গল্প:- "একজন অহংকারি ব্যাক্তি" (পর্ব-০৭)
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
তবে যখন অহংকারী ব্যক্তি এই বিষয়টি সম্পর্কে একটু ভয় পেয়ে গেল এবং সে বুঝতে পারল সে যদি বেশিদিন এই দেশে থাকে তাহলে তার অবস্থাও একেবারে খারাপ হতে চলেছে৷ তাই সে তার অনুসারীদেরকে ভালোভাবে গাইড করার জন্য এবং ভালোভাবে তাদেরকে যেন সব কাজ করাতে পারে তাই জন্য সে সকলকে না জানিয়ে বিদেশে চলে যায়। বিদেশ যাওয়ার পরে সে বলে যে সে বিদেশে একটি কাজে এসেছে এবং সে বিদেশ থেকে তাদের জন্য টাকা পাঠাবে এবং যাতে করে তারা বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকতে পারে তার জন্য তাদেরকে সে বিদেশ থেকেই পরিচালনা করবে । এর জন্য সে বিদেশে গিয়ে অনেক সময় অবস্থান করে এবং মাসের পর মাস এভাবে চলতে থাকে এবং তাদেরে অত্যাচারও প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেতে থাকে৷ আজকে এই পর্যন্তই৷
আজকে অনেকদিন পরে আমি আপনাদের মাঝে এই গল্পের আরো একটি পর্ব নিয়ে চলে আসলাম।। এই গল্পের ষষ্ঠ পর্ব আমি অনেক আগে শেয়ার করেছিলাম৷ তবে আজকে এই গল্পের সপ্তম পর্ব শেয়ার করার চেষ্টা করবো৷ গল্পের ষষ্ঠ পর্বে আমি যা বলেছিলাম তা উপরে আমি লিখে দিয়েছি৷ আজকে এর সপ্তম পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি৷ এই সপ্তম পর্বের মধ্যে আমি আরো নতুন কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব৷ সে ব্যক্তি যখন বিদেশ চলে যায় তখন তার সাথে যে আরো একজন পার্টনারের মতো লোক ছিল সে তার পিছন পিছন চলে যায়৷ যখন সে ব্যক্তি বিদেশে অবস্থান করতে থাকে তখন সেখান থেকে সে সবকিছু গাইড করতে থাকে৷ সে এতটাই দক্ষ ভাবে গাইড করতে থাকে যে সে দেশে থাকতে যেভাবে সকলকে গাইড করতো ঠিক তেমনি ভাবে বিদেশ থেকেই সে একই পদ্ধতিতেই সকলকে গাইড করে আসছে৷ সকলেই তার গাইডলাইন মেনেই সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং তার যে পার্টনার ছিল সে যখন তার কাছে চলে যায় তখন সে আরও একটু শক্তি পায়৷ সে তার সাথে আরও বিভিন্ন আলাপ আলোচনা এবং গবেষণা করতে থাকে৷
যখন তারা দুই পার্টনার বিদেশ থেকে তাদের দেশে থাকা ব্যক্তিদেরকে গাইড করতে থাকে তখন দেশে থাকা কিছু ব্যক্তিদের মধ্যে একটু মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়ে যায়৷ এর ফলে কিছু ব্যক্তি ওই অহংকারী ব্যক্তির প্রতি কিছুটা ঘৃণা সৃষ্টি হয়ে যায়৷ তবে এই ঘৃণা কোনভাবে তারা বুঝতে দেয়নি৷ তারা তাদের মতোই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিল৷ তারা সবকিছুই খুব ভালোভাবে করছিল৷ তাদেরকে যেভাবে গাইড দেওয়া হয়েছিল তারা সবকিছু মেনে কাজ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল৷ তারা এত ভালোভাবে তাদের ফ্যাক্টরি চালনা করছিল যে পুলিশ কোনভাবেই এই বিষয়টি বুঝতে পারল না৷ যারা তাদের বিরুদ্ধে ছিল তাদেরকেও তারা কৌশল করে এলাকা থেকেই বের করে দিয়েছে৷ পুলিশকে খবর দিবে এমন কোন মানুষও ছিল না৷ তারা তাদের মত করে সবকিছু চালিয়ে যাচ্ছিল৷ একমাত্র তারাই এলাকার মধ্যে রাজ করছিল৷
