ভ্রমণ পোস্ট :- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে কিছু সময়" পর্ব - ০৭
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
সবাইকে আমার পক্ষ থেকে স্বাগতম। আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আমার বাংলা ব্লগের জন্য একটি অসাধারণ পোস্ট।
কমিউনিটির সকলে কেমন আছেন। সকলের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা রইল। আমি আশা করি সকলে আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করবেন।
আজকে আমি আবার আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আরো একটি ভ্রমণের পর্ব নিয়ে। এর পুর্ববর্তী পর্বগুলো আমি আপনাদের মাঝে প্রকাশ করেছিলাম। সেই পর্বগুলো আপনাদের অনেক পছন্দ হয়েছে। তাই এর পরবর্তী পর্ব আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম। আশা আজকের এই পর্বটিও আপনাদের অনেক পছন্দ হবে।
আজকের এই পর্বের মধ্যে আমি আরো একটি ভিন্ন ধরনের বিষয় তুলে ধরব। আজকের এই পর্বের মধ্যে আমি যে বিষয়টি তুলে ধরব সেই বিষয়টি হলো সেখানে অবস্থান করার আরো কিছু সময়।
এখানে প্রথমে আমরা যখন হাটতে থাকি তখন খুবই সুন্দর একটি খাবার দেখতে পাই। তখন যে খাবারটি আমি দেখি তখন এই জিনিসটি কি আমরা জানতাম না। আমরা প্রথমে যখন এই খাবারটিকে দেখতে পাই তখন এই খাবারটিকে এই প্রথম দেখতে পাই। তখন এই খাবারটিকে দেখে আমি অনেক মুগ্ধ হয়ে যাই। আমরা দুজনে মিলে এই খাবারটিকে এই প্রথম দেখি এবং খেয়ে দেখলাম এর স্বাদ কিরকম। খেয়ে দেখলাম এটি অনেক সুস্বাদু। আপনারাও এই খাবার খেয়ে দেখতে পারেন।
এখানে যখন আমরা হাঁটছিলাম তখন অনেক কিছুই দেখছিলাম। যখন একটু দূর হতে ওই গ্লাসের টাওয়ার এর দিকে তাকালাম তখন দেখতে পেলাম সূর্য যেন তার তার মাথার উপরে খুবই সুন্দরভাবে অবস্থান করছে। এরকম বোঝা গেল যেন গ্লাসের উপর সূর্যের আলো অবস্থান করছিল৷ যখন আমি এই সুর্যের আলোকে ওই টাওয়ারের উপর দেখতে পাই তখন খুব সুন্দরভাবে এই আলো দেখা যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল যেন একটি লাইট সেখানে নতুনভাবে লাগানো হয়েছে৷ আর এই সুর্যের দিকে তাকাতেও আমার এত কষ্ট হচ্ছিল না।
যখন চারপাশে তাকালাম তখন দেখতে পেলাম একটি বড় বিল্ডিং দেখা যাচ্ছে৷ সেখানেও এই সূর্যের আলো খুবই ভালোভাবে পড়ছিল। যখন এই সূর্যের আলো এখানে পড়ছিল তখন আমি বিল্ডিং এর দিকে তাকাতেই আমার চোখে একটি আলাদা আলো এসে পড়ে। তখন ওই বিল্ডিংও যেন আলোকিত হয়ে গেলো।
এবার আমরা হাঁটতে হাঁটতে দুপুর হয়ে গেলো। তখন অনেক্ষণ সময় আমরা হাটাহাটি করার পর আমাদেরকে খাবার খাওয়ার জন্য ডাকা হলো। তাই আমরা সকলে আমাদের খাবার খাওয়ার জন্য আমাদের বাসে চলে আসি। সেখানে এসে দেখি বাসের অবস্থা একেবারে খারাপ। সেখানে এসে দেখালাম বাস কাঁদায় আটকে গিয়েছে। আর সকলে মিলে বিভিন্ন বুদ্ধি দিচ্ছে এবং চেষ্টা করছে।
অনেক্ষন চেষ্টা করার পরেও বাস ওঠার কোনো নাম নেই। তখন বাসের ওজন বৃদ্ধি করার জন্য আমাদের সকলকে গাড়িতে ওঠানো হলো। তারপরও গাড়ি উঠলো না। তো তারপর আমাদের সবাইকে এবার খাবার দেওয়া হলো৷ তখন আমরা সকলে গাড়িতে বসে খাবার খেয়ে নিলাম। তখনও আমাদের গাড়ি কিভাবে ওঠানো হবে সেই চিন্তায় ড্রাইভাররা চিন্তিত ছিল।
এবার আমরা খাবার খাওয়ার পর আবার বেরিয়ে গেলাম। সেখানে অনেক্ষন সময় আবার বাইরে কাটালাম। এদিক সেদিক হাটাহাটি করতে থাকলাম। আর বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করলাম যা আগামী পর্বগুলোতে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব।
আশা করি আজকের এই পর্বটি আপনাদের অনেক পছন্দ হবে। এর পরবর্তী পর্বগুলো আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরব। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
তো বন্ধুরা আজকে আর নয় । আশা করি সামনে আরও ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হবো। এই পোস্টে যদি কোনো ভুল থাকে তাহলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আমার যেকোনো প্রকার ভুলের জন্য আমি অগ্রীম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাদের কাছে।
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
মোবাইলের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
মডেল | এ ১৩ |
ক্যাপচার | @bijoy1 |
অবস্থান | নিজ বাড়ি |
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
অনেক সুন্দর একটি ভ্রমণ বিষয়ে পোস্টার আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইজান। আপনার আজকের এই ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেছেন। সে সময়ের বিশেষ বিশেষ কিছু অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। যেখানে খাওয়া-দাওয়া গাড়ি তোলা সহজ উদ্যানের জায়গার বিবরণ খুঁজে পেলাম।
আপনার এই সুন্দর মন্তব্য আমার জন্য অনেক বড় একটি অনুপ্রেরণা।
https://twitter.com/bijoy1__2023_SB/status/1726051765123211460?t=sk70ixQX7O7zcGBrbnh3Lw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অসম্ভব ভালোবাসা রইল আমাকে সবসময় সাপোর্ট করার জন্য৷
ভাই একটু অবাক হলাম আপনি মোরব্বা এর আগে কখনো দেখেন নি জন্য। আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার হল এই মোরব্বা।আপনি জেনে অবাক হবেন মোরব্বা কিন্তু প্রধানত লাউ দিয়ে বানায়।সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আপনার ঘোরাঘুরির অভিজ্ঞতা ভাল লাগল।তবে পোস্টটি আরেকটু বড় হলে ভাল হত। যাই হোক শেষ পর্যন্ত বাস কিভাবে উঠল তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার সময় ব্যয় করে আমার এই পোস্টে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
সেই দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কাঁদায় বাস আটকে যাওয়াতে অনেক কষ্ট হয়েছে বাসটি সে কাঁদা থেকে উদ্ধার করতে। বিকেল বেলা প্রোগ্রাম শেষ হয়ে গেল তারপরও বাসটি সেখান থেকে উঠানো যায়নি। আর এই বাস উঠাতে লেট হওয়াতে আমরা বাসায় আসতেও লেট হয়েছে। যাই হোক আগামী বিষয়বস্তুর অপেক্ষায় রইলাম।
হুম। ঠিক বলেছেন ভাইয়া৷
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাহলে ভালোই ঘোরাফেরা হলো। আর কাঁদায় বাস আটকে যাওয়ার ঘটনাটা তোর ভাইয়ের মুখে শুনেছি। বাস উঠাতে নাকি অনেক লেট হয়েছে, আর অনেক কষ্টও হয়েছে। তবে সবদিক ঠিকঠাক করে সহিসালামত বাসায় আসতে পেরেছে এটাই অনেক। ধন্যবাদ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হুম। ঠিক বলেছ আপু৷ অন্য আরেকটি গাড়ি উঠাতে ক্রেন আনা হয়েছিল৷