গল্প:-এই মানুষগুলোকে কি নামে পরিচিত দেওয়া যায়।(শেষ পর্ব)
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমাদের আশেপাশে প্রায় বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। যেই ঘটনা গুলো অনেক সময় শিক্ষনীয় হয়ে থাকে। কখনো কখনো দুর্ঘটনা, আবার কখনো মর্মান্তিক ঘটনা। এজন্য আজকে আবার ও একটা কাহিনী নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আমার লেখাটা পড়ে আপনাদের ভালো লাগবে।
সেই তখনো বলতেছে এই বাড়ি আমার এখানে আমি তাকে রাখবো না। এবং বলতেছে যেভাবে তার ছেলেকে মেরে ফেলেছি এভাবে তাকেও মেরে ফেলবো। তখন আমার মা হাউমাউ করে কাঁদতে লাগলো। কথাটি তাহলে সত্য। যদিও ওই সময় অনেক মাস হয়ে গেল তার ভাই মারা গেছে। এরপর ভাবি বলতেছে আমরা সবাই আমাদের বাড়িতে গেলাম।
এবং সে আমাদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করতেছে এবং বলতেছে বাড়িটি আমার এবং সব সম্পত্তি আমার। এরপর আমরা উপায় না পেয়ে থানায় কেস করলাম। এরপর আমাদের থানায় কেস টি অনেকদিন পর্যন্ত চলতে লাগলো। এই পর্যন্ত আমার ভাইয়ের ওয়াইফ আমাদের বাড়িতে ছিল এবং আমার মাকে আমি নিজে আমাদের এই বাড়িতে রাখলাম। এভাবে একদিন আদালতে রায় আসলো।
আমার ভাই যদি তার ওয়াইফকে সম্পত্তি লিখে দেয়। তাহলে তার সম্পত্তির অংশটি অংশ ওয়াইফ পাবে। এবং আমাদের পাঁচ বোনের ও আমার মায়ের সম্পত্তি সেই পাবে না। কারণ এই সম্পত্তি গুলো আমরা তাকে লিখে দেই নাই। এরপর আমরা আমাদের সম্পত্তি গুলো ফিরে পেলাম। এর সাথে সাথে আমরা ভাইয়াকে হত্যা করেছে তার জন্য নতুন করে থানায় কেস করলাম।
এরপর আমাদের ওই মামলাটি অনেক দিন পর্যন্ত চলতে থাকলো। যদিও আমরা আদালতে সুস্থ বিচার পাবো চিন্তা করলাম। কারণ ওই সময় প্রায় দুই বছর হয়ে গেছে আমার ভাই মারা গেল যে। এই কারণে আমরা ওই কেস এর রায় পেলাম না। এবং আমার ভাইয়ের জালিম বউয়ের সাজা হয় নাই। তবে সত্যি অনেক খারাপ লাগে আমার ভাইয়ের সম্পত্তির উপর সেই বসবাস করতেছে নতুন করে বিয়ে করে।
তাকে দেখলে আমার ভাইয়ের কথা মনে পড়ে যায়। যখন আমার ভাই মারা গেল তখন ভাইয়ের বয়স ছিল মাত্র 30 বছর। এখনো ভাইয়ের কথা সবসময় মনে পড়ে। আমরা যখন স্বামীর বাড়ি থেকে যেতাম মায়ের জন্য এবং ভাইয়ের জন্য অনেক ধরনের জিনিস কিনে নিয়ে যেতাম। আমাদের একটি মাত্র ভাই ছিল। এই কথাগুলো বলে অনেকক্ষণ সে আমার সামনে কান্নাকাটি করতেছে। তার কথাগুলো শুনে আমার কাছে অনেক খারাপ লাগলো। যাইহোক আশা করি আজকের এই শেষ পর্ব পরে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজার নাম @bdwomen। আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
https://twitter.com/bdwomen2/status/1786005075720388704?t=DwfDnKaGtfpri9mkqO4Cnw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়ি ছিলাম। দ্বিতীয় পর্বটি পড়ি নাই। তবে যতটুকু বুঝতে পারলাম মহিলাটি তার স্বামীর উপর অত্যাচার করেছে কথা দিয়ে। আর মহিলাটি অনেক চালাক মনে হয় এই কারণে স্বামী থেকে সম্পত্তি লিখে নিয়েছে। তবে আদালতের রায় ভালো হয়েছে। বোনদের সম্পত্তি তাদেরকে ফিরিয়ে দিল। আর এই ধরনের মহিলা কারো জীবন সঙ্গী হওয়ার কোন দরকার নেই। ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তবে একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এটি ঠিক বলেছেন এই ধরনের মহিলা কারো জীবন সঙ্গী হওয়ার দরকার নেই। তবে আপনার মন্তব্য শুনে অনেক ভালো লাগলো।