প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আসলাম। আজকে আপনাদের মাঝে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো। আজকে আপনাদের সাথে বিশ্বাস দিয়ে ভালোবাসা যায়, ধ্বংসও করা যায় শেয়ার করবো। পূর্ববর্তী সময়ে আমি আপনাদের মাঝে অনেক জেনারেল রাইটিং শেয়ার করেছিলাম যা আপনাদের অনেক ভালো লেগেছিল৷ তাই আজকে আরো একটি জেনারেল রাইটিং আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

Source

আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে জেনারেল রাইটিং শেয়ার করব সেটির টাইটেল এবং ছবি দেখে আপনারা হয়তো কিছুটা বুঝতে পেরে গিয়েছেন যে আজকে আমি কি বিষয়ে এই জেনারেল রাইটিং শেয়ার করতে যাচ্ছি৷ আসলে এই বিষয়টি আমাদের সকলের ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। আমরা অনেকেই এই বিষয়ে অনেক দুঃখ পেয়েছি এবং অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি৷ একই সাথে এখানে আমি দুটি বিষয়কে একসাথে কম্পেয়ার করার চেষ্টা করব৷ প্রথমে যে ভালো গুন রয়েছে সেটি সম্পর্কে বলে নেওয়া যাক৷ আসলে বিশ্বাস অর্জন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা যদি কারো কোন বিশ্বাস অর্জন করতে পারি তাহলে সে বিশ্বাস দিয়ে আমরা যে কোন কিছুই করে ফেলতে পারব৷ সে বিশ্বাস যদি আমরা অর্জন করি তাহলে সে বিশ্বাস অর্জন করতে যে কষ্ট হয়েছিল তার থেকেও বেশি কষ্ট হচ্ছে সেই বিশ্বাস ধরে রাখা৷ অনেক মানুষ এই বিষয়ে ধরে রাখার ক্ষেত্রে অনেক কষ্ট করে থাকেন৷ যেকোন ক্ষেত্রে সে বিষয়ে ধরে রাখার চেষ্টা করে৷ যেকোন পরিস্থিতি হোক না কেন বিশ্বাসকে কখনোই ভাঙ্গার চেষ্টা করেন না৷ অথবা এমন কোন পরিস্থিতিও তারা সৃষ্টি করে না যাতে করে কোনভাবে অন্য কারো বিশ্বাস ভাঙতে হয়৷ এই বিশ্বাস অর্জন করতে যেরকম আমাদের সকলকে অনেক কষ্ট করতে হয় তেমনি এই বিশ্বাস ধরে রাখার ক্ষেত্রে অনেক কষ্ট করতে হয়৷ তা নাহলে যে বিশ্বাসের সম্পর্ক রয়েছে তা নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে৷

বিশ্বাস যোগ্যতার ক্ষেত্রে আমরা যে ব্যক্তির বিশ্বাস অর্জন করতে চাই তার সাথে সবসময়ই চলাফেরা করতে হবে৷ এমন কোন বিষয় নেই বিশ্বাস অর্জন করার জন্য৷ যে সব সময় তার সঙ্গে থাকতে হয় এরকম কোন কথা নেই৷ যদি কারো বিশ্বস্ত ব্যক্তি হতে হয় তাহলে তার সাথে কখনোই ধোকা দেওয়া উচিত নয়৷ তার সাথে সবসময় সৎ ভাবে থাকা উচিত এবং যেভাবে সে বলে সেভাবেই করে যাওয়া উচিত৷ একই সাথে যখন কোন ধরনের কাজ করার সুযোগ থাকে তখন যদি আমরা তার বিশ্বাস ভঙ্গ করে কাজ করতে থাকি তাহলে আমরা বিশ্বাস অর্জন করার আগেই তা ভেঙ্গে ফেলবো৷ কিন্তু তা কোন মতই করা ঠিক নয়৷ যদি কোনদিন অনৈতিক বা দুর্নীতি করার কোন পথ থাকে তাহলেও তা না করা৷ কারণ যেহেতু একজন ব্যক্তির বিশ্বাস অর্জন করার বিষয় এখানে উঠে এসেছে তাই কখনো যেন কোন ধরনের অনৈতিক এবং দুর্নীতিমূলক কাজ করার ক্ষেত্রেও যেন এগিয়ে না আসা। হয়তো সে ব্যক্তি বিশ্বাস করার জন্য বা বিশ্বাসের পরীক্ষা করার জন্য এরকম কোন ধরনের ফাঁদ তৈরি করতে পারে৷ যাতে করে তার বিশ্বাস অর্জন হয়েছে কিনা সেটি পরীক্ষা করা যায়৷

