ঢাকা টু নীলফামারী বাস জার্নি ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। কুরবানির ঈদ উপলক্ষে ভার্সিটি ৮ দিনের ছুটি দিয়েছে। এই ছুটিতে নীলফামারী থেকে ঢাকা বাসে আসার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
গতকাল রাত আটটায় আমার বাস ছিলো গাবতলী থেকে। আমি নতুনবাজার এর সায়েদনগরে থাকি। কালকে আমার ভার্সিটিতে দুইটি ক্লাস ছিলো। আমার প্রথম ক্লাসটি ছিলো সকাল ৯'৫০ থেকে সকাল ১১'১০ পর্যন্ত এবং আমার দ্বিতীয় ক্লাসটি ছিলো দুপুর ১২'৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১'৫০ পর্যন্ত। ক্লাস শেষ করে আমি তারাতারি বাসায় চলে আসি। বাসায় এসে খাওয়া দাওয়া করে ব্যাগ গুছাই। ব্যাগ গুছানো শেষে কিছুক্ষণ রেস্ট করি।
যেহেতু আমার বাস ছিলো গাবতলী তে, নতুনবাজার সায়েদনগর থেকে অনেক দূরে এবং এই রাস্তাতেও প্রচুর জ্যাম থাকে। তাই আমি রিস্ক না নিয়ে বিকেল ৪'৩০ এর দিকে বাসা থেকে বের হই। প্রথমেই আমি সায়েদনগর থেকে একটি অটো নিয়ে নতুনবাজারে যাই। এরপর নতুনবাজার থেকে অছিম বাসে করে গাবতলির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। অছিম বাসের শেষ গন্তব্য হলো গাবতলী এটি যমুনা ফিউচার পার্ক হয়ে কুড়িল বিশ্বরোড দিয়ে ইসিবি এরপর মিরপুর দিয়ে গাবতলি প্রবেশ করে। কিন্তু কালকে যমুনা ফিউচার পার্ক এর সামনে প্রচুর জ্যাম ছিলো। এরপর মিরপুর -১ এও জ্যাম ছিলো। নতুনবাজার থেকে আমি বাসে উঠেছিলাম বিকেল ৪'৪০ এর দিকে এবং বাসটি আমাদের গাবতলি তে নামিয়ে দেয় সন্ধ্যা ৭ টার পরে। প্রায় ২ ঘন্টা ৩০ মিনিট লেগে যায়।
আমার বাস ছিলো ৮ টায়। আমি গাবতলি গিয়ে কাউন্টারে অপেক্ষা করি। ৮ টার বাস ৩০ মিনিট লেটে রাত ৮ টা ৩০ মিনিটে আসে। কিন্তু গাবতলি তে এতো পরিমাণে জ্যাম ছিলো যে গাবতলি থেকে বের হতেই ৩০ মিনিটের বেশি সময় লেগে যায়। এরপর গাজীপুরেও বেশ ভালো জ্যাম ছিলো। এরপর আর সেরকম জ্যাম ছিলো না। বাসটি ফুড ভিলেজে গিয়ে পৌঁছায় রাত ১ টায়। রাত ১ টায় ফুড ভিলেজে খাওয়ার বিরতি দেয় ৩০ মিনিট। আমাদের বাসটি প্যান্টাগন ফুড ভিলেজে দাড়িয়েছিলো।
৩০ মিনিট পর আবার বাসটি যাত্রা শুরু করে। আমি ঘুমিয়ে পরেছিলাম। আমার ঘুম যখন ভাঙে বাস তখন রংপুর চলে এসেছিলো এবং বাইরে তুমুল বৃষ্টি পড়ছিলো। রংপুর থেকে নীলফামারী আসতে বেশি সময় লাগে না। আরো ভোর ভোর সময় রাস্তা একদম ফাকা। বাসটি নীলফামারী ঢুকে ভোর ৫ টা ১৫ মিনিটে। আমি নীলফামারী বড় বাজারে নামি ও বাসায় আসি। ঈদের ছুটিতে বাসাউ এসে অনেক ভালো লাগছে। বাসার সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারবো এটা ভাবতেই অনেক ভালো লাগে। প্রতিবার ঢাকা থেকে বাসা আসার সময় ও আসার পর অন্য রকম একটি ভালো লাগা কাজ করে।
আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ঢাকা থেকে আপনাদের নীলফামারীতে বাস জার্নির সুন্দর বিষয়গুলো আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন বর্ণনা সাথে। অনেক কিছু জানতে পারলাম আপনার আজকের এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে। যেখানে আপনি লেখাপড়ার জন্য ঢাকায় থাকেন এটা আমি পূর্ব থেকে জানি। আর এখান থেকে আপনার চলাচল যাতায়াত। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।