আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করবেন।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে প্রকাশ করব একটি নাটক এর রিভিউ। এই নাটকের নাম হলো বেয়াই আমার ক্রাশ

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি}

নাটকের নাম	বেয়াই আমার ক্রাশ
পরিচালক	জহিরুল ইসলাম সোহেল
লেখক	আদিফ হাসান
অভিনয়	জাহিদ আলভি, তাবাসসুম ছোয়া
ভাষা	বাংলা
দৈর্ঘ্য	৪৬ মিনিট ২২ সেকেন্ড
মুক্তির তারিখ	১৯ ডিসেম্বর ২০২৩

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি}

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি}

প্রথমে নাটকের নামটি দেখে হয়তো বুঝে গিয়েছেন নাটকটি কেমন হতে চলেছে৷ আমিও যখন প্রথম এই নাটকের নামটি দেখি তখন এই নাটকটি দেখার প্রতি আমি অনেক আগ্রহী হই এবং পরে যখন আমি পুরো নাটকটি দেখে নিই তখন অনেক ভালো লাগলো৷ প্রথমেই নাটকের মধ্যে দেখা যায় যে নায়িকাদের বাড়িতে নায়কের অর্থাৎ পাত্র পক্ষরা আসে বিয়ে করার জন্য৷ তখন সেখানে গেটের সামনে সকলকে দাঁড় করা হয়েছিল এবং সেখানে সব জায়গায় যেরকম মজা হয়ে থাকে, সেরকমই মজা হচ্ছিল৷ সেখানে পাত্রের শালীরা তার থেকে টাকা চাচ্ছিল এবং সেখানে পাত্রের ভাইও ছিল৷ এই পাত্রের ভাই ও পাত্রীর বোন ছিল মুল চরিত্র৷ তাদের দুজনের চরিত্রকে এখানে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ প্রথমে পাত্রীপক্ষ স্লোগান দিচ্ছিল টাকা ছাড়া তাদেরকে ভিতরে ঢুকতে দেবে না।

তখন সেখান থেকে পাত্রপক্ষরাও স্লোগান দিচ্ছিল যে, তারা টাকা দিবে না এবং ভিতরে যাবে না। এভাবে কিছুক্ষণ চলতে চলতে তাদের মজা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকল। এরপর যখন নায়ক ও তার বন্ধুবান্ধবরা বলছিল যে, যখন টাকা দিয়ে বিয়ে করতে হবে, তখন বিয়ে করা লাগবে না৷ তখন তারা বলে, তারা চলে যাবে। তখন সেখানে পাত্র যেতে চাইছিল না৷ সে তার ভাইকে বলছিল তারা যে টাকা দাবি করছে সবগুলো টাকা দিয়ে দেওয়ার জন্য৷ তখন নায়ক বলে তারা এত অল্প পরিমাণে টাকা দাবি করেছে। তাহলে দিয়ে দেওয়াই যাক৷

তখন সে একটি টাকার বান্ডেল বের করে নায়িকার হাতে তুলে দেয়৷ তখন নায়িকা যখন ভালোভাবে সেই টাকাগুলো দেখে তখন সে দেখতে পায় দুই পাশে শুধু দুইটি টাকা দেওয়া হয়েছে, মাঝখানে শুধু টাকার নামে কাগজ দেওয়া হয়েছিল৷ তখন সে আরো অনেকটাই রাগান্বিত হয়ে যায়৷ তখন নায়ক বলতে থাকে যে, টাকা দিয়ে দিয়েছি এবার তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য৷ তখন নায়িকা তাকে মরিচ দিয়ে বলে খাওয়ার জন্য৷ তখন নায়কের বন্ধু-বান্ধবরা এবং তার ভাই বলতে থাকে যে মরিচগুলো না খেতে৷ তখন সে সাহস করে মরিচগুলো খেয়ে ফেলে এবং এভাবেই সেই গেটের অনুষ্ঠানটি শেষ হয় এবং তারা সকলে ভিতরে চলে আসে৷

