আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে মন পিঞ্জিরা। এই নাটকের মধ্যে যে নায়ক ও নায়িকা রয়েছে তাদের নাটক আমার সবসময় ভালো লাগে। তাদের জুটি অনেক সুন্দর হয়ে থাকে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি ও বাংলা ডাবিং করা মুভি অনেক দেখা হতো, অনেক খেলাধুলাও করা হতো তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না৷ তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।

প্রথমে নাটকটি শুরু হয়ে যাবে। এরপর নায়ককে দেখানো হয়। নায়ক এবং নায়কের বন্ধু-বান্ধব মিলে একটি দোকানে আড্ডা দিচ্ছিল। সেখানে পুলিশ চলে আসে। পুলিশ চলে আসার পরে সেখানে তাদেরকে তল্লাশি করতে থাকে এবং তাদের জিজ্ঞাসা করতে থাকে যে তারা এত রাতে এখানে কি করছে। তখন নায়ক বলে তার বাসা কাছে, তাই তারা এখানে আড্ডা দিচ্ছে৷ এরপর আবার পুলিশ বলে যে এখানে কোন ধরনের খারাপ কাজ হচ্ছে তারা এখন এখানে চেক করবে৷ তখন পুলিশ সব জায়গা চেক করতে থাকে৷ তবে কোন কিছুই পায় না৷ তখন নায়ককে জিজ্ঞাসা করতে থাকে এখানে কোনো ধরনের অবৈধ কাজ চলে কিনা৷ তখন নায়ক বলে যে কোন ধরনের কাজে চলে না৷ নায়ক যদি কখনো এই অবৈধ কাজের কথা জানে তাহলে সে অবশ্যই তাকে জানাবে৷ তবে নায়ক ও কিছু লোক এই অবৈধ কাজের মূল৷ নায়কের বন্ধু-বান্ধব মিলে অবৈধ কাজ গুলো করত৷ তারা এমনভাবে পুলিশকে বুঝিয়েছে যে তারা কিছু জানেনা৷ এরপর পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়৷ এরপর একদিন নায়িকার সাথে তার বন্ধুর জন্মদিন পালন করছিল৷ সেখানে নায়ক যায় এবং বলে যে নায়িকা কেন এসেছে৷ তখন তাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা চলে এবং নায়ক তাদেরকে অনেক বকাবকি করতে থাকে৷ এরপর তারা সবাই সেখান থেকে চলে যায়৷ এরপর একদিন নায়িকা তার কলেজে বসেছিল৷ সেখানে গিয়ে নায়ক তার সাথে কথাবার্তা বলতে থাকে এবং তাকে সেখান থেকে বাসায় নিয়ে আসে।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