তাই আমাদেরকে যদি বিশ্বাস অর্জন করতে হয় তাহলে প্রকৃতভাবেই আমাদেরকে বিশ্বাস অর্জন করতে হবে৷ কোনভাবেই কোনদিনও তাকে ধোঁকা দেওয়া যাবে না৷ এই বিশ্বাস করার পর যদি আমরা সবসময়ই তার সাথে চলাফেরা করতে পারি এবং তার যেকোনো ধরনের কাজে আমরাদেরকে সে বিশ্বাস করতে পারব৷ তার এ বিশ্বাস ধরে রাখার ক্ষেত্রেও আমাদেরকে অনেক কষ্ট করতে হবে৷ বিশ্বাস ধরে রাখার মত কষ্টের জিনিস আর কিছুই হতে পারে না৷ কারন আমাদের সামনে অনেক অনৈতিক এবং দুর্নীতি করার সুযোগ থাকবে৷ তবে আমরা যদি সেই সুযোগে লোভে পড়ে পা দিয়ে দেই তাহলে সে বিশ্বাস ভেঙে যাবে৷ তবে তা কোনো মতই করা ঠিক নয়। সেই সুযোগকে আমরা যখন বাদ দিয়ে দিয়ে আমরা বিশ্বাস অর্জন রক্ষা করার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবো তখনই আমরা সবকিছু করে দিতে পারব৷ আবার এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা শুধুমাত্র বিশ্বাস অর্জন করে তার বিশ্বাস ভাঙ্গার জন্য, তাকে নিঃস্ব করে চলে যাবার জন্য৷ তাদের একটা চিন্তা থাকবে যদি একবার তার কাছ থেকে বিশ্বাস অর্জন করা যায় তাহলে সে বিশ্বাস করে অনেক বড় ধরনের কিছু দিয়ে দিতে পারে৷ যেকোনো ধরনের কাজ সে করে নিতে পারবে৷ তাই সে প্রথমে বিশ্বাস অর্জন করানোর জন্য উঠে পড়ে লেগে থাকে৷ সে প্রথম প্রথম এত ভালো কাজ করে যে তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যায়৷

তবে যখন একটা সময় সে বিশ্বাস ভেঙে যখন সবকিছু নিয়ে চলে যায় অথবা একেবারে নিঃস্ব করে দিয়ে তখন তার থেকে দুঃখের বিষয় আর কিছু হতে পারেনা৷ যখন একজন ব্যক্তি কাউকে বিশ্বাস করে বিশ্বাস যখন সেই ভেঙে ফেলে তখন যে ব্যক্তি একেবারে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। যেভাবে এই বিশ্বাস অর্জন করেছিল সে এমন একটি কৌশল অবলম্বন করেছিল যে তাকে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করা যাবে৷ সে কখনো কাউকে ধোঁকা দিবে না৷ তবে শেষ পর্যন্ত যখন সে যখন ধোঁকা দিয়ে দেয় এবং যখন যে কোন কিছুই আর করতে পারে না তখন তার থেকে কষ্টের বিষয় আর কিছু হতে পারে না৷ একই সাথে এই বিশ্বাস ভেঙ্গে যাওয়ার পরবর্তী সময় যখন আমরা সবকিছুই আবার গড়ে নিতে চাই তখন আবারও সেই ভুল করার জন্য বসে থাকে। যে ব্যক্তির বিশ্বাসভঙ্গ করেছে সে ব্যক্তি আর কখনো বিশ্বাস করার ভুল কখনো করা ঠিক নয়৷ কারণ এমন কিছু মানুষ আছে যারা একবার বিশ্বাস ভঙ্গ করে চলে যাওয়ার পরে যখন তাদের আবার প্রয়োজন হয় তখন তারা এসে আবার এমন কিছু কৌশল অবলম্বন করে যাতে করে তাকে আবার বিশ্বাস করা যায়৷ যখন তাকে আবারও বিশ্বাস করা হয় তখন সে তার আগের যে বিশ্বাস ভঙ্গের কাজটি রয়েছে সেটি করে ফেলে৷ আসলে তার যে চরিত্র রয়েছে তা কখনো ঠিক হবার নয়৷ তার স্বভাব চরিত্রের মধ্যে এই বিষয়টি লুকিয়ে রয়েছে৷ সে সবসময় এরকম চিন্তা ধারণা নিয়ে থাকে৷ সে সব সময় এরকম পরিকল্পনা করে যাতে করে বিশ্বাস অর্জন করে বারবার তার বিশ্বাস ভেঙে দেওয়া যায়৷ তাকে একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া যায়। আজকে এই পর্যন্তই৷