নাটক রিভিউ : - " ডেজ্ঞারাস ডাক্তার "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার নতুন একটি পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট ভিজিট করে আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করবেন।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
আজকে আমি আপনাদের মাঝে প্রকাশ করব একটি নাটক এর রিভিউ। এই নাটকের নাম হলো ডেঞ্জারাস ডাক্তার
নাটকের নাম | ডেঞ্জারাস ডাক্তার |
---|---|
পরিচালক | রাকিব মির্জা |
লেখক | অর্নব জাকির |
অভিনয় | রাফসান, সাথী সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড |
মুক্তির তারিখ | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ |
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
প্রথমে নায়ক এবং নায়িকাকে দেখানো হয়৷ তারা দুজনেই সমবয়সী এবং দুজনে একই ক্লাসে পড়াশোনা করে৷ যখন নায়িকা সরকারি মেডিকেল কলেজে চান্স পায় তখন তার বাবা নায়কের বাবা অর্থাৎ তার বন্ধুকে মিষ্টি দেয়৷ তারা দুজনেও বন্ধু ছিল৷ যখন নায়িকার বাবা নায়কের বাবাকে মিষ্টি দিতে যায় তখন তিনি বললেন যে এই মিষ্টি তাকে কেন খাওয়ানো হচ্ছে৷ তখন তিনি বললেন তার মেয়ে সরকারি কলেজে চান্স পেয়েছে তার জন্য তাকে মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে৷ এরপর নায়কের বাবা বলে যে, সরকারি কলেজে চান্স পাওয়া তো কোন ব্যাপারই না৷ তার ছেলে প্রাইভেট কলেজে চান্স পেয়েছে এবং প্রাইভেট কলেজে পড়ালেখা করা কোন অংশে কম না এবং যা কিছু প্রয়োজন সব কিছুই তার বাবা দিবে৷ তার ছেলের মত কেউই কখনো হতে পারবে না৷ তখন নায়িকার বাবা কিছুই বলে না৷ তিনি চুপচাপ তাকে মিষ্টি খাইয়ে সেখান থেকে চলে যান।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর নায়িকা একদিন তার বন্ধুর সাথে যাচ্ছিল। তখন সে অনেকটা পথ যাওয়ার পরে নায়কের সাথে তার দেখা হয়ে গেল৷ নায়ক বলল যে সে কেন তার সাথে রিক্সা করে যাচ্ছে৷ তখন নায়িকা বলতে থাকে যে সে যখন সকালে তাকে বলেছিল বাইকে করে তাকে দিয়ে আসার জন্য তখন নায়ক তাকে দিয়ে আসেনি৷ তাই সে এখন তার বন্ধুর সাথে যাচ্ছে৷ ইচ্ছে করেই যাচ্ছে৷ তখন নায়ক বলতে থাকে যে তাকে রিক্সা থেকে নেমে যাওয়ার জন্য এবং নায়কের সাথে যাওয়ার জন্য৷ যখন নায়িকা বলে সে যেতে পারবেনা তখন নায়ক আরো ভালোভাবে তাকে বুঝাতে থাকে৷ বলতে থাকে যে যদি এখনই না নামে তাহলে সে তাকে অনেক বকাবকি করবে৷ এরপর নায়িকা সেখান থেকে নেমে যায় এবং নায়কের বাইকে উঠে এবং তারা দুজনেই সেখান থেকে চলে যায়৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর একদিন নায়ক তার পড়ার কিছু বিষয় বুঝতেছিল না৷ তখন সে নায়িকাকে বলে তাদের বাসায় আসার জন্য৷ তখন নায়িকা তাদের বাসায় আসে এবং যখন নায়িকা তাকে পড়া বুঝিয়ে দিচ্ছিল তখন তারা দুজনে একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিল৷ তাকিয়ে থাকতে থাকতে একটা সময় তারা একেবারেই মগ্ন হয়ে যায়৷ সেই সময় নায়কের বাবা সেখানে এসে বলতে থাকে যে নায়িকা এখানে কেন এসেছে। তখন সে বলে নায়কের পড়া বোঝানোর জন্য এসেছে৷ তখন নায়ক বলে সে পড়া বুঝতে ছিল না৷ তার জন্য তাকে পড়া বোঝানোর জন্য এসেছিল৷ তখন নায়কের বাবা বলতে থাকে যে পড়ানো লাগবে না৷ তখন