ভ্রমণ পোস্ট :- "স্বাধীনতা জাদুঘর" পর্ব - ১২
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
আজকে আবারও ভ্রমণের আরো একটি পর্ব নিয়ে চলে আসলাম৷ পূর্ববর্তী পর্বগুলোতে আমি আপনাদের মাঝে অনেকগুলো বিষয় তুলে ধরেছি৷ আজকেও সে ভ্রমনের আরো নতুন নতুন কিছু বিষয় তুলে ধরার চেষ্টা করব৷ আশা করি আজকের এই নতুন বিষয়গুলো আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ হবে৷
বাংলাদেশের শত্রুরা বাংলাদেশের মানুষের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল যার অনেকগুলো বিষয়বস্ত এখানে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ৷ খুবই ভালোভাবে এই বিষয়বস্তুকে এখানে তুলে ধরা হয়েছে৷ যেভাবে মানুষকে যেখানে সেখানে মেরে ফেলা হয়েছিল এবং যেভাবে যে অবস্থাতে যাকে পেয়েছে তাকে সেভাবেই মেরে ফেলা হয়েছে৷ সে বিষয়গুলো এখানে তুলে ধরা হয়েছে৷
মানুষদের কান্না দুঃখ কেউ তখন বুঝতো না৷ কেউ কাউকে সাহায্য করার জন্য প্রথমে বেরিয়ে আসতে চাইনি৷ কারণ যারা যাকে সাহায্য করতে আসবে তাদেরকেও তারা মেরে ফেলত, তাই তারা চলে যাওয়ার পরেই তারা সাহায্য করতে আসতো৷ তবে সেই সময় সাহায্য করার চেয়ে না করাটাই শ্রেয়া ছিল৷ কারণ তার আগে তারা মারা গিয়েছিল৷
মানুষজনকে এত বেশি পরিমাণে তারা মেরেছিল যে কেউ এসে তাদের খোঁজখবর নিবে, তাদেরকে কবর দেবে, সেরকম মানুষও খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ সকলকে তারা মেরে ফেলেছে৷ যার ফলে সকলে এক জায়গায় মারা গিয়েছিল৷ সেই জায়গায়ই তাদের কবর হয়ে গিয়েছে৷ তাদের শরীরে সমস্ত কিছু পঁচে গিয়েছে৷ শুধুমাত্র তাদের হাড়গুলো দেখা যাচ্ছিল৷
একই সাথে যখন যুদ্ধ চলছিল তখন দুই দেশেরই মানুষজন মারা গিয়েছিল৷ এর ফলে দুই দেশেরই মানুষজনের যে কঙ্কাল ছিল, সে কঙ্কাল গুলো একসাথে হয়ে গিয়েছিল। যার ফলে কঙ্কাল গুলো একসাথেই সবগুলো দেখা যাচ্ছিল এবং তারা এই ফটোগ্রাফি করতে গিয়েও অনেক ব্যথিত হয়েছেন৷
এভাবে চলতে চলতেই প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটতে লাগল৷ পুরুষ প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যুর খবর শোনা যেতো৷ প্রতিদিনই গুলির আওয়াজ শোনা যেত৷ কখন কোথা থেকে এসে কাকে মেরে দিবে সকলে এই চিন্তায় চিন্তিত থাকতো৷ পুরো দেশের মানুষ অনেক আতঙ্কিত হয়ে ছিল।
সকলে তাদের নিজস্ব স্থান ত্যাগ করে৷ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর হয়ে গিয়েছিল৷ সেই স্থানান্তর হওয়ার পরেও অনেকে নিহত হয়েছে৷ আবার স্থানান্তর হওয়ার সময় তারা যে পথে অবস্থান করছিল সেখানেও তারা নিহত হয়ে গিয়েছে৷
আর এই সকল বিষয়বস্তুগুলো ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য এই ছবিগুলোকে একটি বক্সের ভিতরে রাখা হয়েছে এবং এর বক্সের মধ্যে খুবই সুন্দরভাবে আলো দিয়ে অন্ধকার ঘরের মধ্যে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে৷ যার ফলে এই দৃশ্যগুলো সকলের চোখে খুবই ভালোভাবে পড়ে৷
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
মোবাইলের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমণ |
মডেল | এ ১৩ |
ক্যাপচার | @bijoy1 |
অবস্থান | নিজ বাড়ি |
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
https://twitter.com/bijoy1__2023_SB/status/1739119025286951019?t=4KtMZAmotC7v-79o44fxmg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক ধন্যবাদ আমাকে সবসময় সাপোর্ট করার জন্য।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন স্বাধীনতা জাদুঘর ভ্রমণ। আপনার শেয়ার করা পোস্টের মাধ্যমে অনেক আগের ইতিহাস জানতে পারলাম। দুই দেশের মানুষের মাঝে যখন যুদ্ধ হয়েছিল তখন অনেক মানুষ এই যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছিল। কখনো কখনো আশেপাশে সেই সময় গুলির আওয়াজ শোনা যেত। বেশ দারুন একটি পোস্ট লিখে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাই।
অনেক ধন্যবাদ৷ আপনার এই মন্তব্য পড়ে আমি অনেক খুশি হলাম৷
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আমরা প্রত্যেকে কম বেশি জানি। তবে বর্তমান জেনারেশন এই জ্ঞান থেকে অনেকটা পিছিয়ে গেছে। তবে এই জাদুঘরে গিয়ে যদি এখনকার জেনারেশন একটু সময় কাটায় তাহলে হয়তো তাদের পুরনো ইতিহাস আবার ফিরে পেতে পারে। আপনি আসলে বেশ কিছু ব্যাপার অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন। তাছাড়া ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক মর্মাহত হলাম ভাই।
হুম। ঠিক বলেছেন। জাদুঘরে অনেক কিছু শিখার মতো আছে৷