গল্প:- "একজন অহংকারি ব্যাক্তি" (পর্ব-০৫)
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
এভাবে অনেকদিন চলতে থাকে। ওই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানগুলো রাতের বেলা পরিচালনা করতে থাকে এবং বিভিন্ন ধরনের খারাপ কর্মকান্ডও তার এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে পরিচালনা করতে থাকে৷ যখন সকলে তার এই প্রতিষ্ঠানগুলো চালনা করে তখন পুলিশও কোন ভাবে খবর পাচ্ছিল না৷ এভাবে অনেক দিন চলতে থাকে এবং রাতের বেলা কাজ করে তারা সকালে পালিয়ে যেতে থাকে৷ পুলিশ মাঝেমধ্যে এসে দেখে যায় তার প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে কি না। তখন বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যেত না। পুলিশ ভেতরে যেত না। কারণ পুলিশ মনে করতো ভিতরে সবকিছুই ঠিক আছে এবং বন্ধ হয়ে রয়েছে। এর পরবর্তী বিষয়গুলো আগামী পর্বে শেয়ার করার চেষ্টা করব।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে যারা অবস্থান করেছিল সেই ব্যক্তিরা চুপি চুপি তাদের বাড়িতে আসতে থাকে। তারা দেখতে পাই যে ওই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকভাবে চলছে। তাই তারা পুলিশকে এই বিষয়টি জানিয়ে দেয় এবং বলে পুলিশকে একদিন রাতের বেলা আসার জন্য। তখন ওই ব্যক্তির অনুসারীরা যখন ওই প্রতিষ্ঠানের কাজ করছিল তখনই পুলিশ রাতের বেলায় আসে। তাদেরকে প্রথমে ধরতে পারেনা। প্রথমে পুলিশ ভেবেছিল যে তাদেরকে ভুল খবর দেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রথমে বাইরে থেকে দরজায় ধাক্কা দেয়। যখন ভিতর থেকে কোন আওয়াজ আসে না, তখন তারা সেখান থেকে চলে যাচ্ছিল। সেই মুহূর্তে ওই ব্যক্তির আরেকজনের অনুসারী এসে পিছনের একটি গোপন দরজা দিয়ে ঐ কারখানায় প্রবেশ করছিল৷ তখনই পুলিশ এই বিষয়টি দেখে নেয়৷
পুলিশ যখন এই বিষয়টি দেখে তখন পুলিশ বুঝতে পারে যে অনেক দিন ধরে তাদের এই কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনা হচ্ছে৷ তার এই কারখানা অনেক ভালোভাবেই তৈরি করা হয়েছে যাতে করে এই গোপন দরজা দিয়ে কারখানা পরিচালনা করা যায়৷ পুলিশও ঠিক একইরকম ভাবে সেখানে প্রবেশ করে। যখন পুলিশকে তারা দেখতে পায় তখন তারা এদিক সেদিক দৌড়াদৌড়ি করছিল এবং শেষ পর্যন্ত যখন তারা বুঝতে পারল তাদের বাঁচার আর কোন পথ নেই। তখন তারা সেই কারখানার ভিতরে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ছিল, তারা অনেকদিন ধরেই এই অশ্রগুলো এখানে জমাচ্ছে। যাতে করে কোন ধরনের সমস্যা হলে তারা তাদের এই অস্ত্রগুলো দিয়ে সমস্যার সমাধান করতে পারে৷
সেখানে অল্প কয়েকজন পুলিশ ছিল। রাতের বেলা ডিউটি থাকার কারণে অনেক পুলিশ রাতের বেলায় আসেনি৷ পুলিশ যখন এই কারখানায় অনেক মানুষ দেখতে পায় এবং তাদের কাছে অনেক উন্নতমানে অশ্র দেখতে পায় তখন তাদের অন্যান্য কর্মীদেরকে খবর দিয়ে দেয় এবং পুলিশ যখনই তাদেরকে খবর দিতে যাবে তখনই সেই কয়জন লোক পুলিশকে অনেক মারধর করতে শুরু করে৷ এর কিছুক্ষণ পরে, যে সকল অন্যান্য পুলিশগুলো সেখানে আসার কথা ছিল তাদেরকে সেখান থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয় এবং যে পুলিশরা এই কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে তাদেরকে বেঁধে রাখা হয়েছিল৷
এভাবেই এই অহংকারী ব্যক্তির ক্ষমতার প্রভাব বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ যেভাবে এই ব্যক্তিটি পুলিশদেরকেও এভাবে এখানে বেঁধে রাখল তার জন্য অনেক বড় ধরনের বিপদ অপেক্ষা করছে এবং সে যেভাবে এখানে পুলিশদেরকে মেরেছে, সে পুলিশরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছিল তাদেরকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য৷ বলছিল যে কিছুক্ষণ পরেই তাদের সহকর্মীরা চলে আসবে৷ তখন ওই অনুসারীরা বলতে থাকে যে ওই পুলিশের কোন ধরনের সহকর্মী তাদের এখানে আসবে না৷ তারা এখানে বাঁধা থাকবে এবং এভাবে মরতে মরতে একদিন পচে যাবে৷ তখন তারা আবার পুলিশকে মারতে শুরু করে৷ আজকে এই পর্যন্তই৷
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
https://twitter.com/bijoy1__2024_SB/status/1762300810040647785?t=UciIFpNSiu8NcGVteVV20Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার মুল্যবান সাপোর্ট আমার প্রতিদিন এর কাজের প্রতি আগ্রহ অনেক বাড়িয়ে তুলে।