এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের দশম পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।

প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

আপনারা গত পর্বে দেখেছিলেন যে আমরা কক্সবাজারে রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করেছিলাম এবং সেখান থেকে বের হয়ে পড়েছিলাম। সেখান থেকে বের হওয়ার পরে গাড়িতে করে আমরা আমাদের মুল গন্তব্যের দিকে এগিয়ে গেলাম। আমরা আমাদের হোটেলের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। হোটেলে যাওয়ার পথে আমরা সেখানে অনেক কিছুই দেখতে পেলাম। গাড়ি করে অনেক দূর পর্যন্ত যাওয়ার পরে আমরা আমাদের হোটেল পর্যন্ত এসে পড়লাম। হোটেলে আসার জন্য যে রাস্তা ছিল এই রাস্তায় আমরা নতুন নতুন অনেক কিছু দেখতে পেলাম। অনেক ভিন্ন ধরনের কিছু দেখলাম যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। এরপর আমরা আমাদের হোটেল এসে বসলাম এবং সেখানে আমাদের পরিচিত বড় ভাই থাকার কারণে আমরা সেই হোটেলে উঠলাম। সেই হোটেলে অবস্থান করার পরে আমরা বুকিং করে নিলাম। এরপর সেখানে আমরা কিছুক্ষন বসে রেস্ট করে নিলাম। এরপর আমাদের হোটেল এর রুমের ব্যাপারে কথাবার্তা হচ্ছিল। এরপর আমরা সেখানে আমাদের ব্যাগ নিয়ে বসেছিলাম। এরপর আমাদের রুমের চাবি দিয়ে দিল এবং আমরা রুমে চলে গেলাম।

রুমে চলে যাওয়ার পরে কিছুক্ষণ রেস্ট করে নিলাম এবং রেস্ট করার পরে আমরা খাওয়ার জন্য বের হয়ে গেলাম। সেখানে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট ছিল। অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট খুব সুস্বাদু কিছু খাবার ছিল। আমরা একটি রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করলাম। সেখানে কিছু খাওয়া দাওয়া করে নিলাম। খাওয়া দাওয়া করার পরে আমরা আবার রুমে চলে গেলাম। সেখানে কিছুক্ষণ বসে পড়লাম এবং সেখান থেকে কিছুক্ষণ রেস্ট করে নিলাম। আমরা সকলে একেবারে ক্লান্ত ছিলাম। তবে আমি বলছিলাম যে এখনই বের হয়ে যেতে। এখন বিকাল হয়ে যাচ্ছে। এখনি বাইরে চলে যাওয়া প্রয়োজন। তখন ওনারা বললেন ওনারা এখন যাবেন না। তখন আমি বাইরে চলে আসলাম। সেখানে বারান্দায় অনেক্ষন দাঁড়িয়ে রইলাম। সেখানে এদিক থেকে ওদিকে দেখার মধ্যে আলাদা ভালোলাগা কাজ করছিল। আমাদের এই বিল্ডিং একেবারে রাস্তার পাশে হওয়ার কারণে চারপাশের সুন্দর জায়গা বেশ অসাধারণভাবে দেখা যাচ্ছিল।

যখন আমি বারান্দায় এসে দাঁড়াই তখন দেখতে পাই রাস্তা দিয়ে অনেক গাড়ি চলাচল করছে এবং সেই রাস্তার মধ্যবর্তী স্থানের যেই গাছগুলো রয়েছে সেই গাছের মধ্যেও একটি পানির ট্যাংক দ্বারা পানি দেওয়া হচ্ছিল। গাছের পরিচর্যা করা হচ্ছিল । যেদিকে তাকাই সেদিকে শুধু বড় বড় বিল্ডিং দেখা যাচ্ছিল এবং আমি যেখানে দাঁড়িয়েছিলাম সেখান থেকে সূর্যাস্ত খুব সুন্দর ভাবে দেখা যাচ্ছিল। বিকেল হওয়ার কারণে সূর্য কিছুটা লাল হয়ে গিয়েছিল। এই সূর্য এখানে লাল হয়ে দেখা যাচ্ছিল। তখন এটি ধীরে ধীরে যেন নিচের দিকে নেমে যাচ্ছিল। আমি যখন প্রথমে সেখানে গিয়ে দাঁড়াই তখন দেখেছিলাম অনেকক্ষণ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার পরে দেখতে পারলাম যে সূর্য অনেকটা নিচে নেমে গিয়েছে। এটি আরো লাল হয়ে যাচ্ছে এবং এরপর নিচে নেমে গেল। একইসাথে আমি অন্য দিকে তাকিয়ে দেখি যে খুব সুন্দর একটি বিল্ডিং রয়েছে সেটা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। একইসাথে এখানে অনেক মানুষ হাঁটাচলা করছিল। এখান থেকে যে বিচ রয়েছে সেদিকে শুধু মানুষদেরকে দেখা যাচ্ছিল৷ আজকে এই পর্যন্ত।