মেঘনাঘাট যাওয়ার ইতিকথা ।
হ্যালো ,আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যগণ সকলে কেমন আছেন।আশা করি সকলে ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। নিজের কিছু সমস্যার কারণে নিয়মিত পোস্ট করতে পারি নাই ।তবে গতকাল থেকে আবার আগের মত নিয়মিত পোস্ট করার চেষ্টা করতেছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার মেঘনা ঘাট যাওয়ার দিনটির পুরো ইতিকথা শেয়ার করবো।
আমি আর আমার চাচাতো ভাই মিলে মেঘনা ঘাট যাই কারফিউ শুরু হওয়ার একদিন আগে। মেঘনা ঘাট আমাদের যাওয়া হয়ে ছিল মূলত আমার ভাই এর মেঘনা গ্রুপে ইন্টারভিউ ছিল সেই উদ্দেশ্যে।আমিও কখনো ওইদিকে অর্থাৎ নারায়ণগঞ্জ এর দিকে যাই নি আমার ভাই ও যায় নি।তাই সে আমাকে একটু বেশ জোরই করে তার সাথে যাওয়ার জন্য।ওই সময় দেশের পরিস্থিতি তেমন ভালোও ছিল না। আন্দোলন চলমান ছিল,তাই বাস পাওয়া একটু কষ্টকর ছিল।তবে যে আগে নারায়ণগঞ্জ গিয়েছে তার কাছ থেকে সবকিছু জেনে আমরা খুব সকালেই রওনা দেই। যেতেতু চাকরির ইন্টারভিউ কল ১১ টায় ছিল এবং জয়গায়টি আমাদের দুই জনের কাছেই অচেনা তাই খুব সকলেই রওনা দেই ।তবে মেট্রো দিয়ে মতিঝিল পর্যন্ত যাবো বলে আমরা কাজীপাড়া মেট্রো ষ্টেশন এর কাছেই একটি হোটেলে সকালের নাস্তা করে নেয় ।ঠিক সকাল ৭.৩০ এ আমরা মেট্রো স্টেশন থেকে টিকিট কেটে মতিঝিলের উদ্দেশে রওনা দেই।খুব দ্রুতই মতিঝিল পৌঁছে যাই। তারপর সেখানে থেকে রিকশা নিয়ে গুলিস্তান বাস স্টেশনে পৌঁছায়। বাসটার নামটি ঠিক মনে পড়ছে না , তবে বাসটি খুবই ভালো ছিল।কম সিটের বাস হলেও পুরো সিটিং সার্ভিস। যেহেতু সকাল ছিল আবার দেশে আন্দোলনও চলছিল তাই রাস্তা পুরো ফাঁকাই ছিল।
আমাদের গুলিস্তান থেকে মেঘনা ঘাট যেতে মনে হয় ৪০ মিনিট এর মত সময় লেগেছিল। তারপর সেখানে নেমে চা খাই এবং দোকানি মামার কাছে কোম্পানির ঠিকানা জেনে নিচ্ছিলাম এবং কিভাবে যাবো সেটাও জেনে নিলাম। তারপর একটা অটো নিয়ে কোম্পানিতে পৌঁছায়।বেলা ১২ টাই আমার চাচাতো ভাই এর ইন্টারভিউ দিতে ভিতরে যায়। এইটা আমার জীবনে প্রথমবার ছিল কোনো কোম্পানির ভিতরে বসে ইন্টারভিউ প্রসেস টা দেখা।
ইন্টারভিউ শেষে আমরা অটো নিয়ে সেই বাজারের মুরে এসে হালকা সিঙ্গারা পুড়ি খেয়ে আবার বাসের টিকিট কেটে নেই। রাস্তার ভিউ খুবই সুন্দর ছিল। বিশাল প্রশস্ত রাস্তা। আমার সঠিক জানা নেই তবে হয়ত এই রোড দিয়েই চিটাগং চলাচল করে। বেলা ছিল পুরো ভর দুপুর। তাই বাসের যাত্রীও ছিল খুবই কম , আমাদের মিলেয়ে মাত্র সাত জন।
তবে বাসটি সিটিং সার্ভিস ছিল বলে তার সময় অনুযায়ী যাত্রা শুরু করে।তবে সামনের কাউন্টারে এসে আমাদের তাদেরই আরেকটি বাসে তুলে দেয় যাত্রী কম থাকায়।সেই বাসে আগে থেকেই ১০-১৩ জন যাত্রী ছিল। অতঃপর বাসটি ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।তবে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে হালকা জ্যাম পাই এবং ভর দুপুর ছিল বলে খুব গরমও লাগছিলো। বাসায় যাবার সময় তাই সকালের তুলনায় অনেক বেশি সময়ই লাগে।তবে অনেক জুটজামেল পেরিয়ে আবার গুলিস্তান চলে আসি। গুলিস্তান থেকে আমি একটা জার্সিও কিনে নেই।ওই সময় আবার গুলিস্তানে ঝামেলা লাগবে বলছিল দোকানের মামা। বলছিল মামা দ্রুত চলে যান। তাই আমরা আর বিলম্ব না করে দ্রুত মেট্রো স্টেশনে এসে বাসার দিকে রওনা দেই।এই ছিল আমার প্রথমবার মেঘনা ঘাট যাওয়ার ইতিকথা।তবে পরদিনই সারাদেশে কারফিউ জারি করা হয়।তাই আমার চাচাতো ভাই ৭/৮ দিন আমাদের বাসায় আটকা পরে যায়।তবে কারফিউ শেষে যেইদিনই ময়মনসিংহ গামী বাস চলাচল শুরু হয়, সে সেই দিনই ময়মনসিংহ চলে যায়।
সবাই ভালো থাকবেন।সবাই বেশি বেশি গাছ লাগানোর চেষ্টা করবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইলো।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনি বেশ কয়েকদিন ধরে এই কমিউনিটিতে ইন একটিভ রয়েছেন। এভাবে করে চললে আপনি ইনএকটিভ লিস্টে চলে যাবেন।
ভাইয়া আমি খুব জামেলার মাঝে দিয়ে যাচ্ছি।তবে আজকে থেকে আবার পোস্ট করা শুরু করেছি।