ফটোগ্রাফি পোস্টঃ আমার শখের কবুতরের রেনডম ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago (edited)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু / আদাব।

🌿আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে বলছি। আমার স্টিমিট আইডির নাম @ayaan001

আজ ২৫ জুন রোজ মঙ্গলবার ২০২৪ ইং:।

বাংলায় ১১ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গব্দ।

কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি। তবে গরমের জন্য একটু অস্থিরতা বোধ করছি। বেশ কিছুদিন গরমের হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলাম কিন্তু গরম সেই আগের মতই পড়া শুরু করে দিয়েছে। আমার মনে হয় না এই গরম আর কখনো কমবে। যাইহোক এই প্রচন্ড গরমে আমাদেরকে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে কারণ একটু অসতর্কতা ভাবে চলাচল করলে আমাদেরকে নানা রকম বিপদের সম্মুখীনে পড়তে হতে পারে।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার শখের কবুতরের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করব। আমি কবুতর পালন করতে খুবই পছন্দ করি। কবুতর দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কারন এরা খুব সুন্দর এবং পরিষ্কার প্রানী। যদিও তেমন একটা কবুতর আমার নেই। মত্র ৭ টি কবুতর আছে আমার। সঠিক মত সময় না দিতে পারার কারণে আমি কবুতর ঠিক ভাবে তৈরি করতে পারিনি যার কারণে কবুতরের সংখ্যা আমার খুবই কম। তবে আশা করছি খুব দ্রুত আমি আমার কবুতরের সংখ্যা বাড়ি তুলতে পারবো। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে আমার শখের কবুতরের কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি।

প্রথম ফটোগ্রাফি

1000000783.jpg

ফটোগ্রাফার - আশিক

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

লোকেশন- https://w3w.co/seashores.pavements.imminently

আপনারা এই ফটোগ্রাফিতে যে কবুতর দেখতে পারছেন এটা হলো একটা মাদি কবুতর। আমার কাছে যে কয়টা কবুতর আছে সব গুলা কবুতর হলো রাজশাহী গিরিবাজ। আমার সাতটি কবুতর তার ভেতরে এই কবুতরটি খুবই ভালো। ডিম দিয়ে বাচ্চা তোলার দিক থেকে খুবই পটু। এই কবুতরের প্রতিটি বাচ্চা বেঁচে যায়। খুব সুস্থ সবল বাচ্চা তোলে এবং বাচ্চাদের খুব খাওয়ায় যার কারনে অনেক দ্রুত বাচ্চা বড় হয়ে যায়।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

1000000784.jpg

ফটোগ্রাফার - আশিক

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

লোকেশন- https://w3w.co/seashores.pavements.imminently

আমার দ্বিতীয় ফটোগ্রাফিতে আপনারা যে কবিতাটা দেখতে পারছেন এই কবুতরটা অনেক ভালো আমার কাছে যতগুলা কবুতর আছে সবগুলো কবুতরই অনেক ভালো কারণ তারা যথেষ্ট পরিমাণ ডিম পারে এবং বাচ্চার তুলতে চেষ্টা করে। আমিও তাদেকে ভালো মানের সঠিক খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করি এবং মাঝে মাঝে ওষুধ খাওয়ায় যাতে করে তারা সুস্থ থাকে।

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

1000000782.jpg

ফটোগ্রাফার - আশিক

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

লোকেশন- https://w3w.co/seashores.pavements.imminently

আমার এই কবুতরকে আমি ঘরের লক্ষী বলে ডাকি। কারন এই কবুতরটি খুবই শান্ত স্বভাবের ও পরিশ্রমী। কারন সে একাই ডিম পেড়ে বাচ্চা তুলে বাচাকে খাবার খাওয়ায়। এর যে জোড়া তাকে কোন কাজই করা লাগে না। তার শুধু একটাই কাজ সেটা হল সময় মত ভালোবাসা দেয়া। তাছাড়া বাদ বাকী কাজগুলা আমার এই কবিতার একাই করে থাকে।

