গ্রাফিতি ফটোগ্রাফি পর্ব-০২ ||
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে ভালোই আছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আরেকটি ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা সকলে জানেন যে পুরো বাংলাদেশে গ্রাফিতির কাজ চলছে যা মূলত শিক্ষার্থীরাই করছে। তো আমাদের নীলফামারীতেও গ্রাফিতির কাজ চলছে আর আজকে আমি নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দেয়ালে করা কিছু গ্রাফিতি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। আমি ইতিমধ্যে এরকম একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি এটি কি আপনারা পর্ব -২ হিসেবেও নিতে পারেন। আশা করি আমার ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে। তো চলুন বেশি দেরী না করে শুরু করা যাক।
গ্রাফিতিটিতে আমরা যেই ভবনটি দেখতে পারছি এটি হলো নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং এই লাল বিল্ডিং টি নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য বহন করে। এই লাল বিল্ডিংটি ব্রিটিশ আমলে বানানো হয়েছিল এবং তখন থেকে এখন পর্যন্ত এটি এভাবে অক্ষত রয়েছে। শত শত বছর ধরে নীলফামারীর মাটিতে এই বিল্ডিংটি ঐতিহ্য হিসেবে রয়েছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সূর্যোদয় আমাদের বিদ্যালয় নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এ দেখানো হয়েছে। এই গ্রাফিতিটি আমরা করেছি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে শহীদ মুগ্ধকে কেউ চেনে না এরকম মানুষের সংখ্যা খুবই কম পাওয়া যাবে। মুগ্ধ বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের শহীদ হয় এবং সেখান থেকে তার একটি কথা 'পানি লাগবে পানি' এই কথাটি প্রচন্ড ভাইরাল হয়। শহীদ মুগ্ধ ফ্রিল্যান্সিং জগতের ছিল অনন্য। তাই শহীদ মুগ্ধকে স্মরণ করে আমরা তার গ্রাফিতিটি করেছি।
মূলত বাংলাদেশে নতুন করে সাথে নেওয়ার পেছনে লংমার্চ টু ঢাকা এর গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। যেখানে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ অসাধারণ মানুষ একই সাথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আমরা এই গ্রাফিতিটি করেছি সেই সকল মানুষদের প্রতি সম্মান রেখে যারা এখনো ন্যায় বিচারের আওতায় আসেনি বা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে তাই এখানে লেখা রয়েছে লং মার্চ টু ইনজাস্টিস।
১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালে যাদেএ জন্ম তাদের gen Z জেনারেশন বলা হয়। আমাদের যাদের জন্ম এই সালের মধ্যে আমরা সবাই এই জেনারেশনের অন্তর্ভুক্ত। আর এই জেনারেশনের শিক্ষার্থীরা নতুন করে বাংলাদেশ ইতিহাস করার পেছনে সরাসরি অবদান রেখেছে। সেই অবদান এর প্রেক্ষিতে এই গ্রাফিতিটি করা হয়েছে।
বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের উপর বাংলাদেশের মানুষকে ভরসা রাখার পরিপ্রেক্ষিতে এই গ্রাফিতিটি করা হয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ যে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের উপর ভরসা রেখে লংমার্চ তো ঢাকায় যোগ দিয়েছিল, দেশ স্বাধীনের পরেও যেন তারা এই ছাত্র সমাজের উপরে ভরসা রাখে সেই পরিপ্রেক্ষিতেই এই প্রাফিতিটি করা।
নতুন করে দেশ স্বাধীনের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিছু অরাজকতা দেখা দেয়। সেই অরাজকতাকে অরাজকতার প্রতি প্রতিবাদ জানিয়ে এই গ্রাফিতিটিতে লেখা রয়েছে, "স্বাধীনতা যখন এনেছি সংস্কারও আনবো "। অর্থাৎ এ দেশ আমরা সকলে মিলে স্বাধীন করেছি এবং এদেশের সংস্কারও আমরা সকলে মিলেই করব।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র । আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
🌼ধন্যবাদ🌼
বিষয়: ফোটোগ্রাফি 📸
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে। ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাই আপনার গ্রাফিতি ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। মুগ্ধ ভাইয়ের "পানি লাগবে পানি" এই কথাটি শুনলে শরীরের রোম শিউরে ওঠে। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আমার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রথম গ্রাফিতি ফটোগ্রাফি পর্ব আমি দেখেছিলাম। বেশ ভালো লেগেছিল সেগুলো। আজকের ফটোগ্রাফি গুলোও ভীষণ ভালো লেগেছে। gen Z এবং শহীদ মুগ্ধর গ্রাফিতি বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর কিছু গ্রাফিতির ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে নতুনভাবে সবকিছু সাজানোর চেষ্টা করছে। দেয়াল গুলো রঙিনভাবে সাজিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। গ্রাফিতি ফটোগ্রাফি দেখে খুবই ভালো লাগলো। আর্ট গুলো সত্যিই দারুণ হয়েছে। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া।
হুম শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা যেন দেখলে পুরো দেশ।