নায়িকা সেখান থেকে চলে গেল৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর একদিন তারা দুজনে ছাদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছিল৷ তারা দুজনে খুবই সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করছিল৷ তারা যখন অনেক কথাবার্তা বলছিল তখন সেখানে তাদের দরজার পাশে নায়কের বাবা দাঁড়িয়ে থাকে এবং সকল কথা শুনে নেয়। এরপর তিনি নায়িকার বাবাকে সেখানে নিয়ে আসেন এবং তিনি বলতে থাকেন যে তার ছেলের সাথে নায়িকার বাবা লাগিয়ে দিয়েছে যাতে করে তারা দুজনে প্রেম করে এবং যাতে করে এই বাড়িতে তাদের থেকে যেতে হয়৷ তখন নায়কের বাবা তাদের দুজনকে অনেক অপমান করতে থাকে৷ তখন নায়িকা সে বিষয়টি আর সহ্য করতে পারে না এবং সে বলতে থাকে যে সে আর কখনো এই বাড়িতে থাকবে না৷ এখনই তারা এখান থেকে চলে যাবে৷ তখন নায়কের বাবা বলে যে চলে যাওয়ার জন্য৷ তখন নায়িকার বাবা এবং নায়িকা বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় এবং সেখান থেকে চলে যায়।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর দুজনেই ডাক্তার হয়ে গেল এবং নায়ক একটি হাসপাতালে অবস্থান করে৷ সেখানে নায়িকা পুলিশ নিয়ে আসে এবং বলতে থাকে যে তারা এই হাসপাতালে কোন ধরনের ব্যবস্থা রাখেনি৷ একইসাথে এই হাসপাতালটি একেবারে বেআইনি৷ এই হাসপাতালটি তৈরি করার সময়ও কোন ধরনের আইন মানা হয়নি৷ তাই নায়িকা পুলিশকে সবকিছু বলে এবং বলতে থাকে যাতে করে তাদেরকে ধরে সেখান থেকে নিয়ে যায়৷ তখন নায়ক এর বাবা তাকে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলতে শুরু করে৷ তখন পুলিশ ও বিভিন্ন ধরনের কথা বলে৷ এভাবে অনেকক্ষণ কথাবার্তা বলতে বলতে একটা সময় তাদের মধ্যে একটু ঝগড়া সৃষ্টি হচ্ছিল৷ তখন পুলিশ সকলকে সেখান থেকে চলে যেতে বলে এবং সকলে সেখান থেকে চলে যায়৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর একদিন নায়কের বাবা অসুস্থ হয়ে গেলেন৷ নায়ক যে হাসপাতালে ছিল সে হাসপাতালে ওনাকে ভর্তি করা হলো৷ যখন নায়কের বাবা জিজ্ঞাসা করছিল হাসপাতালের একজন লোককে যে, নায়ক ভালোভাবে অপারেশন করতে পারবে কিনা৷ তখন সে ব্যক্তিটি বলছিল যে অপারেশন করতে পারবে৷ তবে একটু ভয় হয় যে সে যদি ভুল করে ফেলে তাহলে তাকে মারা যেতে হবে। তার জন্য নায়কের বাবা বলতে থাকে যে অন্য কোন ডাক্তারের ব্যবস্থা করার জন্য৷ তখন সে হাসপাতালের লোকটি বলে যে নায়িকার কথা৷ নায়িকা অনেক ভালো একজন ডাক্তার এবং নায়িকার অনেক বছরের অভিজ্ঞতাও রয়েছে৷ এই অপারেশনের বিষয়ে তাই নায়কের বাবা বলে যে নায়িকাকে ডাকার জন্য৷ যখনই নায়িকাকে ডাকা হল তখন নায়িকা তার অপারেশন করে দিল এবং অপারেশন করার পরে তিনি নায়ক এর বাবাকে শিখিয়ে দেন যাতে করে নায়কের মনে কষ্ট না আসে৷ নায়ক যেন ভালোভাবেই তার বাবার সাথে কথা বলতে পারে৷ এরপর নায়িকা সেখান থেকে চলে গেল৷