এরপর একদিন নায়িকাকে সে একটি স্থানে আসতে বলে এবং সেখানে তারা দুজন মিলে অনেক গল্প করছিল এবং অনেক কথা বলছিল। তবে নায়িকা কোন ভাবে নায়কের সাথে কথা বলতে চাইতো না৷ সে সবসময় তাকে বড় ভাই হিসেবে দেখত৷ নায়ক কখনোই তাকে ছোট বোন হিসেবে দেখতো না৷ সে সবসময় তাকে নিজের জীবন সঙ্গিনী হিসেবে দেখতে৷ তাই সে সবসময় নায়িকাকে দেখে রাখত। সে যেখানে যাক না কেন নায়িকার আশেপাশে থাকতো৷ যদি কোন ধরনের সমস্যা হয়ে যায় তখন সেখানে সে এসে সব ধরনের সমস্যার সমাধান করে দিত৷ তবে নায়িকা বুঝতে থাকে যে তাকে নায়ক পছন্দ করে। এই পছন্দ থেকে নায়িকার সাথে তার ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি করতে থাকে। এরপর দুজনের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়। দুজনের এই সম্পর্ক অনেকটা গভীর হতে থাকে৷ তাদের পরিবার থেকেও বিয়ের কথাবার্তা চলতে থাকে৷ এখানে নায়িকা ছিল নায়কের এক বন্ধুর বোন। তাই যখন তার বন্ধুদের সাথে থাকতো তখন যদি নায়িকা কোন ধরনের কল দিত অথবা তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করত তখন নায়ক এবং নায়কের একজন বন্ধু মিলে সেখান থেকে বের হয়ে চলে যেত। যখন এই বিষয়টি নায়িকার ভাই অর্থাৎ নায়কের বন্ধু বিষয়টি দেখতে পায় তখন সে ভাবে যে তাকে ছাড়াই তারা দুজনে মিলে কোন ধরনের কোন কাজ করছে। তাকে কোন ধরনের কাজে এখন তারা ডাকছেও না। তাকে লাভ ছাড়াই তারা একা একা সব কিছু ভোগ করার চেষ্টা করছে। তাই তার মধ্যে একটি খারাপ চিন্তা ভাবনা চলে আসে। তবে নায়ক এবং নায়কের সাথে বন্ধু কোন মতেই অন্য কোন ধরনের অবৈধ কাজের ক্ষেত্রে এই কাজটি করছিল না। নায়িকাকে ভালোবাসার কারণেই তারা সেখান থেকে নায়িকার ভাইয়ের কাছ থেকে একটু দূরে সরে আসে। তবে নায়িকার ভাই এই বিষয়টিকে অন্যভাবে নেয়। এরপর নায়িকার ভাই একদিন নায়ককে একটি বড় ট্রাকে করে অবৈধ জিনিসপত্র আনার জন্য বলে এবং নায়ক তাতে রাজি হয়ে যায়। সে যখন জিনিসপত্রগুলো আনছিল তখন নায়ককে পুলিশে ধরে নিয়ে যায়।

ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে

তখন নায়িকার ভাই নায়িকাকে বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বুঝাতে থাকে৷ নায়িকা অনেক চিন্তিত থাকে যে এতদিন ধরে নায়কের কোন খোঁজ খবর নেই৷ সে এখনো কেন তার সাথে দেখা করার জন্য আসছে না৷ আর কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিয়ে ছিল৷ তাই নায়িকার ভাইয়ের প্ল্যান সাকসেস হলো। সে যে কথাটি চিন্তা করেছিল সেটি ঘটে গেল। সে নায়িকাকে এমন কিছু কথা বুঝিয়ে দিল যা নায়িকা বিশ্বাস করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না৷ নায়িকার ভাই তাকে বিভিন্ন ধরনের কথা নায়ক সম্পর্কে বলছিল৷ সে আগে থেকে অনেক খারাপ কাজে লিপ্ত ছিল এবং এখন সেই খারাপ কাজের জন্য পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে৷ সে এখন আজীবন জেলে থাকবে৷ তখন নায়িকা অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে৷ সে কিছুই করতে পারে না৷ এর আরেকদিন পর একজন পাত্র আসে নায়িকাকে দেখার জন্য৷ এরপর তার বিয়ে হয়ে যায় এবং বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর সে তার স্বামীর বাড়িতে চলে যায়৷ এরপর একদিন হঠাৎ করে নায়ক নায়িকাদের বাড়িতে চলে আসে৷ সেই নায়িকাকে ডাকাডাকি করতে থাকে৷ তবে নায়িকা কোন ভাবে সাড়া দিচ্ছিল না৷ কারণ সে বাড়িতেই ছিল না৷ তখন নায়কের সেই বন্ধু বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে এবং তার সাথে কথাবার্তা বলে। সে এমন একটা ভাব দেখালো সেই নায়কের এই জেল থেকে বের হয়ে আসার কারণে অনেক খুশি হয়েছে৷ তবে সে মনে মনে অনেকটাই দুঃখে ছিল যে নায়ক এত তাড়াতাড়ি কিভাবে জেল থেকে বের হয়ে গিয়েছে। তখন সে নায়ক অনেক ধমক দিতে থাকে এবং বলতে থাকে যে তার বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। দুজনের মধ্যে অনেক কথাবার্তা হয় এবং অনেক রাগারাগি হতে থাকে৷ নায়ক তাকে অনেক ভালো জানতো৷ তবে সে তার সাথে এরকম একটি খারাপ কাজ করবে সে এটি ভাবতে পারেনি ৷ এরপর একদিন সেই নায়িকার সাথে দেখা করে এবং নায়িকাকে তার সব কথা খুলে বলে৷ তখন নায়িকা অনেক কান্নাকাটি করতে থাকে৷ এরপর আবারও নায়িকা তার স্বামীর বাড়িতে চলে যায় এবং এভাবে নাটকটি শেষ হয়ে যায়৷

