আপুর বিবাহ শেষ পর্ব(১০% পে আউট লাজুক খ্যাকের জন্য) 🦊🦊🦊
হেলো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভাল আছি। আমি @ashik333 বাংলাদেশ থেকে বলছি চলে এলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে। আমার আজকের ব্লগে থাকছে আপুর বিবাহের ২য় পর্ব আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে তাহলে চলুন শুরু করি আমার আজকের ব্লগ।
বন্ধুরা গত পর্বে আমি শেয়ার করেছিলাম আপুর বিবাহের এরেঞ্জমেন্ট কেমন হয়েছে সেগুলো আজ করবো বিবাহের মুহুর্ত। আমি আর আমার ফুফাতো ভাই বাসাই এসে রেডি হয়ে ফুল এবং গ্লাস নিয়ে চলে যায় আবার সেন্টারে।এবং সেখানে গিয়ে আমরা বিভিন্ন রকমের শরবত বানাতে থাকি আসলে এগুলো একটা রিতি হয়েছে সালা সালী রা দুলাভায়ের সাথে কয়েক রকমের শরবত বানিয়ে আপ্যায়ন করেন যেগুলো খেতে খুবই ভাজে লাগে আর যতো বাজে শরবত দিয়ে দুলা ভাইকে হারানো যায় ততোই মজা।
এটা এক ধরনের খেলাও বলতে পারেন।তো আমি সবাইকে নিয়ে বসলাম বানাতে বেশ কয়েক রকমের শরবত বানিয়েছিলাম।সবাই দেখে আমাকে বলছিলো তুইও কিন্তু একদিন বিয়ে করতে যাবি।আমি বললাম তখন দেখা যাবে হাহাহা এখনের কাজ টা তো করি।তো সব কম্পলিট হবার পরে বসে আছি।এদিকে বিয়ে চলে আসছে।আমরা সব কিছু নিয়ে বসে আছি গেটে আমাদের দাবি না মানা অবদি গেট খোলা হবে না।আর দাবি মানলে আমরা শরবত দিয়ে আপ্যায়ন করবো।তো গেটে বেশ কিছু সময় তরকাতরকি হলো এরপরে আমার ফুফু এসে বললো আগে ঠেকেই সব ঠিক করা আছে।
যেহেতু আগে থেকেই সব ঠিক করা তাই আর আমরা কিছু বললাম না ছেড়ে দিলাম।এবার দুলা ভাইকে আমি হাতে ধরে নিয়ে গেলাম স্টেজে।এরপরে নাস্তার জন্য সবাইকে বসিয়ে দিতে চাইছি কিন্তু সবাই ব্যাস্ত ছবি উঠাতে।এক সময় সবাই বসল এবং তাদের খাওয়ার ব্যাস্ততা করলাম।তারপরে আবারো একে একে সবাই ছবি তুলতে ব্যাস্ত হয়ে গিয়েছিলো।আর আমিও পরিবারের সাথে ছবি তুলতে থাকলাম।এভাবেই শেষ হয়ে গেলো বিবাহ পর্ব এবং বিদায় বেলাটা সব সময় কান্না দিয়েই হয়।আজও তাই হয়েছে।ধন্যবাদ। আমার আপুর জন্য দোয়া করবেন সবাই।
শিরোনাম | লাইফস্টাইল পোস্ট |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ধন্যবাদ
চমৎকার একটি বিবাহ অনুষ্ঠানে আপনার অংশগ্রহণ এবং সে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পর্কে আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা তুলে ধরেছেন। খুবই ভালো লাগলো বিস্তারিত আমাদের মাঝে শেয়ার করা জন্য। অনেক খুশি হয়েছি আপনার বিবাহে অনুষ্ঠানটাতে অংশগ্রহণ করতে দেখে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
মেয়ে পক্ষের বিয়েতে এই একটা আনন্দ গেটে দাঁড়ানো এবং বিভিন্ন রকমের শরবত বানিয়ে বরকে খাওয়ানো। কিন্তু গেটের দেনা পাওনা যদি আগে থেকে মেটানো থাকে আনন্দ অনেকটা মাটি হয়ে যায়। কারণ ওখানে দরাদরি করতেই বেশ ভালো লাগে। যাইহোক আপনাদের যেহেতু আগে থেকেই সব মিটমাট করা ছিল সেজন্য আর খুব বেশি ঝামেলা হয়নি। ভালো লাগলো আপনার বোনের বিয়ের আয়োজন দেখে।
জী আপু গেটে একটা ঝামেলা হবে এটাই আনন্দ ধন্যবাদ আপনাকে।