ফিরে পাওয়া ভালোবাসা - গল্পের প্রথম পর্ব
ফিরে পাওয়া ভালোবাসা
শীতের যে এবার কি অবস্থা, এবার মনে হয় শীত কোনো রাগ ঢাক রাখেনি, পূর্ণ শক্তি দিয়ে মাঠে নেমেছে। এই অবস্থায় শরীরটা একটু গরম করার জন্য বাসা থেকে নেমে নিচের চায়ের দোকানে বসে এক কাপ চা আর একটা সিগারেট ধরিয়ে মুক্ত আকাশে ধুয়া উড়াতে থাকি আর অপেক্ষা করতে থাকি আমার এক বন্ধুর জন্য। ভাবছিলাম সে আসলে আরো কিছুক্ষন চায়ের দোকানে বসেই আড্ডা দিবো। ঠিক এমন সময় একটা বৃদ্ধলোক হাতে একটা প্যাকেট নিয়ে আমার পাশে এসে দাঁড়ায়। প্যাকেটের মধ্যে লাল কি যেন একটা উঁকি মারছে। আমাকে বলে বাবা তুমি কি এই এলাকাতেই থাকো ? বৃদ্ধলোকটার এরকম প্রশ্নে আমি একটু হকচকিয়ে গেলাম। মুরুব্বিদের সামনে আমি কেন যেন সিগারেট টানতে পারি না। ছিগারেটটা ফেলে দিতে মন একেবারেই চাইছিলনা তবুও মনের বিরুদ্ধে ছিগারেটটা ফেলে দিয়ে একটু বিরক্ত বোধ নিয়ে উত্তর দিলাম জি চাচা আমি এই এলাকাতেই থাকি।
চাচা তখন বললো বাবা আমার কাছে একটা ঠিকানা লেখা কাগজ আছে, আমাকে কি এই ঠিকানায় একটু পৌঁছে দিবে। আমি অনেক দূর থেকে অনেক কষ্ট করে এখানে এসেছি ,দেখতেইতো পাচ্ছ বৃদ্ধ মানুষ ঠিক মতো হাঁটতেও পারছিনা না। এবার আমি উনার চেহেরার দিকে একটু ঠিকমতো খেয়াল করলাম। কান্তির চাপ স্পষ্ট। খাওয়া দাওয়াও অনেক্ষন করেনা মনে হচ্ছে। আর দেখেই মনে হচ্ছে গ্রামের মানুষ ও বেশ গরিব। কাগজটা পুরাতন ও কিছুটা ময়লা যুক্ত পাঞ্জাবির পকেট থেকে বের আমার হাতে দিলো। আর তখন এই ঠিকানা লেখা কাগজটি দেখে বুকের ভিতরটা একটু নাড়াচাড়া দিয়ে উঠলো। সেই কাগজের মধ্যে আমার বাবার নাম ও আমার নাম আর শুধু আমার এলাকার নাম লেখা ছিল।
আমি এত কিছু চিন্তা না করে উনাকে হাতে ধরে চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসিয়ে রুটি, কলা সাথে এককাপ চাও কিনে দেয় ও খেতে বলি। আপনি আস্তে আস্তে এগুলো খান তারপর আমি আপনার সব কথা শুনবো। চাচার চা খাওয়া শেষ হলে আমি বলি চাচা এবার আপনি আপনার কথা গুলো বলেন তো যে আপনি উনাদের কেন খুচ্ছেন ? চাচা বললো বাবা তুমি যদি আমাকে তাদের কাছে নিয়ে যেতে পারো তাহলে আমার অনেক উপকার হবে আর আমি ওনাদের কাছেই আমার কথা গুলো বলতে চাই। চাচা আমি এই এলাকার ছেলে আর আমি উনাদের খুব ভালোকরেই চিনি। আমি ইচ্ছা করেই আমার পরিচয় গুপন রাখলাম। আপনার সব কথা আমাকে বলেন। আমি কথা দিলাম উনার কাছে আমি আপনাকে নিয়ে যাবো। চাচা আমার অনুরোধে শেষ মেষ বলতে শুরু করলেন। আমি চাচাকে আমার পরিচয় না দিয়ে উনার ভিতরের জমানো কথা গুলো জানতে আগ্রহ নিয়ে বসলাম।
(চলবে..........)
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_
আপনার লেখা গল্প পড়ি তাই ভিতরে কিছু সত্য হলেও লুকিয়ে থাকে ৷ যা হোক আজকের গল্প টা বেশ গভীর মনে হচ্ছে ৷ চাচা সেই গ্রাম থেকে এসেছে আবার যার কথা তারই বাবার নাম ও তার নাম ৷ জানি না কেন সেই বৃদ্ধ চাচা সেই গ্রাম থেকে শহরে এসেছে ৷ নিশ্চয়ই কোনো ঘটনা লুকিয়ে আছে ৷
পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা ৷
ছেলেটা বিরক্ত হয়ে চাচার সাথে কথা বলল, আসলে চাচার কাছ থেকে কাগজ নিয়ে যেহেতু ছেলেটা দেখল যে তার বাবা মায়ের ঠিকানা লেখা তাতে।তখন সে পরিচয় গোপন রেখে চাচাকে দোকানে চা নাস্তা খাওয়ালো। দেখা যাক চাচার কাছ থেকে কি তথ্য বের করতে পারে।পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
যখন দেখলাম ছেলেটার বাবার নাম, ছেলেটার নাম এবং এলাকার নাম লেখা কাগজ টাই সে বৃদ্ধলোক ছেলের হাতে দিল তখনই বেশ উত্তেজনাময় সময় সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে। কারণ এরকম গল্পগুলো পড়তে গেলে যদি শেষ করতে না পারি তখন মনে হয় যেন কত কিছুই বাকি রয়ে গেল। তবে আপু খুব তাড়াতাড়ি বাকি পর্বটা আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। আর বরাবরই খুব সুন্দর লেখা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেন আপনি। ভালো লাগে আপনার লেখা পড়তে।