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর নায়কের বাবা সুস্থ হয়ে গেলেন এবং তারা আবার সকলে একসাথে হয়ে গেল৷ যখন তারা দুজন বন্ধু একসাথ হল তখন তাদের দুজন বন্ধুর মধ্যে অনেক কথাবার্তা হচ্ছিল৷ যে তাকে বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলেছে তাই বলে কি সে চলে যাবে , একবারও থাকার কথা বলল না৷ তখন নায়িকার বাবা বলতে থাকে যে তাকে সে অপমান করেছে সে কিভাবে এই বাড়িতে থাকবে৷ সে যখন বাসা থেকে চলে গিয়েছিল তখন তার কথা অনেকটাই মনে পড়ছিল৷ একইসাথে নায়িকা যখন ডাক্তার হয়ে বের হলো এবং নায়কের সাথে তার সম্পর্ক কোনভাবেই ঠিক হচ্ছিল না তখন নায়কের বাবার অপারেশনের পর তাদের সকলের সম্পর্ক ভালো হয়ে গেল৷ নায়ক এবং নায়িকার এখানে মিল হয়ে গেল৷ এই নাটকটি খুব সুন্দরভাবে শেষ হয়ে গেল৷
আমার ব্যক্তিগত মতামত
খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি ৷ প্রথমে নায়ক এবং নায়িকার অনেকটা বন্ধুত্ব ছিল এবং তাদের বাবাদেরও বন্ধুত্ব ছিল৷ এরপর তাদের বন্ধুত্ব নষ্ট হয়ে গেল এবং বিভিন্ন কারণে তাদেরকে বাসা থেকে চলে যেতে হল৷ এরপর অনেকদিন পর যখন নায়ক ডাক্তার হয়ে বের হল তার সাথে সাথে নায়িকাও ডাক্তার হয়ে বের হয়ে আসলো৷ এরপর নায়ক একটি হাসপাতালে অবস্থান করল৷ নায়িকা সরকারি হাসপাতালগুলো অবস্থান করে৷ নায়ক এর বিরুদ্ধে অনেক ধরনের কথাবার্তা বলে থাকে৷ একসময় যখন নায়কের বাবা অনেক অসুস্থ হয়ে যান তখন তিনি বলেন যে তার তার ছেলেকে দিয়ে তিনি অপারেশন করাবেন না৷ যেন অন্য কোন ডাক্তারকে তারা নিয়ে আসে৷ তখন নায়িকা উনার অপারেশন করলেন এবং তিনি সুস্থ হয়ে গেলেন৷এরপর সকলে আবার মিল হয়ে গেল এবং সকলে আবার একসাথে মেলামেশা করলো৷ এরপর নায়ক এবং নায়িকারও মিল হয়ে যায় এবং এভাবে নাটকটি শেষ হয়ে যায়।আসলে এই নাটক থেকে আমাদের সকলের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ৷ কারণ অহংকার করা কখনোই ঠিক নয়। এই অহংকার এর কারণে একদিন সবকিছুই ধ্বংস হয়ে যাবে।
নাটকের লিংক ↓ ↓ ↓
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রতিদিন আপনার এই সাপোর্ট অনেক অনুপ্রেরণা দেয়।
নাটক দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে । তবে এই রমজান মাসে নাটক খুব একটা দেখা হয় না। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। নাটকের রিভিউ পড়ে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমারও এই রমজান মাসে দেখা হচ্ছে না। তবে এই নাটকগুলো আমি আগেই দেখে নিয়েছিলাম৷
অনেক সুন্দর একটা নাটক আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই৷ আপনার শেয়ার করা নাটকের রিভিউ পড়ে বেশ।ভালো লাগলো ভাই। যেহেতু নায়ক ও নায়িকা এক ক্লাসে পড়ে সেহেতু তাদের ভেতর সম্পর্ক অনেক ভালো। কিন্তু রিভিউ পড়ে যা যান্তে পারলাম নায়কের বাবা একটু অহংকারী। তারপর তিনি অসুস্থ হলে নায়িকা তাকে সুস্থ করেন। এর ফলে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর একটা নাটক রিভিউ করার জন্য।
হুম৷ একদম ঠিক বলেছেন৷ তারা ছোট থেকে একসাথে বড় হয়েছে এবং ডাক্তার হয়েছে।
আমার কাছে এই নাটকগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। তবে এখন খুব একটা দেখা হয় না ব্যস্ততার কারণে। এই নাটকটার পুরো কাহিনী তো আমার কাছে খুব দারুণ লেগেছে। আপনি সব সময় আমাদের মাঝে সুন্দর সুন্দর নাটক রিভিউ শেয়ার করেন যেগুলো আমি পড়ি। আসলে কখনোই কোন কিছু নিয়ে অহংকার করা উচিত না। কারণ অহংকার হচ্ছে পতনের মূল। অহংকার এর কারণ একদিন সবকিছু ধ্বংস হয়েও যেতে পারে। আর সেই অহংকার থাকবে না কারো।
আমিও তেমন একটা নাটক দেখার সময় পাই না।
তবুও দেখার চেষ্টা করি৷