বন্ধুদের সাথে খানসামা ঘাটের পাড়ে ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আমি বেশ কিছুদিন আগে আপনাদের মাঝে একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। ফটোগ্রাফি পোস্টটিতে আমি খানসামার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছিলাম। আজ আমি আপনাদের মাঝে বন্ধুদের সাথে খানসামা যাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরি না করে শুরু করা যাক।
আমার এক বন্ধুর জন্মদিনের দাওয়াতে আমিও আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে তাদের বাসায় দাওয়াত খেতে যাই। বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে সে আমাদেরকে দুপুরের দাওয়াত দিয়েছিল। তাদের বাসা পাকেরহাট খানসামা অর্থাৎ নীলফামারী থেকে একটু দূরে। আমরা সবার আগে নীলফামারীতে একত্রিত হই। যোহরের আজানের পর নীলফামারী উকিলের মোড়ে আমরা সবাই একত্রিত হই। সবাই একত্রিত হাওয়ার পরে আমরা একটি অটো ঠিক করি। অটো ঠিক করে আমরা নীলফামারী উকিলের মোর থেকে পাকেরহাট যাই, সেখান থেকে আমাদের বন্ধু আমাদের নিতে আসে এবং নিজের বাসায় নিয়ে যায়।
এরপর আমাদের খুবিই সুন্দর অ্যাপায়ন করে এবং আমরা কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পরে আমরা দুপুরের খাওয়া করে নিই। দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে আমরা বেশ কিছুক্ষণ রেস্ট করি। আর যেহেতু পাকেরহাট থেকে খানসামা কাছেই তাই সবাই মিলে চিন্তা করি খানসামা থেকে ঘুরে আসা যাক। তাই সবাই মিলে আমরা খানসামা ঘুরতে যাই। খানসামা ঘাটের পার অনেক সুন্দর, যেটির ফটোগ্রাফি আমি আপনাদের মাঝে ইতোমধ্যেই শেয়ার করেছি।
সবাই মিলে পাকেরহাট বাজার থেকে একটি অটো করে খানসামা ঘাটের পারে যাই। এখানকার আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনকে মুগ্ধ করে তোলে। ঘাটের পারের শীতল বাতাস যেনো মনকে ঠান্ডা করে দিচ্ছিলো। আমরা সকলে মিলে খানসামা ঘাটের পাড়ে পরে যেগুলো বসার বেঞ্চ রয়েছে সেগুলোয় বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে থাকে। খানসামা ঘাটের পারের উপরে বসার জন্য অনেকগুলো বেঞ্চ রয়েছে, এখানে বসে প্রকৃতির শীতল বাতাস খুবই সুন্দরভাবে উপভোগ করা যায়। এখান থেকে পুরো খানচামা নদীটির ভিউ চমৎকার আসে।
ঘাটের পাড়ের উপর থেকে আমরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পরে, আমরা সবাই মিলে ঘাটের পারের নিচের দিকে যাই। খানসামা নদীর পানি গুলো একদম নীল যেটি এখানকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে আরো কয়েক গুণ। আমরা খাটের পায়ের নিচে যেয়ে একটি নৌকায় সবাই মিলে ছবি তুলি। এখান থেকে নৌকায় ও পুরো নদী ঘুরে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। আমরা যখন ঘাটের পাড়ে নিচে যাই তখন একটি নৌকা আগে থেকেই খাটের পাড়ে নদীর তীরে বাধা ছিল।
আমরা সবাই ঘাটের পানির নিচে এসে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে থাকি। এখানকার শীতল বাতাস যেন সবার মন কে মুগ্ধ করে তুলছিল। আমরা খানসামা ঘাটের পাড়ের চারিদিকে ঘুরে দেখতে থাকি। আমার কাছে বিশেষ করে ঘাটের পাড়ের খানসামা নদীর নীল পানি গুলো অনেক ভালো লাগে। দূর থেকে নীল পানি গুলোর স্রোত দেখে আমার প্রচুর ভালো লাগছিল। এরকম স্বচ্ছ পরিষ্কার পানি খুবই কম দেখা যায় নদীগুলোতে।
আমরা বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করি এবং সবাই মিলে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করি। আমাদের কারো খানসামা আসার কোন প্ল্যান ছিল না, আমরা মূলত বন্ধুর জন্মদিনের দাওয়াত খেতে এসেছিলাম সেখান থেকেই হুট করে সিদ্ধান্ত নিয়ে খানসামা ঘাটের পাড়ে ঘুরতে আসি। অনেকদিন পর বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গিয়ে মন ভালো হয়ে গিয়েছিল এবং ঘাটের পাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের সবার মন কে মুগ্ধ করে তুলেছিল। ঘাটের পার ঘোরাঘুরি করার পরে আমরা সেখান থেকে একটি অটো ঠিক করে সরাসরি নীলফামারী ফিরে আসি।
আজকের মতো এখানেই। এতোক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বন্ধুদের সাথে ঘাটের পারে অবস্থান করেছিলেন সেই মুহূর্তের কিছু চিত্র আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। তবে এটা বুঝতে পারলাম বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল আপনাদের। অনেক ভালো লাগলো দেখে।
বন্ধুদের সাথে একত্রে কোথাও যেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর অন্য বন্ধুর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যেতে তো আরো বেশি ভালো লাগে। এই জায়গাটাতে এসে সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন এটা ভাবতেই তো ভালো লাগছে। এরকম সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। আমি তো অনেক বেশি ভালোবাসি এরকম সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করতে। দারুন একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন, আর আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই বিষয়টা দেখে ভালো লাগলো।
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা। এক বন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আপনারা সবাই একত্রিত হলেন। আর আপনাদেরকে ভালই ভাবে আপ্যায়ন করেছে জন্মদিনে। তবে ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খানসামা ঘাটের দৃশ্য এবং পরিবেশ অসাধারণ। আর আপনারা সবাই মিলে ভালই সময় উপভোগ করেছেন। এবং সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।