নীলফামারী বড় মাঠে তোলা আমার কিছু ফটোগ্রাফি ||
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আরেকটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আমার করা কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আমার ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আমি গত পরশুদিন ঢাকা থেকে নীলফামারী এসেছি। পুরো বাংলাদেশের মতো নীলফামারীতেও কারফিউ চলছে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত। আমার যেই বন্ধুরা নীলফামারীতে আছে তারা প্রতিদিন বিকেলে নীলফামারী বড় মাঠে খেলতে যায়। আমিও নীলফামারীতে থাকলে নীলফামারী বড় মাঠে খেলতে যাই৷ আজকেও আমি নীলফামারী বড় মাঠে খেলতে গিয়েছিলাম বিকেলে আর এই ফটোগ্রাফিটি সেখানেই করি। ফটোগ্রাফিতে নীলফামারী বড় মাঠের সুন্দর এক দৃশ্য ফুটে উঠেছে।
এই ফটোগ্রাফিটি আমি তুলেছিলাম নীলফামারী বড় মাঠে প্রবেশ করার পর। আছরের আজান এর পর আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে নীলফামারী বড় মাঠে যাই। নীলফামারী বড় মাঠে তখন ও সেরকম মানুষ ছিলো না আর আজকে সকাল থেকেই রোদের তীব্রতা ছিলো অনেক। আছরের আজান এর পরেও রোদের অনেক তীব্রতা ছিলো।
মাঠে প্রবেশ করার পর আমরা মাঠের মাঝে রেড ক্রিসেন্ট এর সামনে যাই এবং ছায়ার মধ্যে দাড়াই সেখানে আমাদের আরেকটি ফ্রেন্ড ছিলো। সেখানে ছায়ায় দাঁড়িয়ে মাঠের এই ফটোগ্রাফিটি তুলে নিয়েছিলাম। তখন ও মাঠে গুটি কয়েক মানুষ এই ছিলো যারা মাঠে প্রতিদিন খেলে তারা তখন ও আসেনি। আমাদের ব্যাচের ও যারা খেলে তারা আসেনি তখন ও। আমরা তাদের জন্য অপেক্ষা করি এবং কিছুক্ষণ পরে তারা চলে আসে।
সকল প্লেয়ার চলে আসার পরে আমরা ফুটবল খেলা শুরু করে দেই। প্রতি টিম এ ৮ জন করে মোট ১৬ জন প্লেয়ার হয়৷ আমরা যখন ফুটবল খেলছিলাম তখনি এই ফটোগ্রাফি ক্যামেরাবন্দি করে নিয়েছিলাম। ফটোগ্রাফিটিতে আমরা যেই ছেলেগুলোকে দেখতে পারছি তারাই মূলত একসাথে ফুটবল খেলছিলাম এবং খেলার হাফ টাইমে আমি এই ফটোগ্রাফিটি তুলে নিয়েছিলাম।
মাগরিবের আজানের সময় খেলা শেষ করার পর বাসায় ফেরার পথে নীলফামারী বড় মাঠ থেকে আকাশের এই চমৎকার ফটোগ্রাফিটি ক্যামেরা বন্দি করে নেই। আকাশের কালো মেঘ গুলো দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিলো। তাই যখন আকাশের কালো মেঘগুলো আমার চোখে পড়ে তখনি এই ছবিটি ক্যামেরাবন্দি করে নেই। আশা করি ফটোগ্রাফিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।
এই ফটোগ্রাফিটিতে আমি সূর্যাস্তের ব্যাপারটি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমি যখন নীলফামারী বড় মাঠে অবস্থান করছিলাম এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তের ফটোগ্রাফিটি ক্যামেরাবন্দী করি। ফটোগ্রাফিটিতে আমরা দেখতে পারছি সূর্যাস্ত যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তের দৃশ্য। এই সময় আকাশের মেঘগুলোও চমৎকার রুপ ধারণ করে যা ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
🌼ধন্যবাদ🌼
বিষয়: ফোটোগ্রাফি 📸
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে। ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
নীলফামারীতে গিয়ে বড় মাঠের তোলা কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রতিটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে দেখতে অসাধারণ লাগছে। বিশেষ করে নীলফামারির বড় মাঠ থেকে আকাশের তোলা ফটোগ্রাফি টা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে। ধন্যবাদ এমন সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করুন জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ফটোগ্রাফি পোস্টটি দেখে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
খুব চমৎকারভাবে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন। আকাশের চিত্র ধারণ করতে আমারও খুব ভালো লাগে। অনেক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর সুন্দর ফটো গুলো দেখে। অসাধারণ হয়েছে আপনার এই ফটো ধারণ করা। আশা করব এভাবে সুন্দর সুন্দর ফটো ধারণ করে শেয়ার করবেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ফটোগ্রাফি পোস্টটি দেখে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
গত পরশুদিন ঢাকা থেকে নীলফামারী গিয়েছেন তাহলে। তবে সেখানে কারফিউ শিথিলের সময়টা একটু বেশি। ঢাকার মধ্যে তো বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শিথিল থাকে। যাইহোক নীলফামারী বড় মাঠের ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। এর আগেও বেশ কয়েকবার এই মাঠের ফটোগ্রাফি দেখেছিলাম। খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো ক্যাপচার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার ফটোগ্রাফি পোস্টটি দেখে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
তুমি ঢাকা থেকে নিরাপদে নীলফামারী ফিরে এসেছ শুনে খুশি হলাম। নিরাপদে থাকো দুই ভাই। মায়ের কাছে থাকা সর্বদা নিরাপদের। ঢাকাতে ছিলে বলে চিন্তাগ্রস্ত হচ্ছিলাম। আর ছবিগুলি অসাধারণ তুলেছো। বর্ষার সময় আকাশ যেন নতুন রূপে ধরা দেয়। এক এক সময় এক এক সৌন্দর্য খেলে যায় প্রতি কোণে। তোমার ক্যামেরা ভীষণ সুন্দরভাবে সেগুলি তুলে রেখেছে।