হিন্দি সিনেমা"লাপাত্তা লেডিস"রিভিউ (১০% পে আউট লাজুক খ্যাকের জন্য) 🙏🦊
হেলো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আমি @ashik333 বাংলাদেশ থেকে বলছি চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে। আমি এতোদিন বাংলা নাটক সিনেমা রিভিউ দিয়ে এসেছি আজ একটা হিন্দি সিনেমা রিভিউ করতে চাচ্ছি সদ্য মুক্তি পাওয়া "লাপাত্তা লেডিস" সিনেমাটা। আমার দেখা সেরা একটা সিনেমা আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে গল্পটা।চলুন শুরু করি তাহলে।
★ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সিনেমা | রিভিউ |
---|---|
নাম | লাপাত্তা লেডিস |
পরিচালক | কিরন রাও |
প্রোডাকশন | আমির খান |
অভিনয়ে | রবি কিশান,স্পর্শ শ্রিভাস্তাভা,প্রতিভা রান্তা,নিতানশি গোয়েল |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
ডুরেশন | ২ ঘন্টা ৩ মিনিট |
রিলিজ | ১ মার্চ ২০২৪ |
★ ট্রেলার লিংক
★ কাহিনী সংক্ষেপ
শুরুতে ২০০১ সালে দেখা যাবে দিপক কুমার বিয়ে করে তার নতুন বউকে নিয়ে বাসায় যাচ্ছে।সে ট্রেনে ওঠে ট্রেনের যে বগিতে সে ওঠে সেই বগিতে আরো দুইটা নতুন দম্পতি ছিল যাদের শাড়ির রঙ একদম সেইম।দিপক তার স্ত্রি ফুল কুমারিকে পাশে নিয়ে ঘুমিয়ে পরে ঘুম থেকে উঠে সে ঠিক পায় তার গন্তব্য স্থানে এসে গেছে আর তার বউকে নিয়ে নেমে যায়।বাড়িতে তার বাবা মা বউকে বরন করতে গেলে দেখা যায় এটা দিপক এর বউ না এটা অন্য কেউ।এই মেয়েটার নাম ছিল জয়া কিন্তু সে তার নাম ভুল বলে তার নাম পুস্পা বলে।
দিপক পরিচিত থানাতে গিয়ে একটা জিডি করে আর ওদিকে ফুল কুমারি অন্য স্টেশনে নেমে বসে থাকে আর হয়তো ভাবে যে দিপক তাকে খুজতে আসবে।ফুল কুমারি দিপকের গ্রামের নাম জানে না আর সে নিজের বাসাতে গেলে সম্মান হানি হতে পারে তাই আর ফিরে না গিয়ে সেখানেই থেকে যায়।
পুস্পা একজন কৃষিবিদ হতে চায় তাই সে একটা বেসরকারি কোর্স এ ভর্তি হয়। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দিয়েছিল তাকে তায় সে দিপকের কাছে মিথ্যা বলেছে তার পরিচয় এদিকে পুলিশ মনোহর সে ভাবে পুশপা হয়তো চোর সে জন্য তাকে ফলো করতে থাকে।পুশপা তার গয়না এবং অন্যান্য কিছু বিক্রি করে তার কোর্স এবং ম্যাসের ফিস দেয়।
ফুল কুমারিকে খোজার জন্য পুশপার মাথায় একটা বুদ্ধি আসে।পুশবা দিপকের বাড়িতে আশার পরে একদিন দিপকের ভাগ্মির হাতের স্কেচ সে দেখতে পেয়েছিল একদম মানুসের চেহারার সাথে মিলে যাহ।যেহেতু ফুল কুমারির কোনো ছবি ছিল না তাই সে তার ভাগ্নিকে দিয়ে এমন একটা স্কেচ করে সব জায়গা ছরিয়ে দেয়।সেই স্কেচ টা একদিন ফুল কুমারি দেখে এবং নিজের চেহারার সাথে মিলিয়ে নেয়।এরপরে সে স্টেশনের মাস্টারেএ কাছে যায় যাতে পোস্টারে দেওয়া নাম্বারে কল দিতে পারে।কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত কারনে নাম্বার টা বন্ধ থাকে।তবে স্টেশন মাস্টার তাকে সেই জায়গার নাম বলে এবং ঠিক সেই সময়েই একটা ট্রেন ছিল সেখানে যাওয়ার আর ফুল কুমারি সেই ট্রেনে উঠে যায়।
এদিকে একদিন পুস্পার স্বামী তাকে নিতে আসে এবং অনেক কথা বলে মনোহর বাবুর সামনে মনোহর বাবু নিতে আটকে দেয় বলে জয়া তার ইচ্ছায় থাকবে যাবে সে প্রাপ্ত বয়স্ক তার নিজের মতামত আছে।তাই তাকে আর যেতে দেয়না তখন জয়া কান্না করে ফেলে কারন আজ থেকে সে স্বাধিন এখন সে কৃষিবিদ হয়ে নিজের ক্যারিয়ার করতে পারবে।এদিকে স্টেশনে দিপক খুজতে আসে ট্রেন কারন একটা কল পেয়েছিল পরে সেখানে ফুল কুমারির খোজ পায়।কিন্তু তখন কোনো ট্রেন ছিল না তাই দিপক চলে যাচ্ছিল হঠাৎ পেছন থেকে দিপক দিপক বলে ডাক শুনতে পাই পেছনে তাকিয়ে দেখে ফুল কুমারি দোরে আসছে।
★ নিজের মতামত
অসাধারণ একটি সিনেমা ছিলো এটা একদম সাবলীল অভিনয়। মনে হয়েছে যে একটা গ্রামে ঘটনা ঘটছে আর কেউ আরাল থেকে ভিডিও করেছে অসম্ভব সুন্দর ছিল।আমার কাছে বিশেষ করে রবি কিষান পুলিশের চরিত্রে অভিনয় তাকে বুঝতেই পারিনি সে মানুষ টা কেমন এতো দারুন লেগেছে ছবি।এই সিনেমার শেষ দৃশ্যে খুশিতে আমার চোখে পানি এসে গেছিলো তাদের দুজনের পাওয়া দেখে।ভালোবাসার জন্য দীর্ঘ বছর মাসের প্রয়োজন নেই এক মুহুর্তেই ভালবাসা হতে পারে সেটা এই মুভিতে প্রকাশ পেয়েছে দিপক এবং ফুল দুজন দুজনের প্রতি ভালবাসা তার উদাহরণ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
অনেক সুন্দর একটি সিনেমার রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি। সিনেমার রিভিউটি পড়ে আমার বেশ ভালো লেগেছে। আসলে এরকম সিনেমাগুলো দেখার মাঝে বেশ আনন্দ রয়েছে। আগামীতে সময় পেলে অবশ্যই মুভিটি দেখে নিব। দারুন একটি সিনেমার রিভিউ শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জী সময় করে দেখে নিবেন খুবই সুন্দর সিনেমা।
https://twitter.com/ashik333444/status/1787683789625532628?t=r8zIKbbJQpfAB_561eCmlw&s=19
মুভির কাহিনী টা বেশ ভালো। বিগ বাজেটের মুভি না পরিচিত বা হিট আর্টিস্ট না কিন্তু গল্পটা ভালো। এইজন্যই মুভিটা বেশ জনপ্রিয়তে পেয়েছে। মুভিটা এখন পযর্ন্ত আমি দেখিনি। তবে আপনার রিভিউ টা দেখে ভালো লাগল। খুব দ্রুতই দেখব মুভিটা। সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।