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

1000000779.jpg

ফটোগ্রাফার - আশিক

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

লোকেশন- https://w3w.co/seashores.pavements.imminently

আমার চার নাম্বার ফটোগ্রাফি তে আপনারা যে তিনটি কবুতর দেখতে পারছেন এর ভেতরে একটি বাচ্চা ও দুটো মদ্দা কবুতর।ছেলে কবুতর কবুতরকে আমরা মধ্যা কবুতর বলে থাকি। অঞ্চল ভেদে এই নামের পরিবর্তন হতে পারে। আমার এই দুইটা মধ্যে খুবই ভালো তারা দুজনে অনেক পরিশ্রমী।

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

1000000776.jpg

ফটোগ্রাফার - আশিক

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

লোকেশন- https://w3w.co/seashores.pavements.imminently

এখানে আপনারা যে দুইটি কবুতর দেখতে পারছেন এই দুটি কবুতর হল এক সাথের কবুতর অর্থাৎ জোড়া কবুতর। এদের বয়স কম তাই এখন পর্যন্ত এরা ডিম দেয়নি তবে আশা করছি খুব দ্রুত ডিম দেবে। আমি আগেই বলেছি আমার কাছে যতগুলা কবুতর রয়েছে সবগুলো কবুতর খুবই ভালো কারণ এরা সঠিক সময় মত ডিম এবং বাচ্চা দিতে সক্ষম। এবং এদের স্বাভাব খুবই শান্তশিষ্ট এবং নম্বর ভদ্র।

ষষ্ঠ ফটোগ্রাফি

1000001034.jpg

ফটোগ্রাফার - আশিক

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

লোকেশন- https://w3w.co/seashores.pavements.imminently

গ্রামের বাসা থেকে কবুতর নিয়ে আসার পর থেকে এইটাই আমার শখের কবুতরের প্রথম বাচ্চা। আমার কবুতর বাচ্চা তুলতে সক্ষম হয়েছে দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগছে। বাচ্চা গুলা খুবই ভালো হয়েছে দুইটা বাচ্চাই অনেক সুস্থ সবল হয়েছে এবং দেখতেও খুবই সুন্দর লাগছে। আশা করি বাচ্চা গুলা খুব দ্রুত বড় হয়ে যাবে।

সপ্তম ফটোগ্রাফি

1000000775.jpg

ফটোগ্রাফার - আশিক

ডিভাইস - রেডমি নোট ১১

লোকেশন- https://w3w.co/seashores.pavements.imminently

এইটা হলো আমার কবুতর রাখার ঘর। যেহেতু আমি বাসা নিয়ে থাকি তাই বাসাই যথেষ্ট জায়গা না থাকার কারনে ছাদেই ঘর দিয়ে হয়েছে। যেহেতু আমার কবুতরের সংখ্যা অনেক কম তাই ছোট ঘর বানিয়ছি। আমার কবুতর জোড়া বাড়ানো কোন ইচ্ছা নাই তাই ঘর ছোট করেছি।

পোস্টের ধরনফটোগ্রাফি পোস্ট
ফটোগ্রাফারমোঃ আশিকুর রহমান
ডিভাইসগ্যালাক্সি এ ১৫
লোকেশনপাবনা


আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়

আমি মোঃ আশিকুর রহমান। আমি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার জুগির গোফা গ্রামে বাস করি। সবুজ শ্যামলে ঘেরা আমাদের গ্রামটি দেখতে খুবই সুন্দর। আমি একজন সরকারি চাকরিজীবি। আমি চাটমোহর ফায়ার ষ্টেশনে কর্মরত আছি। আমি বিবাহিত। আমার একটি ছেলে আছে। আমি আমার পরিবারে মা, বাবা, ভাই, স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করি।


সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার করা পোস্টটি দেখার জন্য। সবার জন্য দোয়া রইলো সবাই ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, এডমিনদের। যারা আমাকে শুরু থেকে সাপোর্ট করছে। আবারও ধন্যবাদ যানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগের সকল কর্মরত সদস্যদের। লেখার ভেতর ভুল ত্রুটি হতে পরে। সেক্ষেত্রে আপনাদের ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি । দোয়া করি সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।


