্ষক শিক্ষিকারা এই বিষয়টি করতে দেখে নেয় এবং তাদেরকে নিষেধ করে দেয় এই গাড়িতে ওঠার জন্য৷ তখন তারা আর এই গাড়িতে উঠতে চায় না৷ কয়েকদিন তারা অন্য রাস্তা দিয়ে বাড়িতে চলে যেত৷ এভাবে কিছুদিন যেতে থাকলে ড্রাইভার তাদেরকে দেখতে পায় এবং জিজ্ঞাসা করে তাদের স্কুল বন্ধ কিনা৷ তখন তারা বলে না, তাদের স্কুল বন্ধ দেয়নি৷

এভাবে ওই ড্রাইভার আবার তাদের সাথে ভাব করে নিতে থাকে এবং তাদেরকে গাড়িতে করে নিয়ে অল্প কিছু পথ পার করে দেয়। এভাবে আরও কয়েকদিন চলে গেল৷ একদিন যখন রাস্তার মধ্যে কেউ নেই, একেবারে দুপুরবেলা স্কুল ছুটি হয়ে গিয়েছিল৷ সকলে দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে চলে গিয়েছিল৷ তখন ঐ ব্যক্তিটি সুযোগ বুঝে তার গাড়িতে উঠে তাদেরকে উঠিয়ে নেয় এবং শিশুদের বাড়ির রাস্তা সামনে যখন তারা চলে আসে তখন তারা বলে তাদেরকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য। তখন সে না শোনার ভান করে তার গাড়ি আরো দ্রুত চালাতে থাকে।

তখন শিশুরা বলতে থাকে তার আর যাবে না৷ তাদেরকে নামিয়ে দেওয়ার জন্য। তখন ওই ব্যক্তি গাড়িকে আরো দ্রুত চালাতে থাকে৷ যখন মোড় আসে, একটুখানি স্লো হয় তখন শিক্ষার্থীরা সেই গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে নেমে যায় এবং অনেকে আহত হয়৷ এভাবে তারা এখান থেকে চলে যায়৷ যারা আহত হয়েছিল তাদের সকলে বাড়িতে চলে আসে এবং তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়৷ আর এভাবে আজকের এই প্রর্ব এখানে শেষ হয়ে যায়৷

আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।