" ঘরোয়া পদ্ধতিতে সুস্বাদু বেগুনী রেসিপি "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে আমার একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে এলাম। আমার বাংলা ব্লগের কল্যাণে আমি অনেক কিছু নিজে নিজেই করেছি। আর সব সময় চেষ্টা করি নিজের কাজগুলোকে সঠিকভাবে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার।সেই হিসেবে আজ আমি একটা রেসিপি নিয়ে এলাম।যদিও আমি রান্না পারিনা, তবে আম্মু যখন রান্না করে তখন দেখি আর শেখার চেষ্টা করি।আর এই রেসিপিটা দেখলাম একদম সহজ।অল্প কিছু উপকরণে এই রেসিপি তৈরি করা যায়।একদম সহজ একটা রেসিপি, যে কেউই তৈরি করতে পারবে। যাইহোক,আমার আজকের এই রেসিপিটি দেখে আসুন,আশা করছি ভালো লাগবে।
উপকরণসমূহ |
|---|
| পরিমাণ |
বেশন | ১ কাপ | চালের গুঁড়া | ১/২ কাপ | হলুদ গুঁড়া | ১/২ চা চামচ | মরিচ গুঁড়া | ১/২ চা চামচ | লবণ | পরিমাণ মতো | জিরা গুঁড়া | ১/২ চা চামচ | আদা, রসুন বাটা | ১/২ চা চামচ | বেগুন | ১টি | তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমে একটি বেগুন নিয়ে নিলাম৷ এটিকে চিকন করে কেঁটে নিলাম৷
এরপর চালের গুঁড়া ও বেশন নিয়ে নিলাম।এরপর এটিকে মিক্স করলাম।
এরপর এর মধ্যে লবণ, মরিচ, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, আদা, রসুন বাটা,জিরা গুঁড়া দিয়ে দিলাম।
এরপর একটু একটু পানি দিয়ে এটিকে ভালোভাবে মিক্স করে নিলাম।
এরপর বেগুনকে এই মিশ্রনে দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে তেলের মধ্যে দিয়ে দিলাম৷ এর কিছুক্ষন পরে উঠিয়ে নিলাম। তৈরি হয়ে গেল আমাদের এই সুস্বাদু বেগুনী।
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
|
|---|
| ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
|---|---|
| ধরণ | রেসিপি |
| মডেল | এ ১৩ |
| ক্যাপচার | @bijoy1 |
| অবস্থান | নিজ বাড়ি |
.png)
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
বাহিরের সব তেলে ভাজা জিনিস থেকে, ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঘরে বানিয়ে খাওয়াই ভালো। কারণ এগুলো স্বাস্থ্যসম্মত। আমিও এভাবেই ঘরে বেগুনি তৈরি করি খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন। তারা এটি কিভাবে তৈরি করে তা খাওয়া থেকে না খাওয়াই ভালো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতি অনেক অনেক ভালোবাসা রইল আমাকে সবসময় সাপোর্ট করার জন্য।
আসলে কেউ আগে থেকে পারে না। আপনি রান্না চেষ্টা করছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে নিজের হাতের তৈরি জিনিস এর তুলনা হয় না। আপনার বেগুনি গুলো দেখে লোভ লেগে গেল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
চেষ্টা করি সবসময় নতুন কিছু তৈরি করার৷ একইসাথে সবগুলো ধাপ শেয়ার করার।
বেগুনের চপ সবার খুব প্রিয় এই খাবার।আমার তো ভীষণ ভালো লাগার একটি খাবার।গরম গরম মচমচে বেগুনের চপ খেতে কি যে ভালো লাগে তা বোঝাতে পারবো না।আপনি ভীষণ লোভনীয় করে বেগুনের চপ রেসিপিটি শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে।খুব সুন্দর খেতে হয়েছে জানি।ধাপে ধাপে চমৎকার ভাবে চপ তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদম। এগুলো আমরা রমজান মাসে তৈরি করে থাকি৷ একইসাথে এর স্বাদের কথা তো মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে বেশ দারুণভাবে বেগুনী রেসিপি সম্পন্ন করেছেন। রমজান মাসে বেগুনি খেতে ভীষণ ভালো লাগে ইফতারের সময়। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। দেখতে ভীষণ ভালোই লাগতেছে। মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে।শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
চেষ্টা করেছি সবগুলো ধাপ ভালোভাবে উপস্থাপন করার৷
আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুব ভালো লাগলো।
বাহিরের খাবারের চেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যে কোন কিছু তৈরি করলে সেটা অনেক ভেজাল মুক্ত একটি খাবার। ভাইরে খাবারের প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করা হয় যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আপনি আজ ঘরোয়া পদ্ধতিতে বেগুনের চপ রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। এ ধরনের খাবার ইফতারের সময় খুবই ভালো লাগে খেতে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্বাদু একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
একদিন বাইরে থেকে এই বেগুনী এনেছিলাম। এর যে স্বাদ ছিল তা আমাদের শরীরের জন্য মোটেও ভালো না।
আপনি খুবই সুন্দর ও সহজ ভাবে রেসিপি টি শেয়ার করছেন।বেগুনি চপ আমার অনেক পছন্দের। আর এখন প্রতি দিন ইফতারের সময় বেগুন চপ খাওয়া হচ্ছে। তবে আপনার রেসিপি টি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ইফতারিতে এই বেগুনী না থাকলে যেন অনেকটাই অপুর্নতা থেকে যায়।
গরম গরম বেগুনী খেতে ভীষণ মজা লাগে। এখন তো রমজান মাসে। তাই প্রতিদিন ইফতারে খাওয়া হয়। আপনি বাসায় অনেক সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করেছেন। এবং আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে সুন্দর করে বর্ননা করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
একদম। রমজান মাস হওয়ায় প্রতিদিনই এই বেগুনী খাওয়া হয়। বেগুনী না থাকলে যেন ভালোই লাগে না।
এমন ফুলকো বেগুনি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ঘরে তৈরি খাবার সব সময় স্বাস্থ্যসম্মত হয়। তার জন্য এসব ভাজাপোড়া খাবার ঘরে তৈরি করে খাওয়াই সবচেয়ে বেশি ভালো। আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুব সুন্দর ভাবে বেগুনি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার বেগুনি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঘরোয়া জিনিস যেভাবে তৈরি করা হয় তা সুস্বাদু হওয়া ছাড়া কোনো উপায়ই থাকে না।
রমজান মাসে প্রায় প্রত্যেক দিনে বাসায় বেগুনি তৈরি করা হয়। বেগুনি আমার ভীষণ পছন্দের। আপনি আজ গোল বেগুন গুলো দিয়ে বেগুনি তৈরি করেছেন। বেগুনিগুলো খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তৈরি করার পুরো প্রসেসটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার এই সুন্দর ও গোছালো একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ৷