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি}

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি}

এবার পাত্রপক্ষ এবং পাত্রীপক্ষ সবাই মিলে একসাথে খাওয়ার জন্য বসে। তখন তারা সবাই একসাথে বসে বিভিন্ন ধরনের মজা করতে থাকে। মজা করতে করতে তাদের খাবার চলে আসলো৷ খাবার চলে আসার পর নায়িকার বোন তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে৷ তখন তারা একে অপরকে ধাঁধা বলতে থাকে৷ একে অপরকে এভাবে ধাঁধা বললে বলতে বলতে অনেক সময় কেটে যায় এবং পাত্রপক্ষও তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের ধাঁধার উত্তর দেওয়ার জন্য বলছিল৷ তখন সকলে সেখানে বসে বসে হাসছিল এবং ছেলে মেয়েদের এরকম মজা দেখে সকলে অনেক মজা পাচ্ছিল। তারা সকলে একসাথে বসে সেখানে যেভাবে মজা করছিল আমরাও অনেক মজা পেলাম৷

এরপর খাবার আসার পরে যখন নায়ক খাবারের মধ্যে হাত দিবে তখনই নায়িকা তার হাত ধরে নিল এবং বলল কত বছর ধরে খাবার খান নাই, নাকি খাবার দেখলে লোভ সামলাতে পারেন না৷ তখন নায়িকা বলে এখানে যে খাবারগুলো রয়েছে সেই খাবারগুলো খাওয়ার জন্য তাকে পরীক্ষা দিতে হবে৷ খাবারের মধ্যবর্তী স্থানে একটি গ্লাসের মধ্যে পানি দিয়ে উল্টো করে রাখা হয়েছিল৷ তখন নায়িকা তাদেরকে বলে এই ক্লাসটি সোজা করে নিয়ে নেওয়ার জন্য এবং যাতে করে এক ফোঁটা পানিও খাবারের মধ্যে না পড়ে৷ যদি খাবার এর মধ্যে পানি পড়ে যায়, তাহলে খাবার আর খেতে হবে না৷ তখন নায়ক ও তার ভাই একে অপরের দিকে তাকাতে থাকে এবং হাসতে থাকে৷ সকলে যখন হাসছিল তখন নায়িকা ও তার বন্ধুরা অনেকটাই বিব্রত হয়ে যায়৷ এরপর নায়ককে তার ভাই কানে কানে সেই বুদ্ধি দিয়ে দেয়, যে বুদ্ধি নায়কের মাথার মধ্যে ঘুরছিল।

যখন তাকে তার ভাই বুদ্ধি দিচ্ছিল, তখন নায়ক বলতে থাকে যে তুমি আমার বুদ্ধি আমাকে বলছ। তখন তারা একটি নতুন ১,০০০ টাকার নোট নিল এবং সেটিকে অনেক সতর্কতার সাথে গ্লাসের নিচে দিল৷ এরপর ওই গ্লাসকে উপরের দিকে উঠালো৷ যখন নায়ক গ্লাসটা সেখান থেকে উঠিয়ে নিল তারা সকলে অনেকটাই খুশি হয়ে গেল এবং পাত্রীপক্ষ অনেকটা দুঃখী হয়ে গেল৷ তখন গ্লাসে থাকা পানি তার ভাই তাকে খেতে নিষেধ করল। তবুও সে এই পানি পান করল৷ নায়ক বলে এই পানি পান করলে কি হবে৷ এরপর যখন যখন নায়ক সেই পানি পান করে নিল তখন সেটি এতটাই তিক্ত ছিল যে, সে মুখ থেকে আবার এগুলো বের করে ফেলে দিল৷ তখন নায়িকা এবং অন্যান্য মানুষগুলো অনেকটাই হাসাহাসি করছিল৷ তারা একে অপরকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলছিল৷ এরপর তাদের খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হয়ে গেল৷

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি}

এরপর পাত্র এবং পাত্রীর বিয়ে হওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। তারা দুজনে সেখানে এসে বসে এবং তাদের দুই পরিবারের সকল মানুষও সেখানে আসে৷ তখন পাত্রপক্ষ একজন কাজী সাহেব নিয়ে আসেন এবং পাত্রীপক্ষেরও একজন কাজী সেখানে এসেছিল। তখন ছেলের বাবা বলছিল যে তাদের কাজী দ্বারাই বিয়ে পড়াতে হবে৷ অন্যদিকে মেয়ের ভাইও বলছিল যে তাদের কাজী দিয়েই বিয়ে পড়াতে হবে৷ তা না হলে বিয়ে কোনমতেই সম্পন্ন হবে না৷ তখন তারা দুই পক্ষই দুই কাজীকে বিয়ে করার জন্য বলছিল৷ তখন কাজী দুজনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা হতে থাকে৷

এরপর তাদের দুজনের বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে বলতে যখন একসময় তাদের মধ্যে কথার মিল হলো না, তখন তারা দুজনেই বলে যে তারা বিয়ে পড়াতে পারবে না৷ তারা সেখান থেকে চলে যাবে৷ এরপর এভাবে চলতে চলতে ওই সময়ে আর তাদের বিয়ে সম্পন্ন হলো না এবার তারা অনেকটাই চিন্তিত হয়ে যায়৷ দুজনে গিয়ে ঘরে গিয়ে বসে থাকে এবং তারা অনেকটাই দুঃখ পাচ্ছিল৷ কারণ তাদের এখনো পর্যন্ত বিয়েই হয়নি ৷ তখন নায়িকা ও নায়কসহ সকলে বিভিন্ন ধরনের মজা করছিল৷ এভাবে মজা করতে করতে তারা অনেকটা মজা করছিল। সকলে মিলে অনেক আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করছিল৷ শেষ পর্যন্ত পাত্র এবং পাত্রীর বিয়ে হল এবং তারা দুজনেই ঘরে গিয়ে বসলো৷

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি}

এরপর নায়কের বাবা তাকে অনেক বকাবকি করতে থাকে৷ কারণ নায়কের ভাইয়ের ঘরের চাবি নায়কের কাছে ছিল৷ সেই ঘরে তালা বন্ধ থাকার কারণে তারা কোন মতেই ঘরে প্রবেশ করতে পারছিল না৷ সে বাইরে তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে অনেকটা রাত করে ফেলেছিল এবং পরে যখন সে ঘরে প্রবেশ করে তখন সে জিজ্ঞাসা করতে থাকে তারা সকলে মিলে এখানে বসে আছে কেন৷ তখন তার বাবা তাকে অনেক বকাবকি করতে থাকে৷ চাবি নিয়ে রাখলে কিভাবে তারা ঘরে প্রবেশ করবে৷ এরপর তার ভাইও তাকে অনেক বকাবকি করার পরে সে ঘরের চাবি দিয়ে দিল। তারা সকলে ঘরে প্রবেশ করল৷

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি}

এরপর একদিন নায়কের ভাবির চোখে একটি ময়লা পড়েছিল৷ তখন সে ময়লা পরিষ্কার করার জন্য নায়ক তার চোখের মধ্যে দেখছিল এবং পরিষ্কার করছিল৷ তখনই সেখানে নায়িকা চলে আসে এবং সে এসে যা দেখে সে বিশ্বাস করতে পারল না। সে বলতে থাকে তারা দুজনে এসব কাজ শুরু করে দিয়েছে৷ তখন তার বোন বলে একটা থাপ্পড় দিব। তখন নায়কও বলতে থাকে যে তার চোখে ময়লা পড়েছে তাই সে ময়লা পরিষ্কার করছিল৷ তার পূর্বেই নায়ক তার ভাবিকে নায়িকা সম্পর্কে অনেক কথাই বলছিল এবং সে বিভিন্ন ধরনের মন গড়া কথাও নায়িকার বোনকে বলছিল৷ এরপর নায়িকা যখন এই বিষয়টি দেখতে পারে এবং বলতে থাকে তখন তার বোন তাকে অনেক বকাবকি করতে থাকে এবং বলতে থাকে যে সে শুধুমাত্র তার চোখের ময়লা পরিষ্কার করছিল৷ অন্য কিছুই করছিল না৷

এরপর সে বলতে থাকে তার সম্পর্কে সে সবকিছুই জানে৷ সে নায়ককে পছন্দ করে, এমনকি নায়ককে ভালোবাসে এবং নায়ককে বিয়ে করতে চায়৷ সবগুলো বিষয় সে বলতে থাকে৷ যখন এসব কথা নায়িকা শুনে তখন সে অনেকটাই রাগান্বিত হয়ে যায় এবং বলতে থাকে কে এসব কথা তাকে বলেছে৷ তখন সে বলে নায়ক তাকে সবগুলো কথা বলে দিয়েছে৷ তখন নায়িকা নায়কের সাথে দেখা করে৷ অনেক রাগান্বিত হয়ে সে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে৷ যখন তাদের মধ্যে ভালোবাসা হয়ে গিয়েছে এরকম বিষয়টি তারা দুজনে উপলব্ধি করতে পারে তখনই সেখানে নায়িকার ভাবি আসে। তিনি এই বিষয়টি দেখে নেয় এবং সে সেখান থেকে চলে যায়৷ সাথে সাথে তিনি নায়িকার ভাইকে এই বিষয় জানিয়ে দেয় এবং নায়িকার ভাই বলে যে তিনি এই বিষয়টি নিয়ে সকলের সাথে কথা বলবেন৷

