হেলো বন্ধুরা

---

সবাই কেমন আছেন?? আসলে আমরা কেউ ভালো নেই।দেশের এই ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি এতোটা কঠোর ভাবে আমরা কেউ ই পরিনাই।গত বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের নেট কানেকশন বন্ধ থাকায় কেউ কারো সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। সিম থেকেও কল করে তেমন খোজ খবর নেওয়া হয়নি কারণ নেটওয়ার্ক সমস্যা তো আছেই।

---

গত শনিবার থেকে সারাদেশে চলছে কারফিউ, যেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।আর এই কারফিউ তে সবাই ঘর বন্দি মনে হচ্ছে ২০২০ এর করোনা কালিন সময় টা চলে এসেছে তখন ঠিক এভাবেই গৃহ বন্দি থাকা হতো।গৃহ বন্দি থাকলেও টুকটাক কাজে বের হওয়া যেতো কিন্তু এই দুই দিনে কোনো রকম বের হওয়া যাচ্ছে না।একদম কড়াকড়ি হুসিয়ারি দেওয়া হয়েছে।মানুষ কোথায় যাবে।পুরো দেশ সংকটে পরে গিয়েছে।

বিশেষ করে শহর কেন্দ্রিক আয়ের উৎস গুলো একেবারে বন্ধ থাকায় মানুষের আরো বেশি দূর্ভোগ দেখা দিচ্ছে।কারফিউ চলাকালীন সময়ে আমি রবিবার বিকেল ৩ টায় অর্থাৎ শিতিল কালিন সময়ে বাজার করতে গিয়ে বাজারের চিত্র দেখে অবাক একদম জন মানুষ শুন্য।হাই ওয়েতে বাস গুলো দাঁড়িয়ে আছে একদম রোবোট হয়ে।কোনো মানুষ নেই।

---

এদিকে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় মানুষ বাড়িতেও ঠিক মতো থাকতে পারছে না।মনে হচ্ছে আমরা ২০০০ সালের আগে চলে এসেছি।সন্ধ্যা নামলেই নদীর পারে অনেক ভীর দেখা যাচ্ছে ঠান্ডা হাওয়ায় জ্যোৎস্না রাতে মানুষ নদীর পারটাকেই ভালো থাকার একটা মাধ্যম বানিয়ে নিয়েছেন। জানিনা এই পরিস্থিতি কবে নাগাত স্বাভাবিক হবে আশা করি দ্রুত এই সমাধান হবে।কারণ আমাদের দেশটা এই কঠোর সময়ে অনেকটা পিছিয়ে গেলো।

---

পিছিয় গেলো আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামো পরিকল্পনা হাজার কোটি টাকা লুকশান গুনে বসে থাকতে হচ্ছে এগুলোই একটা দেশকে পিছিয়ে রাখার কারণ। আশা করি দ্রুত শেষ হবে এইসব।

---

আমার পরিচয়

আমি রাসেল আহমেদ, পেশায় একজন ছাত্র।পড়াশোনার পাশাপাশি ব্লগিং কে নিজের শখ এবং পেশা দুটই করে নিয়েছি।২০২০ সালের ডিসেম্বর এ আমি স্টিমিটে প্রবেশ করি এবং আমার বাংলা ব্লগের সূচনা লগ্ন থেকেই এখানে কাজ করছি।তাই বলা যায় আমি শুরু থেকেই এখানে আছি।আমি এডভেঞ্চার করতে বেশি ভালোবাসি।বিভিন্ন জায়গায় এডভেঞ্চার আমাকে নতুন ভাবে অনুপ্রাণিত করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।আমার শখ ওয়াইল্ড এবং ন্যাচার ফটোগ্রাফি করা।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