ভ্রমণ পোস্ট :- "স্বাধীনতা জাদুঘর" পর্ব - ১০
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম একদম ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট নিয়ে৷ আজকে আবার এই ভ্রমণের পরবর্তী পর্বটি আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো৷ আশা করি পরবর্তী পর্বের মধ্যে আমি যে জিনিসগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব সবগুলো বিষয় আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ আর গত পর্বের সাথে সামঞ্জস্য রেখে আজকের এই পর্বটি আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম৷
গত পর্বের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের অনেকগুলো বিষয়বস্তু আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছিলাম৷ আজকে সেরকমই আরো কিছু বিষয়বস্তু তুলে ধরার চেষ্টা করব৷ স্বাধীনতার অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যা স্বাধীনতার সময় ঘটেছিল৷ সকল ঘটনাগুলোকে সেখানে খুবই ভালোভাবে প্রতিফলিত করা হয়েছে৷ যাতে করে সকলে সেখানে কিছু জ্ঞান অর্জন করতে পারে এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে৷
এখানে আমরা অনেকেই গিয়েছিলাম এবং সেখানে অনেক মানুষ প্রবেশ করেছিল৷ সেই জাদুঘরের মধ্যে অনেকগুলো জিনিসই ছিল যা আমাদের অনেকের কাছে অজান ছিল। তখন সেখান থেকে অনেক কিছু বিষয় জানতে পারলাম এবং অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারলাম৷ সে রকমই কিছু বিষয়ে আমি আপনার মাঝে তুলে ধরছিলাম। স্বাধীনতা জাদুঘরে স্বাধীনতার বিষয়বস্তুগুলোই বেশিরভাগ সময় ভালোভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়ে থাকে যা এই জাদুঘরেও তুলে ধরা হয়েছে ।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণে লক্ষ লক্ষ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন সেই ছবিটিকে এখানে অনেক বড় আকৃতির করে সেখানে দেয়ালের মধ্যে আটকানো হয়েছিল। যেকোনো ব্যক্তি সেখানে প্রবেশ করলে প্রথমেই সেই ছবিটিকে দেখতে পাবে এবং ওনার যে ভাষণের সময় লক্ষ লক্ষ মানুষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেটিও খুবই ভালোভাবে সেখানে দেখা যাচ্ছিল।
তারপর স্বাধীনতা যুদ্ধে মানুষ ঝাপিয়ে পড়ার পর যেভাবে মানুষকে অত্যাচার নিপীড়নের মাধ্যমে সকলকে মেরে ফেলা হলো এবং রাস্তায় যেখানে সেখানে মেরে ফেলা হয়েছিল সেইসব বিষয়গুলো এখানে খুবই ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছিল৷ তখন যে সকল সংবাদ মাধ্যম এই বিষয়গুলো সকলের কাছে তুলে ধরছিল তাদেরকেও বিভিন্নভাবে মেরে ফেলা হয়েছিল৷ তাই তারা তাদের পরিচয় গোপন করে এই সংবাদ প্রচারণা চালাচ্ছিলেন৷
এভাবেই চলতে থাকে অনেকদিন। চলতে চলতেই অনেক সময় ধরে সেখানে যুদ্ধ চলতে থাকে। যেখানে সেখানে মানুষের মরদেহ দেখতে পাওয়া যায়। দুই দেশেরই মামুষের মরদেহে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাংলাদেশের মানুষজন তাদের দেশকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করতে থাকে৷ তাদের শত্রুরাও এই দেশকে দখল করার জন্য যুদ্ধ করতে থাকে৷
এভাবে যুদ্ধ করতে করতে এখানে অনেক নারী যোদ্ধার অবদানও লক্ষ করা যায়। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুরুষদের সাহায্য করেছিল৷ তারা সবসময় চেষ্টা করত কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করা যায়৷ যদি কোন যোদ্ধা আহত হয়ে তাদের বাড়িতে আসতো তাহলে তারা তাদেরকে থাকার জায়গা দিত, খাবার দিত৷ একই সাথে অনেক নারী আছে যার প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে অংশ অংশগ্রহণ করেছিল৷
