"তাকে ভালোবাসা বলে" নাটকের রিভিউ // রিভিউড বাই @alauddinpabel (১০% পে-আউট লাজুক খ্যাকের জন্য)
স্টিমিটের সহযোদ্ধারা
আসসালামুয়ালাইকুম ,আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকে রিভিউ উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। যদিও আমি তেমন একটা রিভিউ করি না কিন্তু আজকে এই নাটকটি দেখে আমার কেন জানি মন চাচ্ছিল যে এই নাটকের একটা রিভিউ করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করি। তো যা চিন্তা করলাম তাই করলাম একটি রিভিউ তৈরি করলাম এবং সেটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো এখন।
⭐⭐ নাটকের রিভিউ⭐⭐
নাটকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যঃ
নাম | তাকে ভালোবাসা বলে |
---|---|
পরিচালক | মিজানুর রহমান আরিয়ান। |
অভিনয় | আফরান নিশো, তানজিন তিশা, অর্ণব অন্ত ও স্বর্ণলতা সহ আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৩৮:১৯ মিনিট। |
ধরন | রোমান্টিক । |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ২১.৫.২০২১ইং। |
সম্পূর্ণ নাটকের বিষয়বস্তু
নাটকটির শুরুতে আফরান নিশো একটি বাইক নিয়ে একটি মার্কেটে গেলো এবং সেখানে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির লুকিং গ্লাস এর সাথে তার বাইক লাগিয়ে দিল এতে করে লুকিং গ্লাস এবং সেই গাড়ির কিছু ক্ষতি হলো। সেই ঘটনাটি দেখে ফেলল সেখানকার থাকা সিকিউরিটি গার্ড। এসে তাকে বলল আপনি কি কাজটা ঠিক করলেন। তখন সে তাকে বলল আপনি কি দেখেছেন? না আমি দেখিনি তবে বুঝতে পেরেছি। আপনি যেটা দেখেন নি সেখানে নাক না গলালে ভাল হয়,একথা বলে সেখান থেকে চলে গেল শপিং মলের ভিতর। এদিকে যে গাড়িটিতে আঘাত লেগেছিল সেই গাড়িটি হচ্ছে তানজিন তিশার গাড়ি এবং সে আগের থেকে শপিং মলে অবস্থান করছিল। সে যখন শপিং মলে কেনাকাটা করছিল। তখন তার এক বান্ধবী তাকে ফোন দিয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্কে উল্টাপাল্টা বলতে থাকে। এদিকে তেমন একটা গুরুত্ব না দিয়ে শপিং মল শপিং করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
তানজিন তিশা শপিংয়ের জন্য সে উপরে যেতে চাচ্ছে সেজন্য সে লিফটের কাছে গেল। এদিকে আফরান নিশো আগের থেকে লিফটের জন্য অপেক্ষা করছিল। দুজনে অপেক্ষা করতে করতে লিফটে যখন আসে তখন লিফটের ক্ষমতা শুধু একজনের ছিল। তারা কে কার আগে যাবে একজন আরেকজনকে যেতে বলে পরে কেউ গেল না। লিফটি চলে গেল, এবং একজন আরেকজনকে বলতে লাগল চলে গেলেই পারতেন। বৃত্তের এখানে আফরান নিশো তানজিন তিশাকে খুবই পছন্দ হয়ে গেল। এদিকে যখন আবার পুনরায় লিফট আসলো তখন আফরান নিশো তানজিন তিশাকে চলে যেতে বলে এবং সে যখন লিফটে উঠে যায় তখন সেও তার সাথে চলে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে। কিন্তু ভিতরে থাকা লোকজন তাকে উঠতে দিল না। বের করে দিল। এ অবস্থায় সে অনেক জোরে দৌড়ে গিয়ে লিফট ধরার চেষ্টা করে কিন্তু তার আগেই তানজিন তিশা তার গন্তব্যে পৌঁছে যায়। এবং সে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার অর্ডার জন্য প্রস্তুতি নেয়। এদিকে আফরান নিশো তানজিন তিশা কে খুঁজতে খুঁজতে পুরা শপিংমল হয়রান হয়ে গেছে। খুঁজতে খুঁজতে একটা সময় সে তাকে এই রেষ্টুরেন্টের পেয