ক্রিয়েটিভ রাইটিং: অন্ধকারের রহস্যময় শহর পর্ব-০২।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
রোজ বৃহস্পতিবার ।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ক্রিয়েটিভ রাইটিং নিয়ে হাজির হয়েছি। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইন্টারনেট সমস্যা জনিত কারনে কাজ করতে পারিনি। আজকে আমি যেই বিষয় নিয়ে কথা বলবো এর আগে আমি এই বিষয়ের ১ম পর্ব নিয়ে গত সপ্তাহে কথা বলেছিলাম। আজ তার বাকি অংশ নিয়ে কথা বলবো।
তানিমের হাত কিছুটা কাঁপছিল কিন্তু তার কৌতূহল তাকে থামতে দিল না। নোটের নির্দেশনা অনুযায়ী সে কক্ষের একপাশে থাকা একটি দরজা খুলল। দরজার ওপাশে একটি সরু সিঁড়ি যা নিচের তলায় নিয়ে যাচ্ছিল।
নিচে নামার পর সে একটি বড় হল রুমে পৌঁছে গেলো। হল রুমটি অন্ধকার আর অন্ধকার শুধু একটি দূরের কোণে হালকা আলোর ঝলকানি দেখা যাচ্ছিলো। সে ধীরে ধীরে আলোর দিকে একপা একপা করে এগোতে থাকে। ঘরের এক কোণে পৌঁছে তানিম দেখতে পায় একটি পোর্ট্রেট যেখানে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ছবি ঝুলছে। ছবির নিচে লেখা আছে "তুমি সত্যের পথে রয়েছো।"
এরপর সে আচমকা পেছনে একটা শব্দ শুনে পিছনের ঘুরে দাঁড়ায়। পিছনে তাকিয়েই তার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেলো। সে দেখতে পেলো এক বৃদ্ধা মহিলা তার হাতে একটি সরু লাঠি। বৃদ্ধা তার দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন এবং বললেন "তোমার জন্য অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম।"
তানিম বিস্মিত হয়ে প্রশ্ন করল ""আপনি কে?" আর আমার জন্য কেনো এত দিন অপেক্ষা করছিলেন?
বৃদ্ধা তার নাম বললেন না তবে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, তানিমের কাছে যে মানচিত্রটি আছে সেটি এক প্রাচীন গুপ্তধনের নির্দেশিকা। গুপ্তধনটি বহু বছর আগে হারিয়ে যায় এবং কেবল একজন বুদ্ধিমান এবং সাহসী ব্যক্তি এটি খুঁজে পেতে সক্ষম হবে। তানিমের দাদা, যিনি একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ছিলেন। সেই গুপ্তধনের রহস্য খুঁজতে গিয়ে হারিয়ে যান। বৃদ্ধা জানালেন তানিম এই রহস্যের সমাধান করতে পারবেন।
বৃদ্ধা তাকে আরেকটি মানচিত্র দিলেন যা তাকে আরও গভীরে নিয়ে যাবে। বৃদ্ধার কাছে থেকে নির্দেশিকা নিয়ে তানিম সেই অনুযায়ী চলতে লাগলো। পথ অনেক দূর পর্যন্ত চলে গাছে। বেশ কয়েক দিন চলার পর একদিন এক পুরনো গুহার মধ্যে পৌঁছে গেল। গুহার ভিতরে প্রাচীন চিহ্ন এবং প্রতীকগুলি আঁকা ছিল। তানিম বুঝতে পারলো যে এটি সেই গুপ্তধনের স্থান।
গুহার গভীরে একটি বড় পাথরের বাক্স ছিল। সে বাক্সটি খোলার জন্য অনেক চেষ্টা করল কিন্তু সে ব্যর্থ হলো। তানিম এদিকে অদিকে তাকাতে থাকলো। অনেক ক্ষন পর সে হঠাৎ করে একটি গোপন চাবি খুঁজে পেল। যা তার দাদার পুরনো নোটবুকে লুকানো ছিল। চাবি দিয়ে বাক্সটি খোলার পর, সে ভিতরে একটি পুরনো গ্রন্থ, কিছু স্বর্ণমুদ্রা, এবং দামী রত্ন খুঁজে পেল। তবে তার সবথেকে বড় আবিষ্কার ছিল একটি চিঠি, যা তার দাদার লেখা ছিল।
চিঠিতে লেখা ছিল, "প্রিয় তানিম, আমি জানতাম তুমি এই রহস্যের সমাধান করবে। এই গুপ্তধন আমাদের পূর্বপুরুষদের উত্তরাধিকার যা আমাদের পরিবারের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এখন এটি তোমার হাতেতুমি এর সঠিক ব্যবহার করবে ভালো থেকো।
তানিমের চোখে জল নিয়ে চিঠিটি পড়ল। তার দাদার আশা পূর্ণ করতে পেরে সে গর্বিত। সে গুপ্তধনের কিছু অংশ দান করল একটি ইতিহাস গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে, আর কিছু অংশ রেখে দিল তার পরিবারের জন্য।
এই ঘটনার পর তানিমের জীবন সম্পূর্ণভাবে বদলে গেল। সে তার দাদার মতো একজন বিখ্যাত ইতিহাসবিদ হয়ে উঠল এবং বহু রহস্যের সমাধান করল। কিন্তু তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল সেই পুরনো দোকানে শুরু হওয়া এই রহস্যময় যাত্রা। তবে পরে আর সেই দোকান সেখানে দেখা যায় নাই। আর কেউ কোন দিন দেখেছিলো সেটাও কেউ বলতে পারে না।
সমাপ্ত
পোস্টের বিষয় | ক্রিয়েটিভ রাইটিং |
---|---|
পোস্টকারী | মোহাঃ আশিকুর রহমান |
ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
লোকেশন | পাবনা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.