কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-০৮] ~ " কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন এ পৌছানোর মুহুর্ত "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের অষ্টম পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে একটি ভ্রমণের পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম৷ আমি একের পর এক ভ্রমণের পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে আসছি৷ আজকে আমি যখন চট্টগ্রাম থেকে বের হওয়ার মুহূর্তটি উপভোগ করেছি সেই মুহূর্তে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব। গত পর্বে আপনারা অনেকেই দেখেছেন যে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের যে পথ রয়েছে সেখানকার কিছু সৌন্দর্য আমি আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আজকেও সেরকম কিছু সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব। এখানে আমরা যে সময়গুলো অতিবাহিত করেছি তা আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করব। যতই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলাম শুধুমাত্র সবুজ আর সবুজ দেখা যাচ্ছিল। চারিদিকে শুধুমাত্র সবুজ জমি দেখা যাচ্ছিল এবং সেখানে ফসল করার জন্য সকলে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
যতই সামনের দিকে এগোতে থাকলাম ততই ফসলি জমিতে মানুষজনের কাজ করা দেখতে পেলাম। সেখানে যতদূর পর্যন্ত আমাদের চোখ যায় তত দূর পর্যন্ত শুধু মাত্র ফসল করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। একের পর এক যখন এই সুন্দর সুন্দর জায়গাগুলো দেখতে লাগলাম তখন নিজেদের কাছে অনেকটাই ভালো লাগছিল। আসলে আমাদের এখানকার এলাকায় তেমন একটা ফসলি জমি এরকম ভাবে দেখা যায় না। সেখানে চারিদিকে এত বিস্তৃত করে দেখা যাচ্ছিল যা সাধারণত সব সময় দেখা যায় না। অনেকে সে জমির মধ্যে কাজ করছিলেন এবং আমাদেরকে দেখে অনেকে দাঁড়িয়ে আমাদেরকে দেখছিলেন৷ ট্রেন যেভাবে সেখান থেকে যাচ্ছিল সেখানে তারা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। আপনারা সকলে জানেন এখনো রেলওয়ে ট্র্যাকের কাজ চলছে তাই ট্রেন একবার ধীরে যায় আবার দ্রুত গতিতে যায় এবং এভাবে করতে করতে ট্রেন এক ট্র্যাক থেকে অন্য ট্র্যাকে যেতে শুরু করে৷
যখন ট্রেন এক ট্র্যাক থেকে অন্য ট্র্যাকে যায় তখন যেভাবে ট্রেনের বাঁকা অংশ দেখা হয় তখন অনেকটাই ভালো লাগে৷ যেভাবে সামনের দিকে শুধুমাত্র মানুষদেরকে দেখা যাচ্ছিল এবং চারিদিকে শুধুমাত্র জমি দেখা যাচ্ছিল তখন তার থেকে ভালো মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না। এরপর একেবারে সামনের দিকে এগোতে এগোতে একটা সময় ট্রেন থেমে গেল। তখন আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে এসেছি৷ তবে তখনও আমাদের গন্তব্য স্থলে যেতে অনেক রাস্তা বাকি ছিল । তখন ট্রেন থেমেছিল কারণ ট্র্যাকের কাজ করছিল৷ ট্র্যাকের কাজে ট্রেন একেবারে থেমে যেতে হয়েছিল। এরকম অনেক বারই হয়েছে। আমরা তখন ভেবেছিলাম যে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গিয়েছি৷ তবে তখনও আমাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে আরো অনেক রাস্তা বাকি ছিল৷ আমাদের মতো অনেকেই ভেবেছিলেন যে তারা পৌঁছে গিয়েছেন। তারপর পরবর্তীতে তারা বাইরে তাকিয়ে দেখেন যে কোন স্টেশন দেখা যাচ্ছে না।
এরপর যখন আমরা রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি চলে গেলাম তখনও সেখানে অনেক বড় করে এই স্টেশনের কাজ করা হচ্ছিল। যতই সামনের দিকে এগোতে থাকলাম স্টেশন যেন বড় হতে লাগছিল। অনেক সুন্দরভাবে এই স্টেশনের কাজ করা হচ্ছিল। অনেক সময় দিয়ে স্টেশনের কাজ করা হচ্ছিল যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে৷ এর পূর্ববর্তী স্থানেও যে রেলওয়ে স্টেশনগুলো রয়েছে সেগুলোকেও একেবারে নতুনভাবে তৈরি করা হচ্ছে। তবে আপনারা অনেকেই জানেন যে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটি রয়েছে সেটি একেবারে আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। এটির যখন কাজ চলমান অবস্থায় দেখলাম তখনই এটি একেবারে আন্তর্জাতিক মানের মনে হচ্ছিল৷ সামনের দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়ার পরে আমরা আমাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম। আমাদের ট্রেন থেমে গেল এবং আমরা ট্রেন থেকে নেমে পড়লাম। আজকে এই পর্যন্তই।