লাইফ স্টাইল: দীর্ঘ দিন পর অফিসের বাইরে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর অনুভূতি।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
রোজ বুধবার ।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। তবে কিছু ভালো থাকার ভেতর দিয়ে ও একটু না অনেক ক্ষানিকটা অস্তির হাওয়া বয়ে যাচ্ছে মনের ভেতর দিয়ে। আমাদের দেশের পরিস্থিতির কথা নতুন করে আর কিছুই বলার নেই কারণ আমরা সবাই অবগত আছি। দেশ এভাবে চলবে সেটা আমাদের কাম্য ছিল না। স্বাধীন দেশের মানুষ কখনো এইভাবে বাঁচতে পারবে না। পৃথিবীর বুকে যতগুলো প্রাণী রয়েছে তার ভিতরে মানুষই পরাধিন থাকতে চাই না। আমরা সবাই একে অপরের জন্য দোয়া করি যেন আমরা সবাই ভালো থাকতে পারে এবং আমাদের দেশ যেনো সত্যিকারের সোনার বাংলা হয়ে গড়ে উঠে সেই কামনাই করি।
তো আজকে আমি হাজির হলাম নতুন একটু ব্লগ নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। সারাদিনের কর্মব্যস্ততায় এক স্থানে অবস্থান করার কারণে মনের কিছুটা পরিবর্তন ঘটে। যার কারণে এক স্থানে আর থাকতে মন চায় না। যদিও আমাদের এখন নিজেদের গণ্ডির বাইরে পার হওয়া একরকম সপ্নের মত তারপরও নিজের মনকে সতেজ এবং প্রফুল্ল করে রাখতে একটু বিনোদনের প্রয়োজন।
যেহেতু যতক্ষণ পর্যন্ত অফিসে অবস্থান করবো তত ক্ষন পর্যন্ত বাহিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেয়। আমাদের ২৪ ঘন্টা ডিউটি করা লাগে। এর অর্থ এই যে আমাদের কাজ না থাকলেও সর্বদা প্রস্তুত থাকা লাগে। অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা যে সবসময় হয় বিষয়টা এমন নয় তবে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এর জন্যই আমাদেরকে সময় প্রস্তুত থাকতে হয়। যার কারণে শুয়ে শুয়ে বসে থাকলেও বাইরে যাওয়ার কোনো রকম সুযোগ থাকে না।
যেহেতু অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের থেকে আমাদের ডিপার্টমেন্টে ছুটির পরিমাণ খুবই কম। যার কারণে আমাদেরকে এর ভেতর দিয়েই কিছুটা সময় বের করতে হয় নিজের ও নিজের পরিবারের জন্য। দীর্ঘদিন অফিসে আটকা থাকার পর মনটা আর এক জায়গায় স্থির হচ্ছিল না যার কারনে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কাছে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার। তাই একদিন বিকেলে এক বড় ভাই সাথে নিয়ে অফিসের পাশেই একটি জায়গায় গেলাম বেড়াতে। যেহেতু এই দিনে আমার ডিউটি ও টার্ন আউট ছিলো না। যত চিঠি ও টার্ন আউট একদিন জন্য বন্ধ থাকে এর জন্য বাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ হয় না। বড় ভাইকে আর আমার ছেলেকে নিয়ে বের হলাম একটা বিল দেখার জন্য। জায়গায়টা আমাদের অফিস থেকে মাত্র ২-৩ কিলো দূরে। বাইক নিয়েই বের হলাম কাঙ্খিত জায়গায় যাওয়ার জন্য। ৪-৫ মিনিটের ভিতরে আমরা সেখানে পৌঁছে গেলাম তবে সেখানে গিয়ে এমন একটা অবাক হলাম কারণ যেহেতু আমরা বিল দেখতে বের হয়েছিলাম কিন্তু সেখানে কোন বিল ছিল না পুরোটাই ফাঁকা মাঠ। তবে জায়গাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল। সেখানে প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা বাতাস বয়স হয়েছিল। যা দীর্ঘদিন স্যার দেওয়ালে আটকা থাকার পর আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো। দীর্ঘ ২০ দিন পর বাইরে বের হতে পেরে আমার ছেলে অনেক খুশি হয়েছিল। কারন সে বাসাতে একা একা মায়ের সাথে থাকে।
যাই হোক সেখানে যাওয়ার পর আমরা কিছু ফটোগ্রাফি করি। চাটমোরে আসা আমার নয় মাস হয়ে গেছে কিন্তু আমি এ জায়গা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। জায়গাটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল কারণ অনেকদিনের জমে থাকা ক্লান্তির ভিতরে একটু ক্ষানি প্রশান্তিময় শান্তির বাতাস মনকে সতেজ করে তোলে। আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় সেখানে কাটালাম। সেখানে যাওয়ার ২৫-৩০ মিনিট পর মাগরিবের আযান পড়ে গেলো। যার কারণ আমরা সেখানে বেশিক্ষণ অবস্থান করতে পারলাম না যেহেতু আমার ছেলে ছোট তাই অল্প সময় কাটিয়েই সেখান থেকে চলে আসলাম। তবে যতটুকু সময় সেখানে ছিলাম মনটা অনেক প্রফুল্ল হয়েছিল প্রতিটা নিঃশ্বাস যেন স্বস্তির নিশ্বাস পড়েছিলো।
