জেনারেল রাইটিং):- তেঁতুল পারতে গিয়ে মজার অনুভূতি।

হ্যালো বন্ধুরা,

আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশাকরি সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে ভালো ও সুস্থ আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো):-তেঁতুল পারতে গিয়ে মজার অনুভূতি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

সময়টা হবে দুই হাজার নয় থেকে দশের মধ্যে। তখন আমার বয়স ছিলো আনুমানিক বারো থেকে তেরো বছর বয়স। তো সেই সময় আমাদের একটা গ্রুপ ছিলো আমাদের বয়সী ছেলে পেলে দের। তো সারাদিন শুধু খাওয়া দাওয়া আর দুষ্টমি করে দিন কাটিয়ে দিতাম। তো একদিন আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে দুপুরের আগে আগে প্লেলেনিং করেছিলাম আজকে টক জাতীয় কিছু ভর্তা করে খাবো। তো তারপর আমরা সবাই মিলে চিন্তা করলাম কাঁচা তেঁতুল ভর্তা করে খেলে মনে হয় বেশি ভালো লাগবে। তো সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই আমাদের এলাকায় একটা তেঁতুল গাছ রয়েছে ওই তেঁতুল গাছের তেঁতুল গুলো খেতে ভীষণ ভালো লাগতো।

তারপর আমরা সবাই মিলে চলে গেলাম তেঁতুল পেরে আনার জন্য। তবে ওই তেঁতুল গাছের মালিক অনেক কিপ্টা ছিলো যার জন্য তাকে বললে সে পারতে দিবে না। যাই হোক তারপর আমরা তেঁতুল চুরি করার সিদ্ধান্ত নেই। এবং দুপুরের সবয় গাছের মালিক এবং তার ছেলে দুইজন মিলে বাজারে যায় বাজার করার জন্য। আর এই সুযোগে আমরা তেঁতুল পারার জন্য সেই গাছের নিচে চলে যাই। এবং দ্রুত দুই তিন জন গাছে উঠে পরি তেঁতুল পারার জন্য।

আসলে আমাদের নিয়ত ছিলো আজকে আমরা গাছের সব তেঁতুল পেরে একদম সাফা করে দিবো। এবং সেই ভাবে আমরা তেঁতুল পেরে চলেছি। তবে বেশ কিছুক্ষণ তেঁতুল পারতে পারতে কখন যেনো ওরা বাবা ছেলে চলে এসেছে। আমরা খেয়াল করতে পারিনি। যাই হোক যখন ওরা আমাদের দেখে ফেলেছে। তো আমরা যার যার মতো গাছ থেকে নেমে দৌড়ে পালিয়েছি। তবে আমাদের সাথের একজন গাছের একদম উপরে থাকার কারণে সে দ্রুত গাছ থেকে নামতে পারেনি।

এবং ও নামতে নামতে ওরা বাবা ছেলে গাছের নিচে এসে হাজির। এরপর আমরা একটু দুরে থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতেছিলাম ওর সাথে কি করে। এরপর গাছ থেকে নামতে বলেছে। কিন্তু ওই ভয়ে গাছ থেকে নামতে চাচ্ছে না। ও ভেবেছে নামলে নিশ্চয় ওকে মার দিবে। তখন গাছের মালিক বলছে নিচে নেমে আসতে কিছু বলবে না। তারপর ও একটু সাহস নিয়ে নিচে নেমে আসে। তারপর ওকে জিজ্ঞাসা করে ওর সাথে কে কে তেঁতুল পারার জন্য এসেছিলো।

যাই হোক তারপর ও সবার নাম বলে দেয়। এবং ওকে কানে ধরিয়ে উঠা বসা করিয়েছে। তারপর গাছের সাথে একটি ছোট একটি দিঘি ছিলো কুচুরিপানা দিয়ে ভারা। এরপর বাবা ছেলে মিলে ওকে একজন পা ধরেছে এবং একজন হাত ধরে সেই দিঘিতে ফেলে দেয়। আসলে দুর থেকে এই বিষয়টা দেখে আমরা সবাই মিলে বেশ হাসতে হাসতে একদম শেষ। তারপর আমাদের বলে যেদিন তোমাদের ধরতে পারবো আমাদের সাথে ও এরকম করবে।

তারপর আমরা দুর থেকে বললাম আমাদের আপনি এবং আপনার ছেলে কোনোদিন ও ধরতে পারবেন না। এই কথা বলে হাসতে হাসতে আমরা ওখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাই। এবং ওই বন্ধু ওই পাশ দিয়ে দিঘি থেকে উঠে চলে আসে। আসলে এই কথাটা মনে পরলে এখনো আমার অনেক হাশি পায়। আসলে ছোট বেলার সেই দিন গুলো যদি আবার ফিরে পেতাম তাহলে মনে হয় অনেক বেশি ভালো হতো।

যাই হোক এই ছিলো আমার আজকের আয়োজন। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিলাম। আবারও খুব শীঘ্রই নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো। সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন সবসময় এই কামনাই করি।

পোস্টের-বিবরণ

আমি আসাদুল ইসলাম। আমার স্টিমিট একাউন্ট হচ্ছে @asadul-islam. আমি একজন বাঙালি আর আমি বাঙালী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করি। আমি বর্তমান চাকরির পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করছি। নিজের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরার জন্য। আমি বর্তমান ঢাকা উত্তরাতে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি। আমি বিবাহিত আমার দু'টো ছোট ছোট মেয়ে আছে। নিজের সাধ্যমত কাজ করার চেষ্টা করছি। আশাকরি এভাবেই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সাথে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। আপনাদের সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আল্লাহ হাফেজ ❣️