লাইফ স্টাইলঃ স্যার ও বড় ভাইদের সাথে চা খেতে খেতে আড্ডা পর্ব-১।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। তবে প্রচন্ড তাপদাহের কারনে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এত গরম আর সহ্য করা যায় না। প্রকৃতি দিন দিন তার রুপ পরিবর্তন করে ফেলছে। প্রকৃতির যে সৌন্দয্য সেটা দিন দিন বিলিন হয়ে যাচ্ছে। আগেকার দিনে প্রকৃতির সব কিছু সঠিক সময়ে সঠিক ভাবে চলতো। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। বর্তমানে আমি যেখানে চাকরি করছি সে এলাকায় বিখ্যাত একটা চায়ের দোকান আছে যেখানে অনেক ভালো মানের চা বিক্রি করা হয়ে থাকে। এখানে আসার পর থেকে আমি ওই দোকানে নাম অনেক শুনে আসছি কিন্তু সেখানে গিয়ে খাওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়নি। কিন্তু হঠাৎ করে সেই সুযোগ আমার কাছে ভলে আসে। আজকে আমি সেই বিষয়ে আপনাদের মাঝে কথা বলতে চলেছি। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে শুরু করে দিয়ে যাক।
হঠাৎ করেই একদিন যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আমাদের প্রথম কল পানিবাহি গাড়িটি অচল হয়ে পড়ে। চাঁকা জ্যাম হওয়ার কারনে গাড়ির টায়ার অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছিলো আমাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকলে আমাদেরকে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কারণ কখন কোথায় কিভাবে আগুন লেগে যায় বলা যায় না তাই যদি আমাদের প্রথম কল গাড়িটি অকেজো হয়ে পড়ে থাকে তাহলে জনগণের কাছে উত্তম মাধ্যম খাওয়ার প্রবণতা থাকে। তাই খুব দ্রুত আমরা আমাদের কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ করি এবং একজন মেকানিককে আমাদের অফিসে পাঠিয়ে দেয়ার জন্য মেসেজ দেয়া হয়। কন্ট্রোল খুব দ্রুত একজন মেকানিক পাঠিয়ে দেয়। তিনি এসে খুব দ্রুত আমাদের গাড়িটা ঠিক করে দেয়।
সকাল থেকে সারা দিন কাজ করার পর গাড়িটি ঠিক হয়।এরপর আমরা গাড়িটা টেস্ট রাইড দেওয়ার জন্য বের করা হয়। সময়টা ছিলো বিকালের একটু আগে সারাফিন প্রচন্ড রোদ পড়েছে। গরমে শরীল দিয়ে ঘাম টপটপ করে বেয়ে পড়ছে।
হঠাৎ করে আমাদের অফিসের ড্রাইভার উত্তম দাদা আমাদেরকে বলো চলেন আপনাদেরকে এক জায়গার দুধের চা খাওয়ায়। চাটমোহরে এর থেকে আর ভালো চা আর কোথাও পাবেন না। আমাদের স্যার বলো ঠিক আছে চলো যাই দেখে চাটমোহরের বিখ্যাত চা খেতে কেমন লাগে। আমাদের স্যারের ডায়াবেটিস তারপরও তিনি খাওয়ার বিষয়ে কোন কৃপণতা করেনা। তাকে খাওয়ার কথা বললে না করতে পারেন না মাছ, গোশ থেকে শুরু করে মিষ্টি সবকিছুই তিনি খেয়ে থাকেন। এরপর আমরা সে দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে চায়ের দোকানটা খুব একটা বেশি দূরে ছিল না। আমরা সেখানে পৌঁছানোর পর দেখতে পারলাম জায়গাটা খুব সুন্দর পাশের খোলা মাঠ দক্ষিণ দিক থেকে অনেক সুন্দর শীতল বাতাস বয়ে আসছে।পরিবেশটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিলো..........
চলবে...........
পোস্টের ধরন | লাইফস্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.