নাটক রিভিউ : - " বুকের গভীরে "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য প্রকাশ করবেন।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
আজকে আমি আপনাদের মাঝে প্রকাশ করব একটি নাটক এর রিভিউ। এই নাটকের নাম হলো বুকের গভীরে
নাটকের নাম | বুকের গভীরে |
---|---|
পরিচালক | তানভির তন্ময় |
অভিনয় | শাহেদ শাহরিয়ার, যারা নূর সহ আরো অনেকে |
ভাষা | বাংলা |
দৈর্ঘ্য | ৪৯ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড |
মুক্তির তারিখ | ১৯ জানুয়ারি ২০২৪ |
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
প্রথমে নায়িকা একটি রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল এবং সেই রাস্তা দিয়ে সে তার মাথায় করে কিছু জিনিস নিয়ে যাচ্ছিল৷ তখনই সেখানে একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়৷ সেই গাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে জমিতে ফেলে দেয়৷ তখন সে একেবারে রাগান্বিত হয়ে যায়৷ তখন গাড়িতে যে ব্যক্তি যে ছিল সেই ব্যক্তিটি গাড়ি থেকে বের হলো৷ নায়িকা বলে যে সে তার ছোট সাহেবের জন্য খাবার নিয়ে যাচ্ছে এবং তার কারণে সে খাবারটি পড়ে গিয়েছে৷ কিভাবে ছোট সাহেবকে সে খাবার দিবে৷ অনেকক্ষণ তাদের দুজনের কথাবার্তা হয়৷ নায়ক সেখানে তাকে কিছু বলে না। চুপচাপ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর তারা দুজনে সেখান থেকে চলে যায়৷ এবার নায়িকা চলে আসে তার সাহেবের বাড়িতে।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
বাড়িতে আসার পর সে যখন নায়ককে সেখানে দেখতে পায় তখন সে বাড়িতে আরো একজন যে লোক ছিল তাকে ডাকে জিজ্ঞাসা করে যে এই ব্যক্তি এখানে কেন এসেছে৷ নায়িকা তাকে অনেক ধরনের কথা বলতে থাকে ৷ বলে যে সে যেন এখান থেকে চলে যায়৷ এটা তার ছোট সাহেবের বাড়ি৷ তখন তার সাথে যে অনেক লোক ছিল সেই ব্যক্তিটি বলে ইনিই হলেব ছোট সাহেব৷ ছোট সাহেবের সাথেই তার দেখা হয়েছিল৷ তখন সে কিছু বলে না এবং সে চুপচাপ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে৷ কিছুক্ষণ পরে সে সেখান থেকে চলে যায়৷ সে একেবারে অবাক হয়ে যায়৷ কেননা কিছুক্ষণ আগেই সে নায়ককে অনেক বকাবকি করছিল৷ নায়ক যে তার ছোট সাহেব সে কোনোভাবে এটি জানতো না৷ সে ভুল বসত এই কাজ করে ফেলে এরপর সে সেখান থেকে তাড়াতাড়ি চলে গেল।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর গ্রামের কিছু লোক নায়কের কাছে আসে তাদের একটি প্রতিষ্ঠানের কথা বলার জন্য৷ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তারা অনেক কথাই বলে । সেই প্রতিষ্ঠানের যে কাজকর্ম রয়েছে তারা সেই কাজকর্মগুলো সম্পর্কে বলতে থাকে৷ তখন সে বলে এই প্রতিষ্ঠানকে নায়ক কিরকম সাহায্য করতে পারে৷ তখন তারা বলে যে এই প্রতিষ্ঠানের যে সকল কাজকর্মগুলো রয়েছে সেই কাজের জন্য কিছু টাকা প্রয়োজন এবং সে গ্রামে এসেছে সে যেন এই প্রতিষ্ঠানের একটি অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করে৷ নায়ক যেন কিছু অনুদান দেয় তখন৷ নায়ক তখন বলে যে তার কাছে এখন সেরকম একটা টাকা নেই৷ তার পকেটে যা টাকা ছিল সেই টাকা সে দিয়ে দেয় এবং তারা সেখান থেকে চলে যায়।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর একদিন নায়কের প্রচুর জ্বর আসে৷ জর আসার কারণে সে বিছানা থেকে উঠতে পারছিল না৷ তখন নায়িকা সেখানে আসে এবং তার সেবা যত্ন করতে থাকে। নায়েকের জ্বর নায়িকার জন্য উঠেছিল জানতে পারে৷ তাই নায়িকা তার ভালোভাবে চিকিৎসা করতে থাকে৷ নায়িকার কারণে তার জ্বর উঠে গিয়েছে এবং নায়িকা যেন তার জ্বর খুব তাড়াতাড়ি ভালো করে দেয় এজন্য সে নায়িকাকে অনেক কথাবার্তা বলছিল৷ নায়িকা চুপচাপ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে এবং খুব ভালোভাবে নায়িকা সবকিছু বুঝে নেয়৷ সে তার মাথায় পানি দিয়ে দেয় এবং ওষুধ খাইয়ে দিচ্ছিল, খাবার খাইয়ে দিচ্ছিল৷ সে অনেক বেশি কষ্ট করছিল যাতে করে নায়ককে অতি তাড়াতাড়ি সুস্থ করা যায়।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর কিছুদিন যেতে যেতে নায়ক তার বাবাকে বলে নায়িকাকে তার পছন্দ হয়ে গিয়েছে৷ নায়িকাকে সে বিয়ে করবে৷ এই কথাটি যখন সে তার বাবাকে বলে তিনি বলেন একজন কাজের মেয়ের সাথে তিনি তার ছেলেকে বিয়ে দিতে পারবেন না৷ নায়ক এই কথাটি শুনে তখন নায়ক অনেক ধরনের কথা বলতে থাকে৷ বলে যে সে যদি নায়িকার সাথে তার বিয়ে না দেয় তাহলে সে কোন মতেই এই বাড়িতে থাকবে না। সে তখনই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় এবং নায়কের বাবা তাকে খুব ভালোভাবে বোঝাতে থাকে যাতে করে সে বাড়িতে থাকে৷ কোন মতে যেন ওই মেয়ের কাছে না যায়৷ তখন নায়ক সেই কথা না শুনে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরে নায়ক নায়িকাদের বাড়িতে আসে। নায়িকাকে বলতে থাকে সে নায়িকাকে ভালোবাসে এবং সে নায়িকাকে বিয়ে করবে৷ যার কারণে সে নায়িকার কাছে এসেছে৷ তখন নায়িকা বলে যে সে কোন মতে তার সাথে যেতে পারবে না৷ কারণ নায়িকা যদি এখন সেখান থেকে চলে যায় তাহলে নায়কের বাবা তার মাকে মেরে ফেলবে৷ নায়িকা বুঝিয়ে বলে যাতে করে সে ভালোভাবে সে আবার বাড়িতে ফিরে যায়৷ নায়ক কোন মতে এই কথাটি শুনে না৷ তখন সেই অন্য কোথাও চলে যায়।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর নায়ক বিভিন্ন জায়গায় যায় এবং সে তার দুঃখ সেখানে প্রকাশ করতে থাকে৷ সে কোনোভাবেই বাড়িতে ফিরে আসে না৷ নায়িকার সাথেও তার কোন যোগাযোগ হয় না৷ তখন সে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে৷ মাজারে এবং বিভিন্ন জায়গায় যেখানে গান বাজনা হয় সে সেখানে গিয়ে বসে৷ তার দুঃখ সেখানে প্রকাশ করতে থাকে৷ ধীরে ধীরে তার অবস্থা একেবারে খারাপের দিকে চলে যায়৷ তার মানসিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে৷ এভাবেই অনেক দিন চলে যায়৷ এরপর একদিন সে একটি খবর শুনতে পায়।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
একদিন শুনতে পায় যে নায়িকা আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছে৷ সে যখন এই কথাটি শুনে তখন সে নায়িকাকে দেখতে যায় এবং তারপর থেকে তার অবস্থার আরো অবনতি হতে থাকে৷ এর ফলে নায়কের যে মানসিক অবস্থার অবনতি ছিল তা আরো বেশি হয়ে যায়৷ সে একেবারে পাগল হয়ে যায়৷ সে যখন আত্মহত্যার বিষয়টি শুনে তখন সে একেবারে পাগলের মত হয়ে গিয়েছিল৷ এরপর যখন সে যখন নায়িকার মৃতদেহ দেখতে পায় তখন থেকে তার অবস্থা আরো অনেক বেশি পরিমাণে খারাপ হয়ে যায় এবং সে একেবারে পাগল হয়ে যায়।
মোবাইল থেকে স্ক্রীনশট নিয়েছি
এরপর নায়ককে তার বাসায় এনে বেঁধে রাখা হয়েছে৷ নায়কের বাবা বিভিন্ন ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ করতে থাকেন নায়ককে সুস্থ করার জন্য৷ তিনি কোন কিছুই করতে পারেন না৷ এরপর নায়িকার সাথে যে একটি লোক ছিল সেই লোকটি নায়কের বাবার কাছে এসে বলে যে, নায়িকা কোনময়ে আত্মহত্যা করেনি৷ সে এরকম মেয়ে নয়৷ নায়েকের কাছ থেকে ভালোবাসা উঠে যায় এই কারণে সে নায়িকাকে মেরে ফেলেছে৷ নায়িকাকে মারার কারণে নায়ক এভাবে পাগল হয়ে যাবে সে কোনভাবেই এই বিষয়টি বুঝতে পারেনি৷ তখন সে অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে৷ যেন নায়কের বাবা তাকে মাফ করে দেয়৷ নায়কের বাবাও কিছু বলে না। চুপচাপ সেখানে বসে থাকেন৷ এভাবেই নাটকটি শেষ হয়ে যায়।
আমার ব্যক্তিগত মতামত
খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি৷ প্রথমে যখন নায়িকা নায়ককে চিনতে পারেনি তখন সে তাকে অনেক কথা শুনিয়ে দিল৷ এরপর থেকেই তাদের মধ্যে সম্পর্ক শুরু হয়ে গেল৷ এরকম নায়িকা যখন তাকে বাড়িতে দেখতে পায় তখন সে বুঝতে পারে সে তার ছোট সাহেবকে বকাবকি করেছে৷ এরপর তাদের মধ্যে সম্পর্ক গভীর হতে থাকে৷ এক সময় তাদের ভালোবাসা হয়ে যায়৷ যখন তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্কে গড়ে উঠে এরপর থেকেই নায়ক নায়িকাকে পছন্দ করতে থাকে৷ নায়িকাকে বিয়ে করার জন্য যখন সে তার বাবাকে বিয়ের কথা বলে তখন তিনি বলেন যে তিনি তাদের বিয়ে দিবেন না৷ এরপর নায়ক নায়িকার কাছে চলে যায়৷ এরপর থেকেই তাদের সম্পর্কের খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে থাকে৷ এরপর একদিন নায়ক শুনতে পায় যে নায়িকা মারা গিয়েছে৷ এই কথাটি শুনে নায়ক একেবারে পাগল হয়ে যায়৷ এরপর যখন নায়ক পাগল হয়ে যায় তখন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়৷ নায়িকার সাথে থাকা ওই লোকটি নায়কের বাবাকে বলতে যে সে নায়িকা মেরে ফেলেছে৷ নায়কের ভালোর জন্য সে এরকম করেছে৷ তবে তার বিপরীত হয়ে গিয়েছে৷ নায়ক পাগল হয়ে গিয়েছে৷ এর থেকে আমরা অনেক কিছুই শিক্ষা নিতে পারি৷ কারণ ভালবাসা সুন্দর৷ তবে ভালোবাসা সব ক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য হয় না৷ এখানে নায়কের বাবা বলে তার ছেলের সাথে তিনি কোন মতে কাজের লোকের বিয়ে দিবেন না৷ এর কারণে তাকে ওই কাজের লোকটি নায়িকাকে মেরে ফেলেছে৷ এর ফলে তার ভালোবাসার টানে নায়ক পাগল হয়ে গিয়েছে৷ আসলে এরকম ঘটনা বেশিরভাগ সময় হয়ে থাকে। অনেক সময় অনেকে পাগল হয়েছে আবার অনেলে মারা গিয়েছে।
নাটকের লিংক ↓ ↓ ↓
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে এ ধরনের নাটক গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগে আমার। ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়ার ফলে প্রেমিক জীবন যে দুর্বিষহ হয়ে উঠতে পারে সেই বিষয়টি নাটকের মধ্যে বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। যাহোক আগামীতে সময় পেলে নাটকটি দেখার চেষ্টা করবো।
আসলে ভালোবাসা কি জিনিস তা এই নাটকের মাধ্যমে অনেকটাই বোঝা যায়। ভালোবাসার মানুষকে না পেয়ে সে একেবারে পাগল হয়ে গেল।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতিদিন এর এই মুল্যবান সাপোর্ট আমাকে প্রতিনিয়ত অনেক অনুপ্রেরণা দেয় কাজ করার।
ফ্রি সময় নাটক দেখতে আমার কাছে ভালো লাগে। বুকের গভীরে নাটকটি দেখা হয়নি। জারা নুর এর অভিনয় আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। নাটকটির গল্প পড়ে ভালো লাগলো। সময় করে নাটকটি দেখার চেষ্টা করবো। অনেক সুন্দর নাটকটির রিভিউ তুলে ধরেছেন ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
জারা নূর আমারও পছন্দের একজন নায়িকা। তার নাটক আমি সবসময় দেখার চেষ্টা করি। আপনিও তার নাটক পছন্দ করেন শুনে খুব ভালো লাগলো।
বুকের গভীর নাটকটি আপনি খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন। এই রিভিউ পড়ে অনেক লাগলো, কারণ নাটকটি আমি দেখেছি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
শুনে খুব ভালো লাগলো আপনিও এই নাটকটি দেখেছেন। তাহলে আপনাকে তো আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই৷ আপনি তো এই নাটকের সবকিছু সম্পর্কেক জানেন।
আমি একজন নাটক প্রেমী মানুষ। আমি সময় পেলে নাটক দেখি। বুকের গভীরে নাটকটি আমি দেখেছি, আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে নায়িকা মরে যাওয়ার করনে নায়ক পাগল হয়ে যায়। এর জন্য দায়ী ছিল নায়কার বাবা। কাজের লোকের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি ছিল না। এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজে প্রায়ই হয়ে থাকে। নাটকটি রিভিউ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনিও একজন নাটক প্রেমী মানুষ শুনে খুব ভালো লাগলো৷ আমিও যখন সময় পাই তখনই নাটক দেখার চেষ্টা করি৷
ভালোবাসা আসলেই সুন্দর। ভালোবাসা ধনী-গরীব কোন কিছুই মানে না। আমি তো ভেবেছিলাম নায়িকা হয়তো আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু ওই লোকটা তো বলছে, সে মেরে ফেলেছে নায়কের ভালোর জন্য নায়িকা কে। নায়িকার প্রতি নায়ক এর ভালোবাসা কত বেশি না হতে পারে, যার কারণে নায়ক পাগল হয়ে গিয়েছে। নায়কের বাবা যদি শুরুতেই রাজি হয়ে যেত, তাহলে হয়তো নায়িকা মারা যেত না এবং নায়ক ও পুরোপুরিভাবে সুস্থ থাকতো। অনেক সুন্দর করে পুরো নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন, খুব ভালো লেগেছে পড়তে।
ভালোবাসা অন্ধ৷ তাই তো নায়ক তাকে এত ভালোবেসেছিল৷ শেষে যখন সে তাকে পেল না তখন সে পাগল হয়ে গেল।
ব্যাস্ততার কারনে নাটক তেমন একটা দেখা হয় না। তবে আজ আপনি কিন্তু দারুন একটি নাটকের রিভিউ করলেন। দারুন সুন্দর করে নাটকের সম্পন্ন ঘটনাটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ভাবছি নাটকটি একবার দেখবো। ধন্যবাদ এমন একটি নাটক রিভিউ করার জন্য।
ভাবার কি দরকার। দেখে নিলে দেখবেন যে খুব ভালো লাগবে৷ আর শেষের দিকে হয়তো কান্না চলে আসবে।
আপনি বেশ চমৎকার একটা নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন। আপনার শেয়ার করা নাটক টির রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। নাটক টি এখনো দেখি নাই তবে নাটকের রিভিউ পড়ে নাটকটি দেখার আগ্রহ বেড়ে গেলো। খুবই সুন্দর ভাবে নাটকটির রিভিউ শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট টি শেয়ার করার জন্য।
খুব সুন্দর একটি নাটক এটি৷ আশা করি দেখে নিলে অনেক ভালো লাগবে।
নাটকটার রিভিউ শুরু থেকে পড়তে ভালোই লাগছিল। তবে শেষে এরকম একটা ঘটনা ঘটবে, এটা তো আমি ভাবতেই পারিনি একেবারে। ভালোবাসার মানুষের জন্য মানুষ অনেক কিছুই করতে পারে। অনেকে আত্মহত্যা করে আবার অনেকেই পাগল হয়ে যায়। নায়িকাকে এরকমভাবে মেরে ফেলা হয়েছে যে, কেউ বুঝতেই পারেনি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে। সবাইতো ভেবেছিল সে আত্মহত্যা করেছে হয়তো। ভালোবাসার মানুষের এরকম দৃশ্য দেখলে পাগল হওয়ার কথা। অনেক সুন্দর ছিল আজকের এই নাটকটার কাহিনী।
প্রথমে আমিও যখন নাটকটি দেখছিলাম তখন অনেক ভালোই লাগছিল৷ পরবর্তীতে তাদের এই ভালোবাসা নায়কের বাবার সহ্য না হওয়ার কারণে নায়িকাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
চমৎকার একটি নাটক রিভিউ নিয়ে উপস্থিত হলেন আপনি। নাটক রিভিউ দেখতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে বাংলা নাটক গুলো আমার বেশ পছন্দের। আমিও সোশ্যাল মিডিয়াতে যখন প্রবেশ করি মাঝে মধ্যে নাটক গুলো দেখা হয়। আপনার আজকের বুকের গভীরে নাটকের রিভিউ দেখে বেশ ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি নাটক শেয়ার করার জন্য।
আসলে আমি মনে আমাদের দেশে এখন যেভাবে বাংলা নাটক উপস্থাপন করা হচ্ছে তা অন্যান্য নাটক থেকে অনেক ভালো৷