ভ্রমণ পোস্ট :- "স্বাধীনতা জাদুঘর" পর্ব - ১৫
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম ভ্রমণের আরও একটি পর্ব নিয়ে। এই ভ্রমণের পূর্ববর্তী পর্বগুলো আপনাদের অনেক পছন্দ হয়েছে, তাই আজকে এর পরবর্তী পর্ব আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম৷ আশা করি আজকের এই পর্বটিও আপনাদের অনেক ভালো লাগবে৷
####তাহলে চলুন শুরু করা যাক৷
যাদুঘরে যতটাই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি ততটাই যেন শুধু এরকম দৃশ্যগুলো ফুটে উঠছে৷ খুব ভালোভাবে সবগুলো দৃশ্য এখানে ক্যাপচার করা হয়েছে এবং যেভাবে এগুলো লাইট দ্বারা এখানে প্রতিফলিত করা হয়েছে তা খুবই সুন্দরভাবেই তারা করেছে এবং সবগুলো দৃশ্য আমরা সকলেই দেখছিলাম এবং আমাদের মধ্যে সকলেরই মনের মধ্যে একটি কষ্ট কাজ করছিল৷
এখানে অনেকগুলো চিত্র রয়েছে যা আমাদের বইয়ের মধ্যে দেওয়া হয়েছিল। তবে এমনও কিছু চিত্র রয়েছে যা আমরা কখনো দেখিনি। এই প্রথম দেখতে পেলাম। খুব কষ্ট করে আমাদের এই দেশের মানুষ যুদ্ধ করে গিয়েছে। তা খুবই ভালোভাবে এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। একইসাথে যারা এই দেশকে বাঁচানোর জন্য সব সময় চেষ্টা করে গিয়েছে তাদেরকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তা এখানে খুব ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে৷
যুদ্ধের সময় যে সকল মানুষগুলো খাবার খেতে পারেনি এবং কোন ধরনের বিশ্রাম নিতে পারেনি এবং চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারেনি তাদের চিত্র এখানে খুব ভালোভাবে ফুটে উঠেছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকলকে যেভাবে মেরে ফেলা হয়েছে সবগুলো বিষয় এখানে ফুটে উঠেছে। একইসাথে যেভাবে এখানে তারা কঙ্কালের মত পড়েছিল তাও খুবই সুন্দর ভালোভাবে ফুটে উঠেছে৷
একটি কথা তখন খুবই কেউ বুঝতে পারত না যে, শত্রুপক্ষ তো আমাদের দেশের কোন জায়গা ভালোভাবে চিনে না। তবে তারা কিভাবে সকল ধরনের জায়গায় চলে যেত। তারা গোপন জায়গাগুলোতে গিয়ে মানুষকে মেরে ফেলতো। তা তখন কেউই বুঝতে পারেনি৷ পরে আমাদেরই কিছু বেইমান মানুষ তাদের সাথে হাটতে দেখা যায়। তখন তারা বুঝতে পারে যে কিভাবে এই শত্রু পক্ষ তাদের এই গোপন জায়গাগুলো চিনে ফেলে৷
প্রতিনিয়ত এই দেশের মানুষেরা বিভিন্ন ধরনের গোপন জায়গা বের করে তাদেরকে লুকিয়ে রাখার জন্য৷ তবুও তারা কোনোভাবে যেন লুকিয়ে থাকতে পারত না৷ শত্রুপক্ষ এসে তাদেরকে মেরে ফেলত৷ তখন এই দেশের মানুষ বুঝতে পারে যে এই দেশে মানুষের পিছনেও কিছু শত্রু রয়েছে৷ তারা সকলকে দেখিয়ে দিত এবং শত্রুপক্ষরা তাদেরকে এসে মেরে ফেলত৷
তারা ভেবেছিল যে তারা শত্রুপক্ষের সাথে মিলে গেলে শত্রুপক্ষ তাদেরকে ছেড়ে দিবে। তবে সেটা কখনোই হয় না। তারা শত্রুপক্ষ হয়ে গেল। তারা ভেবেছিল তারা যখন শত্রুপক্ষকে সাহায্য করলে তারা তাদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে। তাই তাদেরকে আমাদের ভাষা বুঝিয়ে দিত৷ তখন মাঝেমধ্যেই তাদের অনেকেই অনেকভাবে শহীদ হয়ে যেত এবং এভাবেই অনেকদিন চলতে থাকে। দৃশ্যগুলো খুবই ভালোভাবে এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়৷
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
মোবাইলের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
মডেল | এ ১৩ |
ক্যাপচার | @bijoy1 |
অবস্থান | নিজ বাড়ি |
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
অসম্ভব ভালোবাসা রইল আমাকে সাপোর্ট করার জন্য।।
https://twitter.com/bijoy1__2023_SB/status/1746355181175063007?t=VMaeVYwcVaNJACU7vZZI1g&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অসম্ভব ভালোবাসা রইল আমাকে সবসময় সাপোর্ট করার জন্য।
স্বাধীনতা জাদুঘরের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধানের ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ফটোগ্রাফির পাশাপাশি পাশাপাশি আপনি ফটোগ্রাফির বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্য তুলে ধরার জন্য৷ আপনার মুল্যবান মন্তব্য পড়ে অনেক খুশি হলাম।
সু স্বাগতম ভাই। ভালো থাকবেন
আপনার স্বাধীনতা জাদুঘর ভ্রমণের ১৫ তম পর্বের লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রকারের স্মৃতি উক্ত জাদুঘরে অত্যন্ত যত্নের সাথে সংরক্ষিত রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংরক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ একটি জাদুঘর ভ্রমন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য৷