বৃষ্টিস্নাত একটি দিন ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আজ আমি আপনাদের মাঝে বৃষ্টিস্নাত আজকের দিন নিয়ে একটি পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
আজ সকাল থেকেই আকাশ বেশ পরিষ্কার ছিল। সকালের আকাশ দেখে বোঝা বড় দায় ছিল যে আজকের দিনে বৃষ্টি হবে। কিন্তু বর্তমান সময়ে আবহাওয়া বড়ই আনপ্রেডিক্টেবল অর্থাৎ যা প্রেডিক্ট করা যায় না। যেমন কিছুক্ষণ আগেই বৃষ্টি হয়ে আবার কিছুক্ষণ পরে রোদ উঠে যাচ্ছে। সেরকমই আজকে সকাল থেকে আকাশ বেশ পরিষ্কার ছিল এমনকি দুপুরেও বেশ ভালই রোদের তাপ ছিল। এরকম আবহাওয়া দেখে বৃষ্টির আন্দাজ করা যাচ্ছিল না। তবে আজকে বিকেলে নীলফামারীতে বেশ ভালই বৃষ্টি হয়।
দুপুরের পর বিকেলে হঠাৎ করে আকাশে কালো মেঘ দেখা দেয় এবং আকাশ নীল থেকে কালো হয়ে যায়। আকাশে কালো মেঘ ঘিরে ফেলার পরে বেশ চমৎকার বাতাস শুরু হয়। বাতাসটি ছিল শীতল বাতাস। বিকেলে যখন আকাশের মেঘ কালো হয়ে আসে এবং সে তার বাতাস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে তখন আমি বাসার ছাদে ছিলাম। বাসার ছাদ থেকে প্রকৃতির সে তার বাতাস উপভোগ করছিলাম, আমাকে বেশ ভালই লাগছিল। প্রকৃতির শীতল বাতাস যেন মনকে মুগ্ধ করে তুলছিল। এর মধ্যেই আকাশে আরো ঘন কালো হয়ে আসে এবং বোঝা যাচ্ছিল কিছুক্ষণ পরে ভারী বৃষ্টি নামবে।
কিছুক্ষণ পরেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। আমি তাড়াতাড়ি ছাদ থেকে নেমে নিজের রুমে চলে আসি। নিচের রুমের জানালা থেকে বৃষ্টি উপভোগ করতে থাকি। সেই সময়ও জানালা থেকে বাইরের শীতল বাতাস ও সাথে ও মুষুলধারে বৃষ্টি উপভোগ করতে থাকে। আমি নিজের রুমের জানালায় বসে বৃষ্টি বিলাস করতে থাকি। আমি প্রতিদিন বিকালে নীলফামারী বড় মাঠে ফুটবল খেলতে যাই। কিন্তু আমরা যে সময় ফুটবল খেলি আজ ঠিক সেই সময়েই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। তাই এই বৃষ্টির মধ্যে কেউ মাঠে যায় না।
মুষলধারে বৃষ্টি একটানা সন্ধে ছয়টা পর্যন্ত চলতে থাকে। এরপর আকাশ আবারও পরিষ্কার হয়ে যায় এই আকাশ দেখে বোঝা দায় ছিল যে কিছুক্ষণ আগেও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরে আমি বাসা থেকে বের হই। কারণ সারাদিনই বাসার মধ্যে বেশ বোরিং লাগছিল আর বিকালে ফুটবল খেলাও হলো না। তাই বৃষ্টি থামার পরে আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে নীলফামারী বড় মাঠে যাই। মুষলধারে বৃষ্টির ফলে নীলফামারী বড় মাঠের বেশ কিছু জায়গায় পানি জমেছিল। কিন্তু আকাশ তখন একদম পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। আকাশের কালো মেঘ আবারও নীল হয়ে গিয়েছিলো। নীলফামারী বড় মাঠে এই বৃষ্টির মধ্যেও বেশ কিছু ছেলে ফুটবল খেলছিল। আমি আমার বন্ধু মিলে বড় মাঠে বসার একটি বেঞ্চে বসে গল্প করতে থাকি এবং মাঠে খেলতে থাকা ছেলেদের ফুটবল খেলা উপভোগ করি।
এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে আমি ও আমার বন্ধুটি মিলে একটি চায়ের দোকানে যাই এবং চা খাই। বৃষ্টির এরকম আবহাওয়ায় চা ছাড়া যেন ব্যাপারটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। চা হলো বাঙালির আবেগ, আর বৃষ্টির মধ্যে চা যেন অমৃত। চা খাওয়া শেষ হলে আমরা দুজনেই বাড়িতে চলে আসি।
আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বৃষ্টির এই দিনটা যদি অনেক সুন্দর ছিল কিন্তু আমার জন্য খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে। স্কুল থেকে আসার পথে আমি বৃষ্টিতে ভিজে গিয়েছিলাম আর সেই কারণে জ্বর হয়েছে। এখন তো জ্বরের কারণে বিছানা গত হয়ে গিয়েছি।
মেডিসিন নিয়েন। আশা করি খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
বর্ষাকালীন সময়টা আমার কাছে খুবই প্রিয়। এই সময়ে কখনো বৃষ্টি কখনো রৌদ্র যেটা সত্যিই অনেক উপভোগ্য হয়ে থাকে। আবার নদীতে ভরপুর পানি বিকেল মুহূর্তে নদীর পাড়ে গেলে মন ভালো হয়ে যায়। বিশেষ করে খোলা আকাশের নিচে গেলে দেখতে পাওয়া যায়। একদিকে বৃষ্টি হচ্ছে অন্যদিকে সূর্যের আলোয় আকাশটা পরিষ্কার । যেমনটা আপনি হঠাৎ সকালে উঠে ভাবতেই পারেননি বৃষ্টি হবে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। যেটা আপনি ভালোই উপভোগ করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বর্তমানে সব জায়গাতেই বৃষ্টি হচ্ছে। আর এই বৃষ্টির সময় হঠাৎ করে বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। তবে বৃষ্টি উপভোগ করতে কিন্তু ভালোই লাগে। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দারুন ভাবে নিজের অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।