স্বরচিত কবিতা "স্বাধীনতাতেও অস্বস্তি" ||
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। গত কয়েকদিন যাবত ইন্টারনেট না থাকায় পোস্ট করতে পারিনি। আজকেও নেট অনেক সমস্যা দেখা দিচ্ছে তবুও পোস্ট করার চেষ্টা করলাম। আজ আমি আমার স্বরচিত কবিতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি। আমি মাঝে মাঝেই লেখালেখি করি। কবিতা লিখতে বেশ ভালোই লাগে। অবসর সময়ে প্রায়ই আমি কবিতা লেখি। তাই আজ আমি নিজের লেখা একটি কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি সবাইকে ভালো লাগবে। বেশ কয়েকদিন থেকে তেমন কবিতা লেখা হচ্ছেনা তাই আজকে ভাবলাম একটি কবিতা লেখা যাক। তাই আজকে আমি একটি কবিতা লিখলাম কবিতার শিরোনাম দিলাম "স্বাধীনতাতেও অস্বস্তি"।
বন্ধুরা আসুন এখন কবিতাটি সম্পর্কে দুই একটি কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
গদ্য কবিতা "স্বাধীনতাতে ও অস্বস্তি" মূলত স্বাধীনতা ও তার সাথে জড়িত অস্বস্তির সম্পর্ককে কেন্দ্র করে রচিত। কবিতায় স্বাধীনতার আনন্দ ও তাৎপর্যের পাশাপাশি, তার সাথে প্রায়শই যুক্ত থাকা অস্বস্তি ও শঙ্কার অনুভূতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। স্বাধীনতা লাভের সাথে সাথে মানুষের মনে যে দ্বিধা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তা যেন স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। এভাবেই স্বাধীনতা ও অস্বস্তির মধ্যে সম্পর্কের মেলবন্ধন তুলে ধরা হয়েছে কবিতায়।
স্বাধীনতাতে ও অস্বস্তি
স্বাধীনতার সোনালী রোদ্দুরে হাঁটতে হাঁটতে
একদিন হঠাৎ এসে পড়ে অস্বস্তির বৃষ্টি,
শীতল বাতাসে ভেজা শরীর কাঁপতে থাকে—
এ কিসের শিহরণ?
স্বাধীনতা! একে কি করে তুমি বাঁধা রাখবে?
অথচ, এই স্বাধীনতার মাঝে মাঝে
মনে হয়, পায়ের নিচে জমে থাকা জল,
আলগা মাটির মতন ভেঙে যাচ্ছে সব।
জন্ম থেকে যে স্বাধীনতা পেয়েছি,
তা কি সত্যিই স্বাধীনতা ছিল?
নাকি ছিল শুধুই এক শূন্যতার নীলিমায়
ডুব দেয়া একান্ত বাসনা?
অস্বস্তি! তুমিও কি চুপিচুপি স্বাধীনতার সঙ্গী?
স্বাধীনতার হাত ধরে হাঁটতে গিয়ে
তুমি কি ফিসফিস করে বলো—
"সবকিছু ঠিক আছে, ঠিক থাকবে না"?
মাঝেমাঝে মনে হয়,
স্বাধীনতা আর অস্বস্তি দু'জনেই বন্ধু,
একসঙ্গে আসে, একসঙ্গে যায়,
একজন না থাকলে অন্যজনও ম্লান হয়ে যায়।
তবু, স্বাধীনতার এই পথচলায়
অস্বস্তির ছায়া যেন সঙ্গী হয়,
মনের গভীরে থাকা এক অজানা শঙ্কার মতন,
শুধুই একান্ত সঙ্গী।
স্বাধীনতা যখন হাসে,
অস্বস্তি তখন কাঁদে,
আর আমরা সবাই,
তাদের এই মধুর সম্পর্কের
উদ্বেগময় উপভোগী।
এভাবেই চলতে থাকে,
স্বাধীনতাতে ও অস্বস্তিতে ভরা
আমাদের জীবনের একান্ত জার্নি।
আমার মায়ের অনুপ্রেরণায় আমার লেখালেখির জগতে আসা। যদিও মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে পারিনা তবে মাঝে মাঝে সময় পেলে কবিতা লেখার ট্রাই করি। আম্মুর পদ্য কবিতাগুলো আমার কাছে দারুণ লাগে। কি চমৎকার করে স্বরবৃও ছন্দে লিখেন। ৮ ৬ মাত্রার এই কবিতাগুলো আমি নিয়মিত ফলো করি এবং সেভাবে লেখার চেষ্টা করি,তবে দু একটি মাত্রা এদিক সেদিক হলে আম্মুর কাছে ঠিক করে নিই। আমার মায়ের লেখা কবিতার অনেক ভক্ত পাঠক আমি দেখেছি দেশ এবং দেশের বাইরেও, যা আমাকে ভীষণভাবে উৎসাহিত করে। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারেও অনেকেই আম্মুর লেখা কবিতাগুলো ভীষণ পছন্দ করে, এটি আমার কাছে অনেক গর্বের। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে আগামীতে আরো মজার মজার কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব সুন্দর একটি কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। বেশ ভালো লাগলো আপনার চমৎকার এই কবিতা দেখে। এক কথায় অসাধারণভাবে লেখার চেষ্টা করেছেন কবিতাটা। আশা করবো ভালো লাগার সুন্দর সুন্দর কবিতা নিয়ে উপস্থিত হবেন বারবার।
গদ্য কবিতা গুলো পড়তে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আপনার আজকের কবিতাটি খুব সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। এরকম সহজ সরল ভাষায় কবিতা লিখলে পড়তে বেশি ভালো লাগে। আপনার মায়ের কাছ থেকে বেশ ভালো কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছেন দেখছি। ভালো লাগলো পড়ে।