তবে তাদের এলাকার এই রাজ বেশিদিন টিকলো না৷ যখন তাদের নিজেদের মধ্যেই ঝামেলা সৃষ্টি হয়ে গেল তখনই সব কিছুর পতন শুরু হতে লাগল৷ আসলে যদি নিজেদের ভিতর কোন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় তাহলে কোন কিছুই ঠিক থাকে না৷ আর যদি নিজেদের লোকেরাই নিজেদের পেছনে চুরি ঢুকিয়ে দেয় তখনই সবকিছু একেবারে ধ্বংসের দিকে চলে যায়৷ ঠিক তেমনি এরকম একটি ঘটনা এখানে ঘটেছিল৷ যখন অহংকারী ব্যক্তির অনুসারীদের মধ্যে একজন ব্যক্তিকে সে অহংকারী ব্যক্তি বলেছিল যে তাকে অনেক বড় উপকার করবে এবং তার জন্য অনেক কিছুই করে দিবে এবং তাকে একটি স্থাপনা করে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাও সেই ব্যক্তি করেছিল৷ তবে তার স্থাপনা যখন অর্ধেক কমপ্লিট হয়ে যায় তখন সে ব্যক্তি মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে যে তার স্থাপনা তাকেই করতে হবে। সে আর করে দিতে পারবে না৷ তখন ওই অহংকারী ব্যক্তির অনুসারী ব্যক্তি সে বিষয়টি নিয়ে একটি ক্ষোভ সৃষ্টি হয়ে যায় এবং সে কোনভাবেই তার এই ক্ষোভের কথা অহংকারী ব্যক্তিকে বুঝতে দেয়নি৷
তাই সে আগের মতোই ভালোভাবে কাজ করতে থাকে। যাতে করে সে ব্যক্তির বিশ্বাস অর্জন করা যায়। সে এতটাই বিশ্বাস অর্জন করে যে সেই ব্যক্তি ওই অহংকারী ব্যক্তির যেসকল নিজস্ব স্থাপনা গুলো রয়েছে এ সে স্থাপনাগুলোর মধ্যে সে ব্যক্তি অবস্থান করে। তার ভিতরে একটি চিন্তাধারা ছিল যে সে যদি কখনো সুযোগ পায় তাহলে সে অহংকারী ব্যক্তির কোন না কোন ক্ষতি করে দিবে। অহংকারী ব্যক্তি যখন বিদেশে অবস্থান করে তখন সে ব্যক্তি কোন কিছু খবর পাচ্ছিল না। কারণ তার মূল খবরদাতাই এখন খারাপের পথে চলে যাচ্ছিল। কারণ তার যে স্থাপনা দেওয়ার কথা সে অঙ্গীকার করেছি সে তা রাখেনি। তাই সে এখন অহংকারী ব্যক্তির উপরে একটা ক্ষোভ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। সে ক্ষোভ কোনভাবেই কমার নয়। কারণ কাউকে যখন কোন কিছুর অঙ্গীকার দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে যদি সে অঙ্গীকার পূরণ করা না হয় তখন তার থেকে বড় কষ্টের বিষয় আর কিছুই হতে পারে না৷ ঠিক তেমনি একটি কষ্ট যেরকম মনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল তেমনিই তার ভিতরে প্রতিনিয়ত ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছিল৷ আজকে এই পর্যন্তই৷ পরবর্তীতে এই গল্পের মূল টুইস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | গল্প |
---|---|
লেখক | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ১৩.০৮.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://x.com/bijoy1__2024_SB/status/1823194101296312573?t=RpuC8v8w_ZrjvBwG9075sw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.