খুবই সুন্দর একটি নাটক ছিল এটি। যখন আমি নাটকটি দেখে নিলাম তখন আমি নাটকটি সম্পর্কে ভালো কিছু ধারনা পেয়ে গেলাম৷ আসলে এরকম সুন্দর একটি নাটক দেখার মধ্যে আলাদা ভালোলাগা কাজ করে৷ যখন আমি পুরো নাটকটি দেখে নিলাম তখন নাটকটি সম্পর্কে আমি অনেক কিছু জানতে পারলাম৷ এই নাটকের মধ্য দিয়ে একটি বাস্তব ঘটনাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ আমরা আমাদের বন্ধুবান্ধব নির্বাচন করতে অনেক সতর্ক থাকতে হবে৷ যদি আমরা আমাদের বন্ধুবান্ধব নির্বাচন করতে সতর্ক না হই তাহলে আমাদের জীবনে অনেক সমস্যা হবে৷ তেমনি এই নাটকের মধ্যেও সেরকম একটি ঘটনাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ নায়ক তার বন্ধুকে অনেক বিশ্বাস করত৷ সে সবসময় তাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতো এবং হঠাৎ একদিন যখন নায়কের সেই বন্ধুই তাকে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দিল তখন তার থেকে দুঃখের বিষয় আর কিছুই ছিল না৷ নায়ক তার বন্ধুর বোনকে পছন্দ করত এবং তার বন্ধুর বোনও নায়ককে অনেক পছন্দ করত৷ তাদের দুজনের মধ্যে সম্পর্ক ভালোই ছিল৷ তাদের দুজনের বিয়ের কথাবার্তাও চলছিল৷ তবে নায়কের সেই বন্ধু এই বিষয়টি কোনভাবে সহ্য করতে পারে না৷ সে বলে যে তার বোনকে কখনোই নায়কের সাথে বিয়ে দিবেনা৷ তাই সে নায়কের জন্য একটি ফাঁদ তৈরি করে৷ এর ফলে নায়ককে পুলিশে ধরে নিয়ে যায়৷ এরপর থেকে নায়কের সেই বন্ধু অনেক সুখে থাকে৷ তবে হঠাৎ করে যখন নায়ক জেল থেকে বের হয়ে আসে তখনই সে অনেকটাই দুঃখ প্রকাশ করতে থাকে৷ এমন একটা ভাব নেয় যাতে করে সে নায়ককে অনেক মিস করেছে৷ তবে তা কোন মতে সত্যি নয়৷ শেষ পর্যন্ত নায়ককে যখন সে ধমকি দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে তখন নায়ক বুঝতে পারে যে সবকিছু তার বন্ধুই করেছে। আসলে আমাদেরকে সবসময় সতর্ক থাকা উচিত৷ আমাদের নিজস্ব আপন যে সকল মানুষজন রয়েছে তারাই হয়তো একদিন আমাদেরকে এভাবে ঠকিয়ে দিবে৷ আমরা কোন কিছু বুঝতেই পারবো না৷ তাই আমাদের সবসময় উচিত আমাদের বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদেরকে ভালোভাবে চিনে রাখা এবং সব সময়ই তাদের থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলা৷ যাতে করে এরকম কোন ক্ষেত্রে যেন আমাদেরকে ঠকে যেতে না হয়৷

আমার রেটিং