ডাই পোস্ট: পরিত্যক্ত ডিমের খোলা দিয়ে জোকারের মুখ তৈরি।
🌿আমি মো: আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি ডিমের পরিত্যক্ত খোলা আর ক্লে দিয়ে জোকারের মুখ তৈরি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। হঠাৎ করে ডিমের খোলা দেখে মাথায় আসলো কিছু একটা তৈরি করার। ভাবলাম এই জিনিস দিয়ে যে কোন কিছু একটা তৈরি করবো। কিন্তু কি তৈরি করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। অনেক চিন্তা ভাবনা করে কোন কিছুই মাথায় নিয়ে আসতে পারি নাই। তাই আর কাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারলাম না। অফিসে যাওয়ার পর কয়েক জন একসাথে গল্প করছিলাম এমন সময় একজন বলে উঠলো জোকার কথাটা আর সেই কথা শুনেই এই জোকারের মুখ তৈরির কথা মাথায় আসলো। তার পর শুরু করে দিলাম কাজ। শেষ মেষ যা তৈরি করলাম তা এখন আপনাদের সামনে। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
| প্রয়োজনীয় উপকরণ |
|---|
| ডিমের খোলা |
| ক্লে |
| সাদা কালো রঙ |
| রঙিন কাগজ |
| আঠা |
| কাঁচি |
 |  |
|---|
 |  |
|---|
 |  |
|---|
প্রথমে আমি গোলাপি ও সবুজ দুই কালারের দুইটি কাগজ ৮"*১৪" মাপে কেটে নিয়েছি। এবার কেটে নেওয়া কাগজ দুইটিকে কোন আইস্ক্রিমের মত করে শেপ দিয়ে নিয়েছি।
 |  |
|---|
এবার আমি ডিমের যে দিকটা ভাঙ্গা আছে সেই দিকে কাগজের তৈরি কোন দুইটি আঠা দিয়ে লাগিয়ে নিয়েছি। ছবিতে আপনারা যেমনটা দেখতে পারছেন।
এবার আমি সাদা রঙ দিয়ে ডিম গুলা রঙ করে নিয়েছি।
 |  |
|---|
সাদা রঙ করার পর এবার আমি কালো রঙ দিয়ে ডিমের উপর চোখ ও মুখ এঁকে নিয়েছি।
কমলা ও লাল রঙের ক্লে দিতে ছোট করে দুইটা বল তৈরি করে নিয়েছি।
 |  |
|---|
এবার আমি আঠা দিয়ে গোল করে নেওয়া ক্লে দুইটি নাকের বরাবর লাগিয়ে নিয়েছি। মুখের দুই সাইডে গোল করে লাল রঙ করে নিয়েছি। আর এভাবেই আমি ডিমের খোলা দিয়ে জোকারের মুখ তৈরি করেছি।
| পোস্টের ধরন | ডাই পোস্ট |
|---|---|
| ডিভাইস | গ্যালাক্সি এ ১৫ |
| লোকেশন | পাবনা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চমৎকার একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার সুন্দর এই দক্ষতা দেখে ভালো লাগলো আমার। ডিমের খোসা বেশ কাজে লাগিয়েছেন দেখছি। তাও আবার জোকারের ছবি। অনেক সুন্দর হয়েছে কিন্তু।
পরিত্যক্ত ডিমের খোলা দিয়ে জোকারের মুখ তৈরি করার খুবই সুন্দর পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। পরিচয় উত্তর ডিমের খোলা দিয়ে যে এত সুন্দর জিনিস তৈরি করা যায় সেটা আমার জানাই ছিল না। আপনার শেয়ার করা পোস্টের মাধ্যমেই আমি এটা জানতে পারলাম এবং দেখতে পারলাম।
ধন্যবাদ ভাই প্রশংসা মূলক অভিমত শেয়ার করার জন্য। এই ধরনের মন্তব্য গুলা নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। লেখার ভেতর একটু ভুল আছে দয়া করে ঠিক করে নিবেন।
এক কথায় বলতে গেলে অসাধারণ হয়েছে। দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার এত সুন্দর ডিমের জোকার তৈরি করা দেখে। দারুন একটা আইডিয়া পেয়ে গেলাম। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত করার জন্য ভালো থাকবেন।
বাহ দারুন আইডি আপনার দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। এত সুন্দর ক্রিয়েটিভ সত্যি প্রশংসনীয়। দিন দিন যতই দেখছি আমার বাংলা ব্লগের ইউজারদেরকে কাজ গুলো ততই মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আপনি ডিমের পরিত্যাক্ত খোসা দিয়ে খুব সুন্দর করে রঙিন কাগজ ব্যবহার করে জোকারের মুখতৈরি করলেন। ভিন্ন ধরনের সুন্দর দেখাচ্ছে অনেক ভালো লাগলো দেখে।
শুকরিয়া আপু আপনার এমন প্রশংসা মূলক মতামত পড়ে মনটা ভরে গেলো। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
পরিত্যক্ত ডিমের খোসা ব্যবহার করে চমৎকার দুটি জোকারের মুখ তৈরি করেছেন। যা দেখে তো আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। কি ইউনিক কাজটাই না আপনি করে ফেললেন।যাইহোক এত সুন্দর একটি ডাই প্রজেক্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আপনার প্রশংসা মূলক মতামত পড়ে আমার নিজের কাছে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার এতো সুন্দর অনেক একটা আইডিয়া দেখে আমার কাছে তো অনেক ভালো লেগেছে। জোকারের মুখটা আপনি অনেক বেশি সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন। জোকারটাকে দেখতে যেমন ভয়ংকর লাগতেছে তেমনি আবার অনেক বেশি কিউট লাগতেছে। এগুলোকে এরকম ভাবে ঘরের মধ্যে সাজিয়ে রাখলে কিন্তু দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগবে। ফেলে দেওয়া এরকম জিনিস গুলো দিয়ে কিন্তু অনেক কিছু তৈরি করা যায়, যেগুলো তৈরি করা হলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে।