ফিরে পাওয়া ভালোবাসা - গল্পের তৃতীয় পর্ব
ফিরে পাওয়া ভালোবাসা
প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্বের পর
একটা ভালো কাজ করতে ইচ্ছে হলো এই মুহূর্তে। এরপর আমি বললাম ঠিক আছে এটা নিয়ে মন খারাপ করতে হবে না। তোমার হাতের সবগুলো ফুল আমাকে দাও। সে সবগুলো ফুল নির্বিধায় আমার দিকে বাড়িয়ে দিল। এরপর আমি পকেট থেকে একটা পাঁচশত টাকার নোট বের করে ওর হাতে দিয়ে দিলাম। এই নাও এটা তুমি তোমার কাছে রাখো আর মেয়েটির নাম জানতে চাইলাম। তখন সে বলল আমার নাম জবা, ফুলের সাথে মিলিয়ে তার দাদা তার নাম রেখেছিল জবা।
পাঁচশত টাকার নোট দেখে সে গভীর বিস্ময়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল।এরকমটা কখনোই হয়তো আশা করিনি। ওর নিষ্পাপ হাসি দেখে আমার মনটা পুরোপুরি ভালো হয়ে গিয়েছিল সেদিন। ও টাকা নিয়ে অনেকটা দৌড়োই রাস্তা পার হয়ে চলে যেতে লাগলো, আমি তাকিয়ে আছি ওর চলে যাওয়ার পথে। কিছু বুঝে উঠার আগেই একটা প্রাইভেট কার পিছন থেকে ওকে ধাক্কা মারে সাথে সাথে জবা ছিটকে পড়ে যায় রাস্তার মাঝে। আমি আমার নিজের চোখে দেখা এই ঘটনার কোনোকিছুই যেন বিস্বাস করতে পারছিলাম না। গাড়িটার পিছনে দৌড় দিয়েছিলাম কিন্তু ধরতে পারিনি। এরপর আমি নিজেই জবাকে শিশু হসপিটালে নিয়ে যাই ও জবার সকল রকম চিকিৎসার ব্যবস্থা করি।
জবার শরীরের অনেক জায়গা খুব খারাপ ভাবে ছিলে গিয়েছিলো। সাথে একটা পা ভেঙ্গে গিয়েছিলো। এছাড়া আর অন্যকোনো জায়গায় ভাঙেনি। প্রায় একমাস চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে উঠে জবা। আমি প্রতিদিন হসপিটালে ওকে দেখতে যেতাম। খুব ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল আমাদের মাঝে। আর ওর সকল চিকিৎসার খরচ ভালোবেসেই দিয়েছিলাম। মনে হচ্ছিলো খুব আপন কারো জন্য কিছু করছি। আস্তে আস্তে হাটতে শুরু করে সে। ওর মা আমার জন্য খুব দুআ করতো। আর ওর দাদা তখন গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ থাকায় নাতনিকে দেখতে আসতে পারেনি কিন্তু ফোনে কথা বলেছে আমার সামনেই। আর এদের কথা বলার সময় আমি বুঝতে পারছিলাম দাদা ও নাতিনের মধ্যে কত ভালোবাসা ছিল।
জবা এখন মোটামোটি সুস্থ। তাই তার আর এখন হসপিটালে থাকতে হবে না। তখন আমি আমার নাম ঠিকানা একটা কাগজে লিখে দিয়েছিলাম জবাকে, আর বলেছিলাম তোমার যেকোনো সময় যেকোনো সমস্যায় আমার কাছে চলে আসবে। আমি সবসময় তোমার পাশে থাকবো। এরপর বেশ কিছুদিন জবার সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে। ধীরে ধীরে সময়ের আবর্তনে জীবন নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে গেলাম। আগের মতো আর ফোন করা হয়না জবাকে। অনেকদিন পর একদিন কল দিয়েছিলাম কিন্তু তাদের নাম্বার বন্ধ পেলাম। পরে জবা তার মাকে নিয়ে যেখানে থাকতো সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম জবা ও তার মা চলে গেছে তাদের গ্রামের বাড়িতে যেখানে জবার দাদা ও দাদি থাকে।
(চলবে..........)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
প্রথম আর দ্বিতীয় পর্ব পড়ে যতটুকু বুঝেছিলাম এখন আজকের এই পর্বটি পড়ে অনেক ভালোভাবে বুঝতে পারছি, যে এই বৃদ্ধ লোকটি সেই ছোট্ট মেয়েটির দাদা। তবে গল্পটি বেশ দারুন হচ্ছে আপু। শেষ দিকে কি হবে সেটা জানার অধীর আগ্রহ প্রকাশ করলাম। আসলে খুব ভালো লাগছে গল্পটা পড়তে পেরে।
আপু প্রথম পর্ব ও দ্বিতীয় পর্ব পড়ার পর আজকের তৃতীয় পর্বে যতটুকু বুঝলাম৷ বৃদ্ধ লোকটি সেই হারিয়ে যাওয়া মেয়েটির দাদা হবে ৷ সব কথা বললেন ৷ গল্প আস্তে আস্তে গভীরে যাচ্ছে ৷ পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা ৷