অফিসের কয়েক জন মিলে মজা করে কাঁঠাল খেলাম।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রতিনিয়ত নতুন কিছু কি আপনাদের মাঝে হাজির হওয়ার চেষ্টা করি। তেমনি আজকেও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
কপালের কি মিল বুঝি না আমি ডিউটি থাকলেই একটা না একটা কিছু হবেই। আসলে কপালে থাকলে যা হয় আর কি। সেই ভোর ৬ টার সময় এসেছি ডিউটি করতে। আমার ডিউটি ছিলো সকাল ১০ টা পর্যন্ত। করতে আসার পর থেকে আর বাড়ি যাওয়া হয়নি যার কারণে দশটা পর্যন্ত আমাকে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। সবাই যখন সকালের নাস্তা শেষ করলো তখন আমার এক বড় ভাই এসে বললো যে সুন্দর দিন যাচ্ছে এই দিনে কাঁঠাল না খেলে কি ভালো লাগে নাকি। সে আমাকে বললো চলো ভাই দেখে আসি গাছে কোন কাঁঠাল পেকেছে কি না। আমি ও আমার বড় ভাই মিলে গেলাম বাগালের দিকে। হাতে একটা লম্বা লাঠি নিলাম কাঁঠাল বাড়িয়ে পরিক্ষা করার জন্য। আমারা দুই জনে মিলে ঘুরে ঘুরে সব গুলা গাছ খুঁজে দেখতে লাগলাম। ৩-৫ টা গাছ দেখার পর একটা গাছের কাঁঠাল পাকা পেলাম। কাঁঠালটা হাতের কাছাকাছি ছিলো যার কারনে গাছে উঠার প্রযোজন পড়েনি। নিচ থেকে হাত দিয়ে কাঁঠাল পেড়ে ফেললাম।
জায়গা মতো নিয়ে এসে হাত দিয়ে কাঁঠাল ভেঙে ফেল্লাম। সবাইকে ডাকা হলো কাঁঠাল খাওয়ার জন্য। কিন্তু সবাই কাঁঠাল খেতে ভয় পেলো সবাই বল এই গরমে কাঁঠাল খাওয়া যাবে না এই গরমে কাঁঠাল খেলে বিপদে পড়তে হবে। তবে ওস্তাদ, ফরিদুল ভাই আর আমি মিলে কাঁঠাল খাওয়া শুরু করলাম। কাঁঠালটা খেতে খুবই মিষ্টি ও সুস্বাদু আপনারা হয়তো কাঁঠাল দেখেই বুঝতে পারছেন।
খুব মজা করে খেয়েছি তবে সকালের নাস্তা না করতে পারায় খুব একটা বেশি খেতে পারিনি। তাও ৪৫-৫০ টা সার খেয়েছি তবে পেটে একটু ভাত পড়লে হয়তো আরও বেশি খাইতে পারতাম। যাই হোক যা খেয়েছি এতেই অনেক।
আমার আমারদের ওস্তাদ ৫-৬ টা খেয়ে আর খেতে পারলো না। আমার খাওয়া দেখে সবাই অবাক আমি যে এত কাঁঠাল খেতে পারি সেটা কেউই জানতো না। এদিকে ফরিদুল ভাই কোন কথা না বলেই কাঁঠাল খেতেই চলেছে। কাঁঠালটা খুবই স্বাদ এত স্বাদ যে ভোলার মতো না।সবাই তৃপ্তি সহকারে খেয়েছি। যাই হক কম বেশি সবাই মিলে কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা।
পোস্টের ধরন | লাইফ স্টাইল |
---|---|
পোস্টকারী | মোঃ আশিকুর রহমান। |
ডিভাইস | রেডমি নোট ০৮ |
লোকেশন | পাবানা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবাই মিলে একসাথে পাকা কাঁঠাল খাওয়ার মজাই আলাদা ভাইয়া। তবে এটা শুনে আমি সত্যি অবাক হয়ে গেলাম যে আপনি ৪৫ থেকে ৫০ টা সার খেয়ে ফেলেছেন। আমি আপনার মত কাঁঠাল খেতে ভীষণ পছন্দ করি কিন্তু খুব বেশি হলে পনেরোটা সার খেতে পারি। যদি মিষ্টি এবং সুস্বাদু হয় খেতে তাহলে। আপনি তো দেখছি অনেক কাঁঠাল প্রেমিক। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে ধন্যবাদ।
আমি যে কোন ফল খেতে অনেক পছন্দ করি তবে আম,কাঁঠাল, কলা, লিচু এই ফল গুলা বেশি পছন্দ করি। আপনিও কাঁঠাল খেতে অনেক পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু
সকাল ছয়টা থেকে যেহেতু ডিউটি হয় তাহলে তো বেশ ভালোই পরিশ্রম হয় ভাইয়া। কাঁঠাল খাওয়ার মুহূর্ত গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি ভাইয়া ভালো লাগার মুহূর্তগুলো সবার মাঝে শেয়ার করতেও ভালো লাগে।
গভির রাতেও ডিউটি পড়ে আপু তবে কষ্ট হয় না। শুকরিয়া আপু সুন্দর মতামত শেয়ার করে পাশে থাকার জন্য।
সকল ফলের মধ্যে কাঁঠাল আমার ভীষণ প্রিয়। এর স্বাদ যে একবার নেয় সত্যিই সে কখনো ভুলতে পারে না। আর আস্ত কাঁঠাল খাবার মজাই আলাদা। আপনার ছবিগুলো দেখেই বুঝতে পারছি কাঁঠালটি আপনাদের সকলকে কিছুটা সময় বেশ আনন্দ দিয়েছে। সকলে মিলে এমন ভাবেই আনন্দ করে থাকার নাম জীবন। পোস্টটি খুব ভালো লাগলো। আর কাঁঠালের গন্ধ ভেসে এলো এই সুদূর প্রান্তরেও। শুভেচ্ছা।
আপনার লেখা গুলা পড়তে বেশ ভালো লাগে ভাই। একবার পড়ার পর আরেক বার পড়তে ইচ্ছা হয়। আপনি ঠিক বলেছেন ভাই আনন্দ করে থাকা নামই জীবন। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই
আমিও তেমন কাঁঠাল খেতে পারি না। অনেক মানুষ রয়েছে যারা প্রচুর কাঠাল খেতে পারে। একটু শক্ত কাঁঠাল হলে সর্বউচ্চ পাঁচটা কোয়া খেতে পারি। আপনি তো ভালোই কাঁঠাল খেতে পারেন। ধন্যবাদ।
আমার ২ বছরের ছেলে আপনার থেকে বেশি কাঁঠাল খেতে পারে ভাই। আসলে সবাই সব কিছু খেতে পারে না।
ভাইয়া আপনি সকাল ছয়টা বাজে ডিউটি হলে তো আপনি কড়া ডিউটি করেন। আর কাঁঠাল খেতে কিন্তু আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনারা দেখতেছি গাছ থেকে কাঁঠাল নিয়ে খুব মজা করে খেয়েছেন। তবে আপনার ওস্তাদ মনে হয় তেমন কাঁঠাল খেতে পারে না এই কারণে পাঁচ ছয়টা খেয়েছেন। খুব মজা করে কাঁঠাল খেলেন এবং আমাদের মাঝে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আপনিও দেখছি কড়া ডিউটি বোঝেন যাক জেনে ভালো লাগলো। জ্বি আপু আমার ওস্তাদের কাঁঠাল তেমন একটা পছন্দ না।