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ২০.০৫.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://twitter.com/bijoy1__2024_SB/status/1792366452257026226?t=bRGLH_9QEhf1BKW2p1rmzQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভালোবাসা রইল আপনার প্রতি আমাকে সবসময় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য।
এক এক করে কক্সবাজার ভ্রমণের ৮ তম পর্বে চলে আসলাম আমরা। বাকি পর্বগুলোর মতই এই পর্বটি কেও আপনি গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আসলেই এখনো দেখা যায় যখন ট্রেন গ্রামীণ সমাজের মধ্য দিয়ে যায় তখন লোকেরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখে এটা ভীষণ ভালো লাগে কিন্তু। এটা জেনে খুশি হলাম যে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রেলওয়ে স্টেশন বানানো হচ্ছে। এটা আমাদের দেশের জন্য একটা গৌরব। কক্সবাজার ভ্রমণের চমৎকার অনুভূতির পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চেষ্টা করবো সবগুলো পর্ব ভালোভাবে গুছিয়ে লেখার।
আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি।সময় করে দেখি পড়ে নিব বিস্টি আপু এবং নেভ্লু ভাইকে দেখে বেশ ভালো লাগলো।বোঝায় যাচ্ছে অনেক দারুন সময় কাটিয়েছেন। সামনের পর্বের জন্য অপেক্ষাই রইলাম।শুভ কামনা আপনার জন্য ।
একেবারে ঠিক বলেছেন৷ খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছি।
কক্সবাজার ভ্রমণের অষ্টম পর্বের আপনাদের এই অনুভূতিমূলক পোস্ট দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো আপনাদেরকে দেখতে অনেক ভালো লাগছে ,এবং অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন যেগুলো দেখতে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনাদের এই পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
সবসময় মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আমরা রাতের বেলা ট্রেনে যাতায়াত করেছি সেজন্য কক্সবাজার স্টেশনে যাওয়ার মুহূর্তের এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারিনি। আপনি দেখছি দারুন সময় উপভোগ করেছেন। আসলে ট্রেন জার্নি আমার খুবই প্রিয় । ভালো লাগলো আপনার কাটানো মুহূর্ত। আমাদের সাথে সেই সুন্দর দৃশ্য ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
জী ভাইয়া গত পর্বে আমরা দেখেছিলাম আপনারা চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পথে ছিলেন। আজকে দেখলাম আসার পথে অনেক প্রকারের প্রকৃতিক দৃশ্যর ফটোগ্রাফি করেছেন। দেখে ভালোই লাগলা। তবে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের ফুল একটি ছবি দেখতে পারলে ভালো হতো। ধন্যবাদ।
সেটা আগামী পর্বে দেখতে পাবেন৷
ভাইয়া আপনার ভ্রমণের এর আগের পর্বগুলো দেখেছিলাম। আজকের পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। পরিবারের সবার সাথে ভ্রমন করতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনেক ধন্যবাদ অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য৷
এক এক করে দেখতে দেখতে কক্সবাজার ভ্রমণের ৮ তম পর্ব আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লাগলো। বাকি সব পর্ব গুলোর মতই আপনি এই পর্বটিও সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনি দেখছি দারুন সময় উপভোগ করেছেন। আসলে ট্রেন জার্নিটা আমার খুবই প্রিয়। এক কথায় বলতে গেলে ট্রেনে জার্নি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো যে কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশন কে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রেলওয়ে স্টেশন বানানো হচ্ছে। এটা আমাদের দেশের জন্য গৌরব। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।