^{মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি}

পরবর্তী সময়ে নায়িকার ভাই যখন এই বিষয়গুলো নিয়ে কথাবার্তা বলছিল তখন সেখানে নায়িকাও ছিল এবং নায়িকার বোন ও তার স্বামীও সেখানে ছিল৷ যখন তারা সকলে মিলে এই বিষয় নিতে কথাবার্তা বলছিল তখন নায়ক সেখানে ছিল না৷ সে অনেকক্ষণ পরে সেখানে আসলো এবং তার পূর্বে যখন নায়িকার ভাই বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা নায়কের সম্পর্কে বলছিল৷ তখন নায়কের ভাই আর চুপ থাকতে পারলো না। তখন নায়কের ভাই বলতে থাকে নায়ক অনেক বড় একটি অফিসে চাকরি করে এবং যদি নায়িকার সাথে তার বিয়ে হয় তাহলে সে তাকে অনেক সুখে থাকতে পারবে৷

তবে নায়িকার ভাই কোনমতেই এই কথা বিশ্বাস করতে পারেনা এবং পরবর্তী সময় যখন নায়কের ভাবিও বলে যে নায়ক অনেক ভালো ছেলে এবং তার সাথে যদি নায়িকার বিয়ে হয় তাহলে তারা দুই বোন একসাথে একই বাড়িতে থাকতে পারবে৷ এই কথা বলতে বলতে সেখানে নায়ক চলে আসে এবং সকলে বিয়ের জন্য রাজি হয়ে যায়৷ এরপর তাদের দুই পক্ষেরই আবার দুজন কাজী সাহেব আসে৷ পূর্ববর্তী সময়ের মতো এবারও একই ঘটনা ঘটে এবং তারা দুজনে সেখান থেকে চলে যায়৷ এভাবে সুন্দর নাটকটি শেষ হয়ে যায়৷

আমার ব্যক্তিগত মতামত

প্রথমে আমি যখন এই নাটকের নামটি দেখেছিলাম তখন আমি বুঝে নিয়েছিলাম যে এই নাটকটি অনেকটাই সুন্দর হবে৷ পরে যখন এই নাটকটি পুরোপুরি দেখে নিলাম তখন বুঝতে পারলাম যে এই নাটকটি অনেক সুন্দর হয়েছে৷ প্রথমে যখন এই নাটকের মধ্যে তারা সকলে বিভিন্ন ধরনের ঠাট্টা করছিল তা দেখে অনেকটা মজা পেলাম৷ পরবর্তী সময়ে যখন তারা সকলে একসাথে খেতে বসলো এবং সেখানে বিভিন্ন ধরনের মজা করলো সেই বিষয়টিও আমাদেরকে অনেকটাই মজা দিয়েছে৷ পরবর্তীতে যখন বিয়ে হওয়ার সময় কাজী সাহেবরা সেখানে তাদের বিয়ে পড়ালো না, তখনও অনেক মজা পেলাম৷ এর পরবর্তীতে যখন নায়িকা এবং নায়কের সম্পর্ক প্রথমে নায়িকার ভাই মেনে নিতে চাচ্ছিল না, এরপর নায়কের ভাই সবগুলো বিষয় যখন খুব ভালোভাবে বলে নায়িকার বোনও এই বিষয়ে সমর্থন দিতে থাকে, তখন তাদের সম্পর্ক সকলেই মেনে নেয় এবং তাদের বিয়ের জন্য সকলেই রাজি হয়ে যায়৷ পরবর্তী সময়ে একই ঘটনা আবার ঘটে যায়৷ তাদের দুই পক্ষের দুজন কাজী এসে তখন বিয়ে পড়াতে পারল না এবং এই নাটকটি খুব সুন্দরভাবে শেষ হয়ে যায়

নাটকের লিংক ↓ ↓ ↓