১০%প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য।


Logo.png

Banner_New.png

20230619_1852241.gif

Sort:  
 4 months ago 

কবুতর পোষার সখ আমারও।ছোটবেলা থেকে কবুর দেখে আসছি বাড়িতে তাই কবুতরের প্রতি দূর্বলতা অন্যরকম।আপনার সবগুলো কবুতর এবং কবুতরের বর্ণনা ভীষণ ভালো লাগলো আমার।ধাপে ধাপে সব গুলো কবুতরের ফটোগ্রাফি ও বর্ণনা আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 4 months ago 

কবুতর পোষার সখ আমারও।

জেনে অনেক খুশি হলাম আপু অসংখ্য ধন্যবাদ যথাযথ মতামত শেয়ার করার জন্য।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 4 months ago 

আসলে কবিতার পোষা সকলেরই একটি শখ। সকলে শখের বশেই কবিতর লালন পালন করে থাকে। আপনি আজকে আমাদের মাঝে আপনার শখের কবিতরের বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি কবুতরের ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। আপনি বেশ দারুন ভাবে প্রতিটি ফটোগ্ৰাফি ধারণ করেছেন।

 4 months ago 

আপনার প্রশংসা মুখরিত মতামত পড়ে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগলো ভাই। আমার ফটোগ্রাফি আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে খুবই খুশি হলাম।

 4 months ago 

আমিও অনেক আগে কবুতর পালতাম। তবে এখানে আসার পর আর তা হয় না। এই পাখিটা আমার খুবই ভালো লাগে। যেমন শান্তি প্রিয় একটি জিনিস তেমনি শান্তশিষ্ট। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই কবুতর দেখে।

 4 months ago 

জ্বি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন এরা খুবই শান্তিপ্রিয় শান্তশিষ্ট প্রাণী এজন্য কবুতর আমার কাছে অনেক পছন্দ। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর করে আপনার কথা গুলা শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

আসলে কবুতর যারা পালন করে, তারা কবুতরের মায়ায় পড়ে যায়। আর আপনার কবুতরের পালন করার এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আমিও কবুতর পালন করি আসলে কবুতর পালন করতেও ভালো লাগে।

 4 months ago 

কবুতরের নেশা ভয়ংকর একটি নেশা। যারা কবুতর পালন করে তাদেরকে না দেখলে হয়তো বুঝতে পারা যাবে না। মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

 4 months ago 

আসলে কবুতর পালন করতে সবাই কম বেশি অনেক পছন্দ করে। তাছাড়া আমার নিজেরও কবুতর পালন করতে ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কবুতর এর ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

আমার মনে হয় সবার কাছেই কবুতর অনেক শখের একটা জিনিস। ভাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ বেশ দারুন ভাবে গুছিয়ে নিজের মতামত শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

শখের কবুতরের রেনডম ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। কবুতর হচ্ছে শখের জিনিস। অনেকেই শখ করে লালন পালন করেন। আপনার তো বেশ কয়েকটি কবুতর রয়েছে। এবং সুন্দর করে ঘর তৈরি করেছেন। নতুন বাচ্চা দুটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে। আপনার অনূভুতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।

 4 months ago 

আপনার সুন্দর অভিমত পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর করে আমার পোস্টে গঠন মূলক মতামত শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন

 4 months ago 

ভাই আপনার শখের কবুতর গুলোর ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমি নিজেও কবুতর অনেক পছন্দ করি। আমাদের বাড়িতেও আগে আমরা কবুতার পালন করতাম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।

 4 months ago 

আপনি নিজেও কবিতার অনেক পছন্দ করেন যেন খুবই ভালো লাগলো। কবুতর এমন একটি প্রাণী যে কেউ এর প্রেমে পড়তে বাধ্য। ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর করে আমার পোস্টে গঠন মূলক কিছু কথা শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

আপনার শখের খুব সুন্দর কবুতরের রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। কবুতর গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। দেখছি আপনার শখের কবুতর ডিম থেকে বাচ্চাও ফুটিয়েছে। বাচ্চা গুলো সুস্থ সবল হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার শখের কবুতরের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 4 months ago 

কবুতরে ডিম ও বাচ্চা দিয়াছে দেখে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। কারণ নিজের শখের কোন জিনিস ভালো হলে নিজের কাছে অনেক শান্তি লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মূল্যবান কিছু কথা শেয়ার করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67340.80
ETH 2419.68
USDT 1.00
SBD 2.35