লাইফ স্টাইল :- টুকিটাকি ঈদের শপিং করার মুহূর্ত
হ্যালো বন্ধুরা
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আমি এখন সব সময় ভিন্ন ভিন্ন পোস্ট করার চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে লেখালেখির পোস্টগুলো লিখতে ভীষণ ভালো লাগে। ইতিমধ্যে সবার লেখার পোস্ট পড়ে অনেক বেশি উৎসাহ পেয়েছি। তাই আজকে অন্য কোন পোস্ট না নিয়ে এসে ঈদের শপিং করার পোস্টে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম। আসলে কমবেশি সবারই ঈদের শপিং হয়েছে। আমরা খুব ঈদের শপিং করেছি। যেমন আপনারা আমাদের সবার একটা পরিবার তাই আমি ভাবলাম আজকে আমাদের শপিং করার মুহূর্তটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আমরা তো সবাই প্রায় রমজান আসার আগ থেকেই ঈদের শপিং নিয়ে প্ল্যান শুরু করলাম। কারণ টুকিটাকি শপিং করতে করতে অনেক সময় লেগে যায়। ঠিক রোজা ১৫, ১৬ টা চলে যাওয়ার পর থেকেই আমরা শপিং করা সুযোগ করলাম। বিশেষ করে আমার ননদের মেয়ে হবার কারণে আমার শাশুড়ি ওনাদের বাড়িতে কিছুদিন ছিল। তাই আমরা শপিং করতে গেলে আমার শ্বশুরকে একা রেখে যেতে হতো। সেজন্য আমরাও এটা নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলাম কারণ আমার শ্বশুর ভীষণ অসুস্থ। ওদিকে আমার শাশুড়ি ও আসতে পারতেছিল না ব্যস্ততার কারণে। যাইহোক অনেক ভেবে চিন্তে আমার শ্বশুরকে আমার শাশুড়ির কাছে আমার ননদের বাসায় রেখে আসলাম।
ওই ফাঁকে আমরা দুজনে রকি ভাইয়াদের বাড়িতে গেলাম। তারপর একদিন সকালবেলা রকি ভাইয়া সোনিয়া আপু আমি আমার হাজব্যান্ড এবং আমার বড় বোন সবাই মিলে শপিং করতে বেরিয়ে পড়লাম। আমরা ঐদিন ফেনীতে কিছু কেনাকাটা করতে গিয়েছিলাম। গাড়ি করে যেতে যেতে তো গাড়ির জ্যাম এতটা ছিল আমি তো দেখে অনেকটাই অবাক হলাম। না জানি শপিং করতে গেলে কতটা ভিড় থাকবে এটা ভেবে। সত্যি বলতে ওখানে যাওয়ার পরে আমার মাথায় হাত পরল। কারণ ওখানে প্রচুর ভিড় ছিল। মনে হচ্ছিল যেন ওখানে শুধু মানুষ আর মানুষ। সকল জায়গার মানুষগুলো ওখানে চলে গিয়েছে। যাইহোক কি আর করার সেই মানুষগুলোর মাঝখানে আমরাও শপিং করতে শুরু করলাম।
সত্যি বলতে ঈদের শপিং করতে গেলে বোঝা যায় আমরা ছাড়া ও কত হাজার হাজার মানুষ শপিং করতেছে। যাইহোক আমাদের একটু ছোটদের থেকে বড়দের জামা গুলো কিনতে সুবিধা হয়েছে। কারন আমার বড় আপুদের একটি পরিচিত দোকান ছিল। তাই আমরা দোকানদারের নিচ তলার দোকানে না বসে উপরে গোডাউনে দোকানে চলে গেলাম। কারণ ও নিচে শুধু ওনারা একটা একটা জামা রেখেছে। আর গোডাউনে তো প্রচুর জামা। তাই আমরা চিন্তা করলাম ওখানে গেলে নিজেদের পছন্দের মতই জামা গুলো কিনতে সুবিধা হবে। তাই সবাই মিলে প্রথমে ওখানে চলে গেলাম। আসলেই যাওয়ার পরে দেখতে পেলাম ওখানে বেশ সুন্দর সুন্দর কালেকশন ছিল।
আমি তো আমার পছন্দের তিনটা জামা কিনে ফেললাম। বিশেষ করে একটি ঈদের দিন গায়ে দেওয়ার জন্য আর দুইটা পরে গায়ে দেওয়ার জন্য কিনলাম। তারপর সোনিয়া আপু আমার বড় আপু আমাদের সবার জন্যই জামা কিনে ফেললাম। বড়দের জামা কেনার পরেই তো শুরু হলো আসল যুদ্ধ। বাবারে ওখানে তো ফ্যানের বাতাস খেতে খেতে আমাদের জামা গুলো পছন্দ করে ফেললাম। তারপর যখন ওখান থেকে বেরিয়ে ছোটদের জামা কিনতে গেলাম তখনই বুঝলাম কত বীর মানুষের। তারপরও আমরা অনেক কষ্ট করে আমার মেয়ে নাশিয়া এবং আমার ভাগ্নিদের জন্য জামা কিনে নিলাম। বিশেষ করে ছোটদের জামাগুলো খুঁজতে খুঁজতে অনেকটাই হয়রানি হয়ে গেলাম।
আর মাইসুন তো ওখানে ঘুমিয়ে পড়ল। তাও ভালো কিছুক্ষণ পরিচিত দোকানদারের দোকানে কিছুক্ষণ ঘুমাতে পারলো। যাই হোক ঐদিন আমরা ছোট বাচ্চাদের এবং আমাদের নিজেদের জন্য জামা কিনে নিয়ে চলে আসলাম। এখনো তো সবার জন্য জুতা এবং ছেলেদের জন্য কেনাকাটা রয়ে গিয়েছে। রোজা থেকে সবার অবস্থা একেবারে খারাপ ছিল। আমরা সকাল ৯ টার দিকে কেনাকাটা করতে বেরিয়েছিলাম আর বিকেলে ৪ টা বাজে কেনাকাটা করে ফিরে আসলাম। সবার অবস্থা একেবারে খারাপ ছিল। কারণ একে তো রোজা আর গরম তো প্রচুর ওটার কথা আর নাই বললাম। যাই হোক আজকে যা যা শপিং করলাম চেষ্টা করলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পরবর্তীতে আবারও শপিংয়ের আরও পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে অন্য দিন হাজির হব। আশা করি আজকের এই পোস্টটি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।
আমার নাম আকলিমা আক্তার মুনিয়া। আর আমার ইউজারনাম@bdwomen আমি বাংলাদেশে বসবাস করি। বাংলা ভাষা হল আমাদের মাতৃভাষা আর আমি মাতৃভাষা বলতে পারি বলেই অনেক গর্বিত। আমি বিভিন্ন ধরনের ছবি এবং পেইন্টিং আঁকতে খুবই পছন্দ করি। তার পাশাপাশি কবিতা আর গল্প লিখতেও আমার অনেক ভালো লাগে। আমি প্রায় সময় বিভিন্ন ধরনের পেইন্টিং এঁকে থাকি। আবার রঙিন পেপার এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দিয়ে নানা ধরনের কারুকাজ তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আবার নিজের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ছবি তুলতে খুবই ভালো লাগে। আমি চেষ্টা করি সব ধরনের জিনিস কখনো না কখনো একবার করে করার জন্য। আবার বিভিন্ন ধরনের আইডিয়া মাথায় আসলে সেগুলো ও করার চেষ্টা করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://twitter.com/bdwomen2/status/1778774936599097854?t=ntR-xGUBIORaAe9m3HheAA&s=19
টুকিটাকি বেশ ভালোই শপিং করেছেন। দেখে ভীষণ ভালো লাগলো আপনাদের মুহূর্তটি। ভিড় তো মনে হচ্ছে প্রচুর ভিড় ছিল। ওখানে দেখতেছি অনেক কালেকশন। কালেকশন গুলো বেশ ভালোই ছিল। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
ঠিক বলেছেন বেশ অনেকটাই কেনাকাটা হয়েছে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
ননদের মেয়ে হওয়ার কারণে আপনার শাশুড়ি ননদের বাড়িতে কিছুদিন ছিল। মাইসুন ওখানে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ছিল পরিচিত দোকানের কারনে দোকানে একটু ঘুমাতে পেরেছিল ।আপনারা সবার জন্য অনেক কিছু কেনাকাটা করেছিলেন । রোজায় থাকার কারণে আপনাদের একটু কষ্ট হয়ে গিয়েছিল। ধন্যবাদ আপু ঈদের টুকিটাকি কেনাকাটার মুহূর্তে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন পরিচিত দোকানের কারণে মাইসুনের ঘুমাতে তেমন অসুবিধা হয়নি
ঈদের কেনাকাটা করার মূহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু ।
আপনি অনেক কিছু কিনেছেন দেখছি।
দোকানের কালেকশনগুলোও অনেক ভালো দেখছি।
চেষ্টা করেছি ঈদের কেনাকাটা ভালোভাবে করার জন্য সবার জন্য
আপনার ঈদের কেনাকাটা গুলো দেখে বেশ ভালো রেখেছে। আপনি টুকিটাকি কেন আপু অনেক কেনাকাটা করলেন। বিশেষ করে আপনার মেয়ের জিনিস গুলো দেখে অনেক ভালো লেগেছে। ছোট বাচ্চাদের জিনিস আমার দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি কিনতেও অনেক ভালো লাগে। প্রতিটি জিনিস বেশ ভালই লেগেছে যদিও এই বছর জিনিসের দাম অনেক বেশি। অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছেও কেনাকাটা করতে বেশ ভালো লাগে বিশেষ করে নিজের পরিবারের জন্য কিনতে কার না ভালো লাগে
ঈদ উপলক্ষে এখন সকলেই কেনাকাটা করছে এবং সকলেরই ঈদ উপলক্ষে নতুন কেনাকাটা করার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করছে৷ আজকে আপনিও ছোটখাটো কিছু কেনাকাটার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি সবগুলো বিষয়বস্তু এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
নতুন বছরের নতুন কেনাকাটা সবারই করতে বেশ ভালো লাগে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য
টুকিটাকি কি বলছেন আপু আপনি তো দেখছি অনেক কেনাকাটা করেছেন। তবে বাবুর জিনিস গুলো বেশি কিউট লাগছে। ছোট বাচ্চাদের জামা কাপড় এবং জুতোগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে দেখতে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু কেনাকাটার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।