অফিসের বড় ভাইদের সাথে মুড়ি মাখিয়ে খাওয়ার আনন্দ।
🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে গিয়ে দীর্ঘ সাতটি দিন আমি কাজ থেকে বিরত ছিলাম। আজ থেকে আবার পুরো দমে নতুন করে কাজ শুরু করে দেবো। যে কোন কিছুর স্বাদ আমি চেষ্টা করি পরিপূর্ণ করে নেওয়ার যার কারণে ঈদের ভিতর কোন বাড়িতে ঝামেলা রাখার চেষ্টা করিনি। তবে দীর্ঘ সাতটা দিন কাজ না করতে পারায় নিজের ভিতর কেমন একটা অস্বস্তি অনুভর করছিলাম।
সাতটি দিন আমার বাংলা ব্লগ হতে দূরে থাকার পর আমি একটি জিনিস বুঝতে পারলাম আমার বাংলা ব্লগ আমার কাছে একটি পরিবারের মত আর পরিবার থেকে কখনো দূরে থাকা যায় না। এই দেশটা মনে হয় শুধু আমি অনুভব করিনি এই ব্লগের সকল সদস্যাই হয়তো এই জিনিস অনুভব করবে বলে আমি মনে করি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে পোষ্টের বিষয়বস্তু হলো বড় ভাইদের সাথে মুড়ি মাখিয়ে খাওয়ার যে আনন্দ সেই বিষয়টা আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। কয়দিন ধরে আবহাওয়াটা খুবই নরম যাচ্ছে। মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হচ্ছে আর এমন আবহাওয়াতে মরে মাখিয়ে খেতে অনেক ভালো লাগে।
আমি তখন ডিউটিতে ছিলাম সময়টা ছিল দুপুরের একটু আগে। হঠাৎ করে উত্তম দাদা এসে বলল আজকের যে আবহাওয়া এই আবহাওয়ায় মুড়ি না খেলে মনের ভেতর ভালো লাগছেনা। এই কথা শুনে মোতালেব ভাই বলল আমি টাকা দিচ্ছে তুমি গিয়ে মুড়ি কিনে নিয়ে আসো। উত্তম দাদা বলো আপনি একা টাকা দেবেন কেন আমরা সবাই টাকা তুলে মুড়ি কিনে খাব। যেই ভাবনা সেই কাজ মোতালেব ভাই সবার কাছ থেকে ১০ টাকা করে তুলে নিয়ে আসলো। আমিও ১০ টাকা দিয়ে তাদের মুড়ি পার্টিতে যুক্ত হলাম। উত্তম দাদা তার নিজের গাড়ি নিয়ে রওনা হল বাজারের উদ্দেশ্যে। সে খুব দ্রুত বাজারে গিয়ে মুড়ি এবং চানাচুর কিনে নিয়ে আসলো।
মোড়ে মাখানোর বাদবাকি উপকরণগুলো আমরা মেস থেকে সংগ্রহ করলাম মিয়া ভাই মড়ি তৈরির সবগুলো উপাদান সুন্দর করে কেটে সাইজ করে দিল। আর অন্য দিকে মোতালেব ভাই বড় একটি গামলা নিয়ে তার ভেতরে সব গুলা একসাথে করতে লাগলো।
কাঁচা ঝাল পেয়াজ ও পুদিনা পাতা সুন্দর করে কাটা হয়ে যাওয়ার পর মোত্তালিব ভাই সেগুলা একসাথে সুন্দর করে মাখাতে শুরু করলো। পেঁয়াজ ও পুদিনা পাতার গন্ধে আমার জিভে পানি চলে আসছিল। সে সুন্দর ঘ্রান বের হচ্ছিলো ঘ্রান শুকেই মাথা ঘুরে যাচ্ছিলো। ঝাল পেয়ার সুন্দর করে মাখানো হয়ে গেলে এর ভেতরে চানাচুর ও সরিষার তেল দিয়ে সুন্দর করে মাখিয়ে নেওয়ার পর এক প্যাকেট মুড়ি ঢেলে দেওয়া হলো। এরপর হাত দিয়ে খুব ভালো ভাবে মাখিয়ে নেওয়া হলো।
মুড়ি মাখানো সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার পরে আমরা সবাই মিলে একসাথে মুড়ি খেতে বসলাম। আমরা সবাই বেশ মজা করে মুড়ি খেয়ে ছিলাম মুড়ি মাখন এত সুন্দর হয়েছিল যে চার পাঁচ জন মানুষ এক প্যাকেট মুড়ি খেয়ে শেষ করে ফেলার পরও সবাই বলতে থাকলো মুড়ি খেয়ে আত্মা ভরলো না। উত্তম দাদা বলে উঠলো মুড়ি তো সেই স্বাদ হয়েছে। এই কথা শুনে আমারা সবাই হেসে দিলাম। তবে আমরা যতটুকু মুড়ে খেয়েছি যথেষ্ট পরিমাণ খেয়েছি কারণ আর কিছুক্ষণ পরে দুপুরে খাবার সময় হয়ে আসচ্ছিলো। যদি আমরা পেট ভরে মুড়ি খেতাম তাহলে দুপুরের খাবার ঠিক ভাবে খেতে পারতাম না।
আমরা সবাই ভাই ও মোতালেব ভাইকে অনেক ধন্যবাদ জানালাম কারণ তাদের উদ্যোগের কারণে আজকে সুন্দর একটি মুড়ি পার্টি করতে পারলাম। তারা দুজনে খুব সুন্দর করে মুড়ি মাখিয়ে ছিল যার কারনে আমরা সবাই তৃপ্তি ভরে খেয়েছিলাম।
পোস্টের বিষয় | লাইফ স্টাইল |
---|---|
পোস্টকারী | মোহাঃ আশিকুর রহমান |
ডিভাইস | রেডমি নোট ১১ |
লোকেশন | পাবনা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এটা অবশ্য ঠিক বলেছেন ভাইয়া আবহাওয়ার উপর ভিত্তি করে অনেক কিছুই খেতে ইচ্ছে করে। আর সবাই মিলে দারুন সময় উপভোগ করেছেন বুঝতেই পারছি। আপনার এই পোস্ট দেখে আমার নিজের হোস্টেল লাইফের কথা মনে পড়ে গেল ভাইয়া। দারুন কিছু মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর করে আমার পোস্ট যথাযথ মতামত শেয়ার করার জন্য।
আমরাও মাঝে মধ্যে অফিসের সবাই মিলে মুড়ি মাখিয়ে খায়। এই খাবারটা অল্প হলেও খেতে ভীষন ভালো লাগে।আপনি অফিসের বড় ভাইদের সাথে মুড়ি মাখিয়ে খেয়ে দারুন অনভূতি প্রকাশ করেছেন। সাথে একটু আদা দিলে স্বাস্থের জন্য অনেক ভালো। ধন্যবাদ।
ভাই দারুন একটা কথা বলেছেন তো আদা দিয়ে তো কখনো মুড়ি খাওয়া হয়নি। তবে পরবর্তীতে মুড়ি মাখিয়ে খেলে অবশ্যই আদা দিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান কিছু কথা শেয়ার করার জন্য।