অবশেষে দেখা মিলল সেই কাঙ্খিত আবহাওয়ার ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। বেশ কিছুদিন ধরে তাপমাত্রা অনেক বেশি ছিল। সারাদেশে অনেক গরম পড়েছিল। আমি এই নিয়ে দুটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম। আমার প্রথম পোস্টটি ছিল পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণ ও এর ফল এবং আমার দ্বিতীয় পোস্টটি ছিল পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমাদের করণীয়। আজ আমি আপনাদের মাঝে অতিরিক্ত গরমের পরে স্বস্তির বৃষ্টি ও স্বস্তির আবহাওয়া ফিরে পাওয়া নিয়ে পোস্ট করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র গরমের কারণে জীবনযাপন অতিষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাপমাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছিল যে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি চলে গিয়েছিল। বিশেষ করে ঢাকা শহরে প্রচুর গরম পড়েছিল। টানা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার উপরে তাপমাত্রা ছিল। এই গরম আমাদের জীবনযাপন এ অনেক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছিল। এই তীব্র গরমের পর ঢাকা শহরে পরশুদিন রাতে স্বস্তির বৃষ্টি হয়। পরশুদিন রাতে বৃষ্টির পর থেকেই আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা হয়। এরপর গতকাল রাতেও ঢাকা শহরে অনেকক্ষণ মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এই বৃষ্টির পর থেকে আবহাওয়া অনেকটা ঠান্ডা হয়ে যায়।
আজকে ভার্সিটিতে আমার দুটো ক্লাস ছিল। আমার প্রথম ক্লাসটি দুপুর ১২:৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১ টা ৫০ পর্যন্ত ছিলো এবং আমার দ্বিতীয় ক্লাসটি বিকেল ৩'১০ থেকে ৪'৩০ পর্যন্ত ছিল। আমি ভার্সিটিতে যাই দুপুর ১২:০০ টায়। আবহাওয়া সকাল থেকেই বেশ মেঘলা ছিল। এরকম আবহাওয়া আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। মেঘলা আকাশ শীতল বাতাস মনকে মুগ্ধ করে তোলে। আমার ভার্সিটিতে প্রথম ক্লাস ছিল দুপুর ১২:৩০ মিনিটে তাই আমি কিছুক্ষণ পরে ক্লাসে চলে যাই এবং মনোযোগ দিয়ে ক্লাসটি করি। ক্লাস শেষ হওয়ার পর আমি ভার্সিটির গ্যালারিতে আসি। যেহেতু আমার পরের ক্লাস ছিল ৩'১০ সেহেতু অনেক সময় ছিল। তাই আমি ভার্সিটি ৭ম ফ্লোরে যাই কারণ বাইরের আবহাওয়া অনেক চমৎকার ছিল। আকাশ অনেক মেঘলা তার সাথে প্রচন্ড বাতাস বয়ে চলছিল। ভার্সিটি টপ ফ্লোর গুলো থেকে এরকম প্রকৃতি বেশ চমৎকারভাবে উপভোগ করা যায়।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর আমি আবার ভার্সিটির গ্যালারিতে চলে আসি। কিন্তু ভার্সিটি টপ ফ্লোর থেকে প্রকৃতির এরকম আবহাওয়া আমার মনকে মুগ্ধ করে তোলে। প্রকৃতির শীতল বাতাস আমার অনেক ভালো লাগে। প্রচন্ড গরমের পর এরকম আবহাওয়া সবাই উপভোগ করে কারণ এই কিছুদিন তীব্র গরমে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল। গতকাল রাতেও এরকম মুষলধারে বৃষ্টি দেখে অনেকেই বৃষ্টি বিলাস করেছে।
এরপর বিকেল ৩'১০ এ আমার ক্লাস ছিল। আমার ক্লাসটি শেষ হয় বিকেল ৪:৩০ মিনিটে। এরপর আমরা সব বন্ধুরা ভার্সিটির গ্যালারিতে দেখা করি। তখন আকাশ আরো মেঘলা হয়ে গিয়েছিল এবং বাতাস আরো তীব্র হয়ে গিয়েছিল। তাই আমরা প্রকৃতিকে উপভোগ করতে ভার্সিটির ১০ম ফ্লোরে যাই এবং সেখান থেকে প্রকৃতিকে উপভোগ করি। ভার্সিটি টপ ফ্লোর গুলো থেকে খুবই চমৎকার বাতাস আসে আরো যখন এরকম আবহাওয়া থাকে তখন সেটি উপভোগ করার মত হয়। তাই আমরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ভার্সিটি টপ ফ্লোরে যাই। এরপর কিছুক্ষণ প্রকৃতির এরকম আবহাওয়া উপভোগ করে
ভার্সিটির গ্যালারিতে ফিরে আসি।
তীব্র গরমের পর এরকম আবহাওয়া যেন আশীর্বাদস্বরুপ। অতিরিক্ত গরমের ফলে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টির জন্য সালাত আদায় করা হয়। আমাদের ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতেও বৃষ্টির জন্য সালাত আদায় করা হয়। অবশেষে সেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা আমরা পেয়েছি। এবং সেই বৃষ্টির মাধ্যমে প্রকৃতির আবহাওয়া বেশি শীতল হয়ে গিয়েছে।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
গত একমাস যেভাবে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছিল তাতে আমাদের সকলের জন্যই জীবনধারণ করাটা কষ্টের হয়ে যাচ্ছিল। আমাদের এলাকাতে তো ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ও হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক আবহাওয়া কিছুটা শীতল হয়ে গিয়েছে এই জন্য সকলেই স্বস্তি পাচ্ছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ বেশ চমৎকার একটি সময় উপভোগ করেছ আমি সেই সাথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছো। সব মিলিয়ে অনেক ভালো একটি দিন কাটিয়েছো আজ, অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।
তোমাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আম্মু।
প্রতিবছর এই সময় এই আবহাওয়াটা আমরা উপভোগ করতাম। এবার তার ব্যতিক্রম দেখতে পেয়েছি । এরকম আবহাওয়ার অপেক্ষায় সবাই ছিল। অনেক জায়গা বৃষ্টি হচ্ছে মেঘলা আকাশ আকাশের ভিন্ন এক সৌন্দর্য আমাদের এখানে আজকে বৃষ্টি হয়েছে ।ভালো লাগলো সেই দৃশ্য আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য । যেটা ভালোই উপভোগ করেছি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
আপনার লেখায় ঢাকা শহরের তীব্র গরম এবং পরবর্তী স্বস্তির বৃষ্টির বর্ণনা অত্যন্ত জীবন্ত এবং অনুভূতিমূলক। আপনার পোস্ট পড়ে মনে হয়, আপনি নিজের অভিজ্ঞতা এবং অনুভূতিকে খুব সুন্দর করে প্রকাশ করতে পারেন। শুভকামনা রইলো, ভাইয়া।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন বৃষ্টির দিনের। বৃষ্টির দিনে অনেক উঁচু থেকে শহরের দৃশ্য দেখতে বেশ ভালো লাগে। এই গরমে মানুষ খুব কষ্ট পেয়েছে বৃষ্টি হওয়ার কারণে সবাই স্বস্তি ফিরে ফেলো। আজকে তো আমাদের এখানে সারাদিন জিরিয়ে জিরিয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। পরিবেশটা খুবই ঠান্ডা হয়ে গেল। অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর অনুভূতি আপনি শেয়ার করলেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ভাই আমাদের এখানেও প্রচুর বৃষ্টি হয়েছিল। এটি ঠিক বলেছেন ঢাকাতে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা গরম পড়েছিল। জনজীবন অনেক অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। অনেক মানুষ হিট স্ট্রোক করে মারা গিয়েছিল। কিন্তু এ সময় বৃষ্টিটা খুবই প্রয়োজন ছিল। আমাদের পরিবেশটা বৃষ্টি এসে একদমই শান্ত করে দিয়েছে। রোদের তাপ অনেক কমে গিয়েছে।
আপনি ঠিক বলেছেন রোদের তাপ অনেক কমে গিয়েছে বৃষ্টির ফলে।
আপনি অনেক সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন সেই সাথে বেশ কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন। সব মিলিয়ে অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। গত একমাস তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আমাদের সকলের জন্যই জীবনযাপন
করা খুব কষ্টকর হয়ে গিয়েছিল। যাইহোক আবহাওয়া একটু শীতল হয়ে গেছে সকলেই একটু স্বস্তি পাচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
সু স্বাগতম ভাই
ঠিক বলেছেন ভাই তীব্র গরমের পর এইরকম ওয়েদার যেন আশীর্বাদ। কদিন যে যন্ত্রণার মধ্যে ছিলাম। এখন তো মোটামুটি পরিবেশ টা বেশ ঠান্ডা আছে। আপনার ভার্সিটির টপ ফ্লোর থেকে প্রকৃতি টা সত্যিই বেশ চমৎকার লাগছে। এককথায় দারুণ। অনেক সুন্দর ছিল ফটোগ্রাফি টা।
হুম ভাই তীব্র গরম থেকে শেষ অব্ধি একটু পরিত্রাণ পাওয়া গেলো।
বেশ কিছুদিন সবাই অনেক বেশী তাপদাহের মধ্যে দিয়ে গিগেছিলাম।বৃষ্টির দেখা মিলছিল না কোন ভাবে।অনেক জায়গায় এই বৃষ্টির জন্য দোয়া করা হয়েছে।অবশেষে বৃষ্টির দেখা আমরা পেয়েছি।আল্লাহর রহমত এসে পরেছে এই শহরে।এখন পরিবেশ অনেকটাই শীতল হয়েছে। এখন সবাই স্বস্তিতে আছে ।
আপনি ঠিক বলেছেন তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ এ আসায় সবাই বেশ স্বস্তিতে আছে।