প্রথমবার ইউয়াইটিএস ইউনিভার্সিটি যাওয়ার অনুভূতি ||
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আমি আজকে আরো একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা সবাই জানেন যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র। আমি ঢাকায় ব্যাচেলর বাসায় থাকি। আমার যে রুমমেট আছে সে বাংলাদেশের আরেকটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ ইনফোরমেশন টেকনোলজি এন্ড সাইন্স ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর এই একজন ছাত্র। তো আজকে আমার রুমমেট এর ভার্সিটিতে বিবিএ ডিপার্টমেন্ট এর একটি ফেস্ট ছিলো। ভাই আমাকে সাথে নিয়ে তাদের ইউনিভার্সিটি আসে। আমি এর আগে কখনো ইউয়াইটিএস ভার্সিটিতে যাইনি তাই আমিও ভাবলাম ভাইয়ের ইউনিভার্সিটি দেখে আসা যাক। তো আজ আমি আপনাদের মাঝে ইউয়াইটিএস ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
আমরা যেখানে থাকি অর্থাৎ নতুনবাজারে। এখান থেকে ইউয়াইটিএস ইউনিভার্সিটি কাছেই হেটে আসতে প্রায় ১০ মিনিটের মতো লাগে। আমি এবং আমার রুমমেট বিকেলের দিকে ইউয়াইটিএস ইউনিভার্সিটিতে আসি। ইউনিভার্সিটিতে আসার পর আমার রুমমেট আমাকে তাদের ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাস ঘুরে দেখায়। ইউয়াইটিএস ইউনিভার্সিটির এর ক্যাম্পাসটি আমার কাছে বেশ ভালোই লাগে। ইউয়াইটিএস ইউনিভার্সিটিতে একটি ছোট মাঠ রয়েছে। তাছাড়াও প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি এর ক্যাম্পাস হিসেবে আমার কাছে ঠিকঠাক লেগেছে।
ইউনিভার্সিটি এর ক্যাম্পাস ঘুরে দেখতে দেখতেই বিবিএ ডিপার্টমেন্ট এর ফেস্টটি শুরু হয়ে যায়। এরপর আমরা ফেস্টটি দেখতে শুরু করি। ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের ভেতরেই এই ফেস্টটির আয়োজন করা হয়। ইউনিভার্সিটি এর মাঝামাঝি একটি ফাকা জায়গা রয়েছে সেখানে এই ফেস্টটি অনুষ্ঠিত হয়। বিবিএ ডিপার্টমেন্ট এর স্টুডেন্ট বাদেও অন্য সব ডিপার্টমেন্ট এর স্টুডেন্ট উপস্থিত ছিলো এই ফেস্টে। সকল স্টুডেন্ট এই ফেস্টটি বেশ ভালোই উপভোগ করছিলো।
এরপর মাগরিবের আজান এর আগে নামাজ বিরতি দেয়া হয়। এরপর আমি ভার্সিটির বিল্ডিংটি ঘুরে দেখতে থাকি। ভার্সিটিতে বেশ কয়েকটি ল্যাব রয়েছে। ইউয়াইটিএস ইউনিভার্সিটি তেও বেশ ভালো ভালো কিছু ডিপার্টমেন্ট রয়েছে। পুরো ভার্সিটি ঘুরে দেখার পর আমরা আবার ভার্সিটির নিচে আসি যেখানে ফেসটটি আয়োজিত করা হয়েছিলো। কিছুক্ষণ পরে বিরতি শেষে ফেস্টটি আবার শুরু হয়।
ফেস্টটিতে গান নাচের ব্যবস্থা ছিলো। প্রথমে কয়েকটি নাচের পর গানের কনসার্ট শুরু হয়। একটি লোকাল ব্যান্ড বেশ কয়েকটি বাংলা ও হিন্দি গান পরিবেসশন করে। গানগুলো স্টুডেন্ট রা বেশ ভালোই ইনজয় করে। লোকাল ব্যান্ডের কয়েকটি গানের পর আবার ইউয়াইটিএস কালচারাল ক্লাবের ভাই রা স্টেজে ডান্স পারফরম্যান্স করে। আমাদের ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকেও পারফরম্যান্স করার জন্য কালচারাল ক্লাবের মেম্বাররা এসেছিলো। সকল স্টুডেন্ট রা ফেস্টটি অনেক উপভোগ করছিলো। এরপর আরো কিছু স্টেজ পারফরম্যান্স হয়। আমি ও পারফরম্যান্সগুলো দেখি।
এরপর আরো কিছুক্ষণ ফেস্টটি দেখে আমি ও আমার রুমমেট বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে ইউনিভার্সিটি থেকে বের হই তখন ও ফেস্টটি চলছিলো, আমরা ইউনিভার্সিটি থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরে আসি। আজকের মতো এখানেই। এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার ইউয়াইটিএস ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার অনুভূতি ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করার ধরন খুবই জীবন্ত এবং আকর্ষণীয়। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে যেন আমি নিজেই সেই ফেস্টে উপস্থিত আছি। আপনার ফটোগ্রাফি আপনার এই পোস্টিকে আরো অনেক জীবন্ত করে তুলেছে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
নতুন কোন স্থানে প্রথমবার উপস্থিত হলে বেশ ভালোলাগে অজানা জিনিস দেখে। ঠিক তেমনি আপনার অসাধারণ এক অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করেছেন ভাইয়া। আজকের এই পোস্ট না দেখলে না পড়লে হয়তো আপনার এই সুন্দর অনুভূতি জানতে পারতাম না। তাই আপনার নতুন অভিজ্ঞতা জানতে পেরে অনেক ভালো লাগলো আমার।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট দেখে। যেখানে প্রথমবারের মতো আপনি ইউয়াইটিএস ইউনিভার্সিটি যাওয়ার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আর এরই মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানার সুযোগ হলো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।