সমাপ্ত
পোস্টের বিষয় | লাইফ স্টাইল |
---|---|
পোস্টকারী | মোঃ আশিকুর রহমান |
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
লোকেশন | পাবনা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
প্রথমে এটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো যে আপনি অনেক দিন ধরে বাইরে বের হতে পারেননি অফিসের জন্য।দীর্ঘ ২০ দিন পর আপনার বাবু এবং অফিসের কলিগের সাথে বের কিছু সময়ের জন্য। তবে আপনারা তো দেখছি খুব সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছো।আপনার বাবু ও অনেক দিন পর বাসা থেকে বের হতে পেরে অনেক খুশি হয়েছে দেখে বোঝাই যাচ্ছে। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক দারুন হয়েছে। আর প্রাকৃতিক পরিবেশটা দেখতেও খুব সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ দারুণ একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ছেলে খুবই খুশি সে অনেক দিন পর বাইরের পরিবেশ দেখতে পেরে। জায়গাটা বেশ চমৎকার ছিলো সাথে ঠান্ডা বাতাস বয়ে চলছিলো৷ সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছি৷ ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট বাচ্চারা বাইরের পরিবেশে যেতে বেশি পছন্দ করে। আপনার ধারণ করা ফটোগ্রাফি গুলা দেখে বোঝাই যাচ্ছে যে আপনারা অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন।
বাচ্চাদের মন সব সময় ঘুরাঘুরি করতেই পছন্দ করে। আর জায়গায়টা বেশ সুন্দর ছিলো। ধন্যবাদ
জ্বি আপনি ঠিকই বলেছেন ধন্যবাদ।
আপনাদের ডিউটি না থাকলেও সব সময় প্রস্তুত থাকতে হয়। আসলে এই ধরনের চাকরি গুলোতে ছুটি কম থাকায় পরিবারকে খুব বেশি সময় দেওয়া যায় না। কিছুটা সময় পেয়ে ছেলেকে নিয়ে খুব সুন্দর একটা জায়গায় গিয়েছেন। আপনারা বিল দেখতে এসে দেখলেন পুরোটা ফাঁকা মাঠ। তারপরেও এরকম খোলামেলা জায়গায় সময় কাটাতে ভালোই লাগে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে বিল শুকিয়ে মাঠে পরিনত হয়ে গেছে। অনেক দিন ধরে কোন বৃষ্টি না হওয়ার কারনে এই অবস্থা। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
মাঝেমধ্যে এরকম পরিবেশে গিয়ে একটু সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। তাহলে বাহিরের পরিবেশটা একটু উপভোগ করা যাবে। যার ফলে মন মাইন্ড দুটোই অনেক ফ্রেশ থাকবে। আপনার ছেলেকে দেখতে অনেক মিষ্টি লাগতেছে। অনেক সুন্দর একটা হাসি দিয়েছে সেলফি তোলার সময়। অফিসের কলিগ আর ছেলেকে নিয়ে বাহিরে সময় কাটানোর জন্য বের হয়েছিলেন এতদিন পরে দেখে ভালো লাগলো। জায়গাটা দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। নিশ্চয়ই অনেক ভালো লেগেছিল আপনাদের।
আপনার ছেলেকে দেখতে অনেক মিষ্টি লাগতেছে।
শুকরিয়া আপু, মাঝে মধ্যেই আমাদের উচিৎ বাড়ির বাহিরে ঘুরতে যাওয়া। এতে করে শরীর মন সব কিছুই ভালো থাকে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টে যথাযথ মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের ২৪ ঘন্টা ডিউটি থাকে তার মানে তো বাইরে বেরোনোর সুযোগ নেই বললেই চলে। তারপরে আবার যদি এই ব্যস্ততার মাঝেও সামান্য কিছুটা ছুটি পেয়ে যান, তাহলে তো সেটা বিরাট ব্যাপার ভাই। আসলে আমিও বিল, নদী এগুলো ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। আপনারা যেখানে ঘুরতে গিয়েছেন সেখানকার পরিবেশ তো আমার কাছে খুবই সুন্দর লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আপনার এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাই অনেক বড় ব্যাপার। একটু সুযোগ পেলে আমাদের কাছে অনেক কিছু মনে হয়। আপনি বিল,নদী এই গুলাতে ঘুরতে পছন্দ করেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই