কক্সবাজার ভ্রমণ [পর্ব:-০৭] ~ " চট্টগ্রাম রেইলওয়ে স্টেশন এ যাত্রা শুরু "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
এই ভ্রমণের পর্ব একেবারে প্রথম থেকে শুরু করতে যাচ্ছি৷ আপনারা হয়তো অনেকেই ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছেন যে আমি কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়েছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম৷ হয়তো @bristy1 আপু ও @nevlu123 ভাইয়া ওনাদের মাধ্যমে আমাকে ওনাদের পোস্টে অনেকেই দেখেছেন। তাই আজকে আমি আমার নিজের এই পোস্টের সপ্তম পর্ব শুরু করতে যাচ্ছি৷ আমি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পর্বগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করব৷ আশা করি আপনাদের অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগবে৷ চেষ্টা করব প্রতিনিয়ত খুব সুন্দরভাবে সবকিছু ফুটিয়ে তোলার এবং খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করে সবকিছু দেখানোর।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। এর আগে আমি আপনাদের সাথে এই ভ্রমণের অন্য পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে এর আরো একটি পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। এই ভ্রমণের সবগুলো পর্ব খুব ভালোভাবে গুছিয়ে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করবো। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
আপনারা গত পর্বে দেখেছিলেন যে আমরা চট্টগ্রামে অবস্থান করেছিলাম৷ সেখানে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করার পরে এবং অনেকক্ষণ অপেক্ষার পর আমাদের ট্রেন চলে আসলো৷ ট্রেন আসার সাথে সাথে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে পড়লাম ট্রেনে ওঠার জন্য৷ তখন সেখানে অনেক মানুষ ছিল এবং সকলে তাদের যে বগিগুলো ছিল সেখানে ওঠার জন্য হাটাহাটি করছিল৷ তাদের নির্দিষ্ট বগিতে উঠে যাচ্ছিল৷ আমরাও আমাদের আমাদের টিকিট অনুযায়ী আমাদের জন্য যে বগি বরাদ্দ করা হয়েছিল আমরা সেখানে বসার জন্য চলে গেলাম৷ আমরা সেই অনুযায়ী বসে পড়লাম৷ এর কিছুক্ষণ পরে আমাদের ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়ে দেওয়ার সাথে সাথে অনেক মানুষ দৌড়াচ্ছিল। তারপর আমরা সেখানে বসে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করলাম।
আপনারা সকলেই জানেন চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পথ কতটুকু এবং কত সময় লেগে যায়। যেহেতু ট্রেনের রাস্তা হয়তো একটু কম সময় লাগবে। তবুও ট্রেনে একবার ধীর গতিতে চলে আবার প্রচন্ড গতিতে চলেব্ব ফলে অনেক বেশি দেরি হয়ে যায়৷ যখন চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন বের হয়ে গেল তখন সেখানে চারপাশে অনেক বাসা এবং অনেক বড় বড় কারখানাগুলো সেখানে দেখা যাচ্ছিল। আসলে সে কারখানাগুলো থেকে যেভাবে শুঘ্রাণ বের হচ্ছিল ইচ্ছে করছিল যেন তখনই নেমে যাই৷ কারখানায় প্রবেশ করি। এরপর ধীরে ধীরে ট্রেন সামনের দিকে এগোতে লাগলো। খুব সুন্দর কিছু দৃশ্য সেখানে দেখতে পেলাম। একের পর এর দৃশ্য গুলো আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আশা করি সবগুলো দৃশ্য অনেক বেশি পরিমাণ পছন্দ হবে৷ এরপর একটি নদীর উপর দিয়ে আমাদের ট্রেন যাচ্ছিল এবং সেখানে নদীর উপর দিয়ে যাওয়ার সময় একেবারে আলাদা একটি মজাই হচ্ছিল৷ দু'পাশে শুধু পানি আর পানি ছিল৷ নৌকা, জাহাজ এবং বন্দর গুলো সেখানে খুব সুন্দরভাবে দেখা যাচ্ছিল৷
এরপর সামনের দিকে এগোতে লাগলাম এবং সামনের দিকে অনেকটা পথ যেতে যেতে শুধু সবুজ আর সবুজ দেখা যাচ্ছিল৷ যেদিকে তাকাই সেদিকে শুধু সবুজ দেখা যাচ্ছিল৷ মানুষজনকে একেবারে ছোট মনে হচ্ছিল৷ কারণ আমাদের সেই ট্রেনের রুট একেবারে উপরে ছিল৷ এতটাই উপরে ছিল যে এখান থেকে যখন নিচের দিকে মানুষকে আমরা দেখছিলাম তখন মানুষদেরকে একেবারে ছোট মনে হচ্ছিল । তাদেরকে এতটাই ছোট মনে হচ্ছিল যে আমরা বিমানকে যেরকম ছোট দেখি ঠিক সেরকমই ছোট মনে হচ্ছিল৷ একইসাথে চট্টগ্রামে যে সকল সুন্দর জায়গাগুলো রয়েছে যে স্থানগুলো একের পর এক দেখালাম৷ সেখানকার স্থানের নাম গুলো একেবারে বিনা ধরনের ছিল৷ কিছু কিছু স্থান ছিল যে স্থানের নামগুলো আমার পূর্ব থেকে জানা ছিল। আবার অনেকগুলো নতুন নতুন জায়গা সম্পর্কে জানতে পারলাম। আজকে এই পর্যন্তই।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @bijoy1 |
ডিভাইস | Samsung Galaxy M34 5g |
তারিখ | ১৩.০৫.২০২৪ |
লোকেশন | ফেনী,বাংলাদেশ |
আজকে এই পর্যন্তই। আশাকরি আপনাদের সবার কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। ইনশা আল্লাহ দেখা হবে নতুন একটি পোস্টে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ও ভালোবাসা রইল।
আমি কে?
🤍🖤আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো, ফটোগ্রাফি করা, বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে সবসময় আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক।❤️🌹
https://twitter.com/bijoy1__2024_SB/status/1789816198810505652?t=A5-LllARfwyBDq9evVFq9Q&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতি অনেক ভালোবাসা রইল আমাকে সবসময় সাপোর্ট করার জন্য।।
যাত্রা করার অনেক সুন্দর মুহূর্ত কিন্তু আপনি ফটো ধারণ করে আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আপনাদের এত সুন্দর ভ্রমণ বিষয়গুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তরে সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ মেলে।
চেষ্টা করেছি সবকিছু আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার। সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া আমি ফেনী থেকেই আপনার পোষ্ট গুলো পড়তেছি। চট্রগ্রামেরই সাত পর্ব শেষ করে দিলেন। এখন বুঝতে পারছি কক্সবাজার ঘুরে আসতে মিনিমাম পঞ্চাশ পর্ব হবে। সমস্যা নাই,আমরা আপনার সাথেই আছি। আশা করি নতুন নতুন জিনিষ দেখতে পারবো। ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আমার পাশে থাকার জন্য এবং এরকম সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
ট্রেন জার্নি অনেক মজার জার্নি। আমি মাঝে মাঝে ঢাকা, সিলেট,ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ট্রেনে আসা যাওয়া করি। খুবই ভালো লাগে। আপনারা চট্রগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পথে যাত্রা শুরু করলেন। রাস্তায় অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। ধন্যবাদ।
আপনিও ট্রেন জার্নি করে অনেক জায়গায় গিয়ে থাকেন শুনে খুবই ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ।
ট্রেন জার্নি করতে অনেক ভালো লাগে। যাত্রা করার মুহূর্তে অনেক সুন্দর কিছু ফটো ধারণ করে আমাদের দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আপনার ভ্রমণ বিষয়গুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।