সকালে প্রকৃতি উপভোগ করার মুহূর্তের ও ফটোগ্রাফি পর্ব-২
আসসালামুআলাইকুম/আদাব
বন্ধুরা আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে সকাল বেলার মুহূর্ত শেয়ার করতে আসলাম। আসলে আমি আমার বন্ধুকে সাথে নিয়ে মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ভোরবেলা জোগিং করতে গিয়েছিলাম। সেই জোগিং করার মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে প্রথম পর্বের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছি। আজকে সেই ফটোগ্রাফির দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে এসেছি। আসলে মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে ভোরবেলা অসাধারণ কিছু মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আর ভোরবেলা একদম নিরিবিলি কলেজ ক্যাম্পাসটি ছিল যার কারণে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। সেই মুহূর্তের কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে অপরূপ সৌন্দর্যময় রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তাটি একদম পরিষ্কার আর খুবই সুন্দর ছিল। যা দেখতে পেয়ে অনেক ভালো লাগলো ভোরবেলা এসে দেখতে পেলাম এখানে অনেক মানুষ এসেছে। তারা সকালবেলা এখান দিয়ে দৌড়াদৌড়ি ও জোগিং করছে। আসলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে অসাধারণ দৌড় বা হেঁটে যাওয়ার রাস্তাটা তারা পেয়েছে। তাই তাদেরও হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো।
মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের রাস্তাটি বৈশাখ উপলক্ষে খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়েছিল। সেই বৈশাখের অংকন এখনো যেন আছেই।সেই অংকনের দৃশ্য দেখতে পেলাম। আর সূর্য উদয়ের এই দৃশ্যটিও দেখতেছিলাম। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলাম পূর্ব দিকে লাল বর্ণ ধারণ করেছে। সত্যি মুহূর্তটা অসাধারণ ছিল।
মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে একটি মাঠ রয়েছে। সবুজ ঘাসের এই মাঠের দৃশ্যটি আমার খুবই ভালো লাগে। এখানে বিকেল বেলা ক্রিকেট খেলা হয়। আর এই মাঠের পাশে বসার জায়গা রয়েছে। সেখানে বসে থাকলাম। আসলে আমরা বন্ধুরা মিলে জোগিং করার পরে শরীর ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল। তখন এই মাঠের এখানে বসে প্রকৃতির সবুজ ঘাসের দৃশ্য গুলো দেখতে ছিলাম।
মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের একাডেমী ভবনে পাশে আসলাম। একাডেমী ভবনের পাশে এসে দেখতে পেলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য, আর শহীদ এম এ মনসুর আলী যার নাম অনুসারে এই মেডিকেল কলেজের নাম করা হয়েছে। সেই মহান নেতার ভাস্কর্য, দুইজনের একসাথে ভাস্কর্য দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। তাই একাডেমী ভবনের ফটোগ্রাফি করলাম।
সকালবেলা বন্ধুর সাথে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আসলে সকালের বাতাস আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যার কারণে সকালের মুহূর্তটা আজকে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। মন যেন অনেক ভালো লাগছে, আর এই মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পেরে আরো বেশি ভালো লাগছে। তারপরে আমি বাসার দিকে রওনা দিলাম। সূর্য দেখি তখন উঠেছে, সূর্য ওঠার এই দৃশ্যটি তখন ভালোভাবে উপভোগ করলাম।
সকাল বেলার মুহূর্ত সত্যি আমাদের প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সকালের বাতাস যদি আমাদের গায়ে লাগে সারাদিন অনেক বেশি ভালো লাগবে, মন যেন একদম ফ্রেশ হয়ে যায়। তাই আমি মনে করব আপনারা সবাই সকালবেলা ঘুমিয়ে না থেকে সকালবেলা উঠে প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যময় মুহূর্তগুলো উপভোগ করবেন। তাই আজকে আপনাদের মাঝে মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের ভোরবেলার ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করতে পেরে অনেক ভালো লাগলো। আশা করছি এই পর্বের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
ধন্যবাদ সকলকে✨💖
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি ✨ |
মডেল | এম-৩১ |
ক্যাপচার | @alif111 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ -রাজশাহী- বাংলাদেশ। |
আমার পরিচয়
![]() |
---|
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খুব সকাল থেকে সূর্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আগ পর্যন্ত সময়টা যদি মনোরম কোন পরিবেশ বা থাকা জায়গা দিয়ে হাঁটাচলা করা যায় তাহলে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগে।
সকালের ঠান্ডা আবহাওয়া সেইসাথে সতেজ অক্সিজেন এ যেন এক অন্যরকম অনুভূতি জাগিয়ে দেয়।
আমি তো বাড়ি গেলে মাঝে মাঝেই সকালে উঠে নদীর পাড় দিয়ে হেঁটে থাকি আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
আপনার কলেজ ক্যাম্পাসে খুব সকালে হেঁটে নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলেন সেই সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।
সকালে ঘুম থেকে উঠে হাঁটা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে দারুন লেগেছে ভাই বিশেষ করে ক্যাম্পাসের ভেতরে রাস্তার উপরে বৈশাখীর আলপনা গুলো সুন্দর লাগছে দেখতে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।