ভ্রমণ পোস্টঃ গড়াই নদী ভ্রমণ।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসি
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ভ্রমন পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। গত দুই দিন আগে গিয়েছিলাম গুনাইগাছা গড়াই নদী দেখার জন্য। আমি যেখানে চাকরি করি সেখান এই গুনাইগাছা গ্রাম অনেকটা কাছেই। মূলত উদ্দেশ্য ছিলো আমাদের অফিসিয়াল কাজের জন্য বের হওয়া। তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম গড়াই নদী দেখতে যাওয়ার। আমাদের সহকর্মী ভাইদের কথা শুনে মনে হলো জায়গায়টা মনে হয় অনেক সুন্দর হবে যেহেতু নদীর কথা বলা হয়েছে। গুনাইগাছা স্কুলের পাশেই নদীটা অবস্থিত। সেখানে অনেক কিছুই আছে। বাজার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্কুল সহ আরও অনেক কিছু।
আমারা ৪ জন রওনা হলাম আমাদের ১ম কল গাড়ি নিয়ে।
আমদের ওস্তাদ, একজন ড্রাইভার ও আমারা দুই ফায়ার ফাইটার। গুনাইগাছা গ্রামে যাওয়ার জন্য দুইটা রাস্তা আছে। আমরা সরাসরি হাইওয়ে রাস্তা দিয়ে গিয়েছিম। যেতে ১০-১৫ মিনিটের মত লেগেছিলো।
নির্দিষ্ট সময় পর আমারা সেখানে পৌছালাম। আমাদের ড্রাইভার ভাই একটা ছোট খেলার মাঠের ভেতর গাড়ি রাখলো। আমারা সবাই গাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হাটতে শুরু করলাম। যেহেতু আমাদের মূল উদ্দেশ্য ঘুরে বেড়ানো ছিলো না। তাই আগে আমারা আমাদের কাজ দ্রুত শেষ করলাম। আমারা ভেবেছিলাম নদী হয়তো বাজার থেকে অনেক দূরে হবে। কিন্তু না পরে খেয়াল করলাম বাজার থেকে নদী একদম কাছে।
আমারা আর দেরি না করে সেখানে দ্রুত চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে যা দেখলাম সেটা দেখার জন্য আমি মটেও প্রস্তুত ছিলাম না। সেখানে নদী বলতে কিছুই নাই মনে হচ্ছে একটা খাল হবে৷ আমি ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলাম সেখান থেকে নদীর এক অংশ কচুরিপানা ও ময়লা ময়লা আবর্জনা ভরে গেছে। আর মোদির আরেকটি অংশের পানি অনেকটা পরিষ্কার ছিল।
আমরা যে স্যারের দাঁড়িয়েছিলাম সেই স্থানে পানির পরিমাণ খুবই কম ছিল হাটু পর্যন্ত পানিও সেখানে ছিল না। পানি শুকিয়ে নদীর দুই চর বেশ ভালোভাবেই দেখা যাচ্ছিল।
সেখানে যাওয়ার পরে বেশ কিছু মানুষের সাথে কথাবার্তা হল। তারা বলল বেশ কিছু বছর হল এই নদীর অবস্থা খুবই খারাপ। আগে এমনটা ছিলো না। আগে অনেক পানি ছিলো। আর পানির অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। সেখানে প্রচুর পরিমাণে দেশীয় মাছ পাওয়া যেত। এখনো সেখানে দেশীয় মাছ পাওয়া যায় কিন্তু সেই সময় মত অতটা বেশি পাওয়া যায় না। আর নদীতে পারি না থাকায় মানুষেরা নদীর দুইপাশে ফসল চাষ করা শুরু করে দিয়েছিল।
কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ দুইটি লোকের আগমন ঘটল ব্রীজের উপরে। আমাদের ওস্তাদ তাদের সাথে কথা বলছিল। কথা বলার পর জানতে পারলাম তারা কুষ্টিয়া লালন শাহের ভক্তে। আমাদের ওস্তাদ আবার কুষ্টিয়া লালন শাহের একজন বড় ভক্ত। যার করে নেয় তাদের দেখার পর অত্যাচার তাদের সাথে কথা বলার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে। তারা যখন কথা বলছিল তখন আমি তাদেরকে ছবি তুলেছিলাম। ব্রিজের উপর বসে থাকা লোকটি আমাকে জিজ্ঞাসা করছেন আপনি কি আমাদের ছবি নিলেন। তার কথা শুনে আমি বললাম হ্যাঁ আমি আপনাদের ছবি নিয়েছি। আমার কথা শোনার পর সে বলল ছবি নিবেন তাহলে আগে থেকে বলবেন না। সে সুন্দর করে তার বাপে চুলগুলো সাইজ করে পেছনের দিকে দিয়ে বলল ভাইজান এবার একটা ছবি নেন। কথা শুনে আমি পুরা অবাক। পরে বুঝলাম জাতে মাতাল তালে ঠিক কথাটার মানে কি?।
ঘরে যদি দেখার পর আমরা যখন সেখানকার বাজারের দিকে রওনা হলাম। বাজারে আসার পর হঠাৎ চোখে পড়লো সেখানে বসে দেশীয় টেংরা মাছ বিক্রি করছে। খুব স্বল্পদামেই তারা মাছগুলো বিক্রি করছে কারণ সেখানে কমবেশি ভালোই এই মাছ পাওয়া যায়। আমাদেরকে দেখে মাছ ব্যবসায় বললো স্যার আপনারা কি মাছ নিবেন।আপনারা যদি মাছ নেন তাহলে খুব অল্প দামে আপনাদের মাঝে দিতে পারব। আমাদের ওস্তাদ তার কথা শুনে বলো না ভাই আমাদের মাছ লাগবে না। সেখান থেকে ফিরে এসে আমরা আমাদের গাড়ির কাছে চলে আসলাম। সবাই গাড়িতে ওঠে রওনা হলাম আমাদের অফিসের উদ্দেশ্যে। এভাবে শেষ হলো আমাদের গড়াই নদী ভ্রমণ।
পোস্টে ধরন | ভ্রমণ |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | https://w3w.co/newness.fillings.carpeted |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
লোক দুইটার চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা কুষ্টিয়ার লালনের ভক্ত হা হা হা।আর বাকি কিছু বললাম না 😁
হ্যা ভাই ঠিক বলেছেন।আপনার আইডিয়া একদম সঠিক।
সারা বাংলাদেশে এমন অনেক হাজারো ভক্ত রয়েছে লালন শাহের।
গড়াই নদীর ভ্রমণ করে দারুণ একটি সময় উপভোগ করেছেন আপনারা সবাই মিলে সে সাথে ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো লাগলো।
বিশেষ করে সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি একদম নজর কেড়েছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য।
আজকে আমি জানতে পারলাম আপনি একজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য। আপনারা চারজন ফায়ার সার্ভিসের সদস্য গড়াই নদীতে অনেক সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনি একটি মাছের দোকানে সেখানে বেশ কম দামে ভালো ভালো মাছ পাওয়া যাচ্ছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন। গড়াই নদী ভ্রমণের অনুভূতি আমাদের মাঝে বেশ সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আপনার নদী ভ্রমণ অনুভূতি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সবাই মিলে বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।