সেরকম অনেকগুলো বিষয় এখানে ছবির মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে যা আমাদের অনেকের কাছে অজানা। ডাক্তাররাও মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িতে গোপনে গিয়ে তাদের চিকিৎসা করে এসেছেন। সবসময় ডাক্তাররা চেষ্টা করতেন যাতে করে মুক্তিযোদ্ধারা সফলভাবে এই দেশকে স্বাধীন করতে পারে৷
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
মোবাইলের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
মডেল | এ ১৩ |
ক্যাপচার | @bijoy1 |
অবস্থান | নিজ বাড়ি |
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অসম্ভব ভালোবাসা রইল আমাকে সবসময় সাপোর্ট করার জন্য। আমি আপনার সাপোর্ট পেয়ে অনেক উপকৃত৷
https://twitter.com/bijoy1__2023_SB/status/1733671216752590912?t=XVUNqmtt3JpqjmqiJyL4dg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতিদিনের মুল্যবান সাপোর্ট আমি অনেক ভালোসি। অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেশ কিছুদিন আগে আমি নিজেও গিয়েছিলাম জাদুঘরে। তবে জাদুঘরের সবচেয়ে বড় গ্যালারি হলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। আর এই গ্যালারি তে মুক্তিযুদ্ধের সকল স্মৃতি গুলো রাখা হয়েছে। যে গুলো ঘুরে দেখতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হয়। ধন্যবাদ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের স্মৃতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
বাহ! শুনে খুব ভালো লেগেছে আপনিও এই জাদুঘরে কিছুদিন আগে গিয়েছেন।
স্বাধীনতা জাদুকর ভ্রমণ করতে গিয়ে বেশ চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন আপনি। খুবই ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর ব্লগটি। যেহেতু দীর্ঘ দিন ধরে আপনি আমাদের মাঝে একের পর এক জাদুঘরের বিভিন্ন ফটোগ্রাফির আমাদের মাঝে শেয়ার করে চলেছেন। খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এই ব্লগ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আমার এই ব্লগে আপনার সুন্দর মন্তব্য তুলে ধরার জন্য। আপনার এই মন্তব্য আমার জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
আপনার স্বাধীনতা জাদুঘর ভ্রমনের পর্ব ১০ থেকে অনেক কিছুই জানতে এবং দেখতে পেলাম ৷ অনেক ভালো লাগলো জাদুঘরের এসব ঐতিহাসিক ছবি গুলো দেখে ৷ আপনি নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন ৷ যাই হোক , ভীষণ ভালো লাগলো আপনার এই পর্ব ৷ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ৷
হুম। ঠিক বলেছেন৷ আমি যখন জাদুঘরে প্রবেশ করি সেখানে আমি পুরোটাই হারিয়ে যাই৷
বোঝাই যাচ্ছে স্বাধীনতা জাদুঘরে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক ভালো একটা ধারণা লাভ করেছেন কারণ সেখানে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অনেক কিছু টানানো আছে, যেগুলো দেখলে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করা যায় আপনিও দেখছি মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছেন। আপনার মাধ্যমে স্বাধীনতা জাদুঘরের কিছু জিনিস দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হুম। ঠিক বলেছেন। সেখানে গিয়ে আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি।
আপনি ধারাবাহিকভাবে স্বাধীনতার জাদুঘরে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অনেক প্রেক্ষাপট ঘুরে দেখেছেন। যেখানে স্মৃতি হিসেবে রেখে দেওয়া আছে । সেই দৃশ্য গুলো উপভোগ করেছেন এবং তার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে শেয়ার করে চলেছেন। আসলে এই স্মৃতিগুলোই বলে দেয় তারা কত র্নিমম ভাবে বাঙ্গালীদের উপর নির্যাতন করেছে যেটা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
ঠিক বলেছেন। এরকম ইতিহাস নেই বললেই চলে। অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।