স্বরচিত কবিতা অনন্য অধ্যায় ||
আশা করি সবাই ভালো আছেন, আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আজ আমি আমার স্বরচিত কবিতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরতে যাচ্ছি। আমি মাঝে মাঝেই লেখালেখি করি। কবিতা লিখতে বেশ ভালোই লাগে। অবসর সময়ে প্রায়ই আমি কবিতা লেখি। তাই আজ আমি নিজের লেখা একটি কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশা করি সবাইকে ভালো লাগবে। বেশ কয়েকদিন থেকে তেমন কবিতা লেখা হচ্ছেনা তাই আজকে ভাবলাম একটি কবিতা লেখা যাক। তাই আজকে আমি একটি কবিতা লিখলাম কবিতার শিরোনাম দিলাম "অনন্য অধ্যায়".
বন্ধুরা আসুন এখন কবিতাটি সম্পর্কে দুই একটি কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করি। বন্ধুরা আজ আমি আমার ভার্সিটির জীবন নিয়ে একটি কবিতা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আর কবিতাটির মূলভাব সংক্ষেপে তুলে ধরলাম। আশা করি আমার আজকের এই কবিতা আপনাদের ভালো লাগবে।
কবিতার মূলভাব হল, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বিভিন্ন মধুর ও স্মৃতিময় মুহূর্তগুলোকে ধরে রাখা। এই কবিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়, ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে আলোচনা, পরীক্ষার চাপ, এবং আনন্দের সময়গুলোর কথা বলা হয়েছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে স্মরণীয় ও অমূল্য হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে, যা ভবিষ্যতে স্মৃতির পাতায় চিরকাল ধরে থাকবে।
খোলা মাঠের হাওয়া, বন্ধুরা সবাই একসাথে—
একটা চায়ের কাপে ভর করে হাজারো কথা।
ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে, লেকচার হলের আলাপ,
একটা দুষ্টু হাসি আর কিছু অদ্ভুত পরিকল্পনা।
বাইরে বৃষ্টির ধারা, আমরা ছাতা ছাড়া দৌড়াই,
ক্যাম্পাসের পথে পথে হেঁটে বেড়াই।
কখনো মনে হয়, জীবনের এই মুহূর্তগুলো
অনন্ত কাল ধরে থেমে থাকুক।
রাতে হলের ছাদে বসে আকাশের তারা দেখি,
বন্ধুরা পাশে বসে, কিছু গান কিছু গল্প শোনা।
কখনো মনে হয়, এই মূহূর্তগুলো
স্মৃতির পাতায় থেকে যাক চিরকাল।
পরীক্ষার চাপ, প্রজেক্টের ব্যস্ততা,
তার মাঝেই মেলে আনন্দের কিছুটা সময়।
ভার্সিটি জীবনের এই দিনগুলো,
একটা রঙিন স্বপ্নের মতো মনে হয়।
কখনো ক্লাসে ঝিমুনি, কখনো বন্ধুরা টানে ক্লাসের বাইরে,
এই দিনগুলো যেন একটা মধুর সময়ের গান।
সবকিছুর শেষ আছে, তবু মনে হয়,
এই জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত অমর হয়ে থাকুক।
ভার্সিটি জীবন, এক টুকরো সময়,
যেখানে বন্ধুত্ব, হাসি, আর গল্পের আসর।
এ যেন এক অনন্য অধ্যায়, আমাদের জীবনের
একটা মধুর স্মৃতি, যা কখনো মুছে যাবে না।
আমার মায়ের অনুপ্রেরণায় আমার লেখালেখির জগতে আসা। যদিও মায়ের ইচ্ছে পূরণ করতে পারিনা তবে মাঝে মাঝে সময় পেলে কবিতা লেখার ট্রাই করি। আম্মুর পদ্য কবিতাগুলো আমার কাছে দারুণ লাগে। কি চমৎকার করে স্বরবৃও ছন্দে লিখেন। ৮ ৬ মাত্রার এই কবিতাগুলো আমি নিয়মিত ফলো করি এবং সেভাবে লেখার চেষ্টা করি,তবে দু একটি মাত্রা এদিক সেদিক হলে আম্মুর কাছে ঠিক করে নিই। আমার মায়ের লেখা কবিতার অনেক ভক্ত পাঠক আমি দেখেছি দেশ এবং দেশের বাইরেও, যা আমাকে ভীষণভাবে উৎসাহিত করে। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারেও অনেকেই আম্মুর লেখা কবিতাগুলো ভীষণ পছন্দ করে, এটি আমার কাছে অনেক গর্বের। আপনাদের অনুপ্রেরণা পেলে আগামীতে আরো মজার মজার কবিতা নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো।
এতক্ষণ ধরে মনোযোগ দিয়ে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দেখা হবে অন্য একটি ব্লগে ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
আমি আল হিদায়াতুল শিপু। বর্তমানে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর একজন ছাত্র। আমি ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি মাঝে মাঝে কবিতা ও লিখি। আমার লেখা কবিতা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটা পত্র পত্রিকা এবং মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কাব্যকলি বইতেও আমার লেখা কবিতা রয়েছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি আপনার ভার্সিটির জীবন নিয়ে অনেক সুন্দর একটা কবিতা লিখেছেন আজ। আপনার লেখা কবিতাটা পড়ে তো অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। এই সুন্দর কবিতাটা লেখা টপিক অনেক দারুণ ছিল। আপনি কিন্তু অনেক সুন্দর কবিতা লিখে থাকেন। আপনি সবকিছুকেই এখানে তুলে ধরেছেন অনেক সুন্দর ভাবে। ছন্দ মিলিয়ে পুরো কবিতাটা লিখেছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার এরকম সুন্দর কবিতা আশা করছি পরবর্তীতেও শেয়ার করবেন।
কবিতাটা অসাধারণ লিখেছো। বেশ মনকাড়া। প্রতিটা লাইনে উঠে এলো জীবনের সাথে জড়িয়ে রোজকার দিনগুলো। কবিতাটা মিষ্টি এবং মসৃণ। ইউনিভার্সিটি জীবনের দিনগুলো খুবই রঙিন। সারাজীবন দেখবে মনের মণিকোঠায় লালিত হবে৷ তাই সুন্দর কাটাও এই দিনগুলো। এই জীবন আর ফিরে আসবে না কখনো৷
মায়ের অনুপ্রেরণায় আপনিও কিন্তু খুবই ভালো কবিতা লিখছেন ভাইয়া। আপনার লেখা কবিতা পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া আমাদের জীবনের কিছু কিছু সময় আসে যেগুলো অনেক বেশি আনন্দের। আবার কখনো কখনো অনেক স্মৃতি জড়িয়ে থাকে।
খুবই খুবই সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন। কবিতাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কবিতার ভাষাগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
অনেকে বলে আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও আমি একটা শিক্ষিত জাতি দিব। তেমনি আপনি আপনার মায়ের অনুপ্রেরণায় খুব সুন্দর কবিতা লেখেন। আজকে আপনার অনন্য অধ্যায় কবিতাটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। বিশ্ববিদ্যালয় স্মৃতি নিয়ে চমৎকার কবিতা লিখে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই কবিতাটি যতই পড়তেছি ততই ভালো লাগতেছে আমার কাছে।