গল্প:- সোনিয়া আপুর সাথে আমার ঘটে যাওয়া মজার কাহিনী।
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব সোনিয়া আপুর সাথে ঘটে যাওয়া মজার কাহিনী। আপনারা অনেকে জানেন আমার মেয়ে মাইসুন অসুস্থ। তাকে আমি প্রথমে গ্রামের ডাক্তারের ওষুধ খাওয়াচ্ছি। যদিও আমাদের গ্রামের ডাক্তারটি খুব ভালো। কারণ আমার মেয়েকে আমি ওই ডাক্তারকে দেখাই। ঈদের পরের দিন আমার মেয়ের গায়ে আবার জ্বর দেখা যাচ্ছে। এই কারণে আমি আমার মেয়েকে দাগনভূঞা বড় ডাক্তার দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর জন্য আমি রকি ভাইয়ের মোবাইলে কল করেছিলাম। তবে রকি ভাইয়া ব্যস্ততার কারণে মোবাইল রিসিভ করে নাই। এরপর আমি সোনিয়া আপুর মোবাইলে কল করেছিলাম। তখন আমি সোনিয়া আপুকে বললাম মাইসুন অসুস্থ তাকে ডাক্তার দেখাবো। এবং ডাক্তার ঈদের সময় থাকে নাকি সেটি জানার জন্য। তারপর সোনিয়া আপু বলল ঠিক আছে আমি খবর নিয়ে তোমাকে জানাচ্ছি। এরপর আমি আমার হাজব্যান্ড ও শ্বশুর শাশুড়ির সবাই মিলে আমার বড় ননদের বাড়িতে যাচ্ছি। কারণ তাদের বাড়ি হচ্ছে দাগনভূঞা বাজারের পাশে।
ঈদের সময় আমার শশুর শাশুড়ি বলল তার মেয়েকে দেখতে যাবে। যদিও আমার বড় ননদ অসুস্থ। এই কারণে আমরা সবাই আমার বড় ননদকে দেখতে গেলাম। এবং দুপুরের সময় আমি আবারও সোনিয়া আপুকে ফোন করলাম মোবাইলে। বললাম মাইসুনকে ডাক্তার দেখানোর জন্য কখন আসবো। তারপর সোনিয়া আপু আমাকে বলল দুপুরের সময় ডাক্তার দেখানোর জন্য বলল। এরপর আমাকে সোনিয়া আপু জিজ্ঞেস তোমরা কোথায়।
তখন আমি সোনিয়া আপুকে বললাম আমি আমার ননদের বাড়িতে আছি। এরপর আমার সোনিয়া আপু জিজ্ঞেস করল ডাক্তারের কাছে আসলে বাড়িতে আসবে নাকি। তখন আমি সোনিয়া আপুকে বললাম আমরা বাড়িতে আসবো। এরপর সোনিয়া আপু আমাদের জন্য খাওয়া দাওয়া রান্না করতে লাগলো। এবং আমাদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার রেডি করেছে তাদের বাড়িতে যাব বলে। তবে আমি ডাক্তার দেখিয়ে আমার মেয়েকে আবার বাবার বাড়িতে গেলাম। কারণ আমি বাড়িতে আমার মাকে মোবাইলে কল করে বললাম বাড়িতে যাব।
ডাক্তার দেখানোর পর রকি ভাইয়া যখন বাড়িতে আসলো তখন সোনিয়া আপু জিজ্ঞেস করল আমরা কোথায় কেন বাড়িতে গেলাম না। তখন রকি ভাইয়া বলতেছে কই মুনিয়া আমাকে কিছু বলে নাই। এরপর আমাকে মোবাইলে কল করে বলল তোমরা আমাদের এখানে আসবে বলে কথা দিয়েছো। এই কারণে আমি তোমাদের জন্য খাওয়া-দাওয়ার রেডি করেছি। তখন আমি সোনিয়া আপুকে বললাম কখন আমি তোমাকে বললাম তোমাদের বাড়িতে যাব।
এরপর সোনিয়া আপু আমাকে বলতে লাগলো তুমি সকালবেলা আমাকে বলেছিল। তখন আমি সোনিয়া আপুকে বলেছি আমি আমাদের বাবার বাড়িতে যাব। আমি তো বলি নাই রকি ভাইয়াদের বাড়িতে যাব। এরপর আপু বুঝতে পারল কথার মধ্যে মিস্টেক হয়েছে। আসলে সোনিয়া আপু আমাদের সবার জন্য রান্না করেছে দুপুরে খাওয়ার জন্য। এই হচ্ছে সোনিয়া আপুর সাথে ঘটে যাওয়া মজার কাহিনী।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1804494669109186791?t=VF_UKtkZ2J0fTGRoTzJpzw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই আনন্দ পেলাম। সোনিয়া আপুর সাথে ঘটে যাওয়া মজার কাহিনীটি শুধু মজাদারই নয়, বরং এটি আমাদের পারিবারিক বন্ধন এবং সম্পর্কের গুরুত্ব সম্পর্কেও সুন্দর একটি বার্তা দেয়। আপনার লেখনী শৈলী অত্যন্ত সহজ এবং মনোমুগ্ধকর। আপনি যেভাবে নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতিগুলো ভাগ করেছেন, তা পাঠকদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোস্ট নিয়ে আপনি খুব সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন। আসলে কিছু কিছু ঘটনা ঘটে যেগুলো বারবার মনে পড়ে।
আপু আপনার মেয়ে অসুস্থ শুনে বেশ খারাপ লাগলো।দোয়া করি যেন খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যায়।আপনি আপনাদের বাড়ির কথা বলেছেন আর আপনার বোন তার নিজের বাড়ি ভেবেছে।এরকম মাঝে মধ্যে হয়ে থাকে। কাছাকাছি বাড়ি হলে এই এক সমস্যা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। আসলে কিছু কিছু সময় মজার ঘটনা ঘটে থাকে। আপনার মন্তব্য শুনে খুব ভালো লাগলো।
অনেক সময় এমনটা হয় কথা বুঝতে মিসটেক হয়।আহারে আপু রান্নাবান্না করলো আপনাদের জন্য কিন্তু আপনারা গেলেন না।যাইহোক এই সুযোগে রকি ভাইয়া বেশ জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করবে।খুবই মজা পেলাম আপনার পোস্ট টি পড়ে। তবে আপনার মেয়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।
হ্যাঁ আপু অনেক সময় কথার মধ্যে মিসটেক হয়। মেহমান আসলে দুই ধরনের লাভ হয়। ভালো সময় কাটানো যায় এবং মজা করে খাওয়া যায়। ভালো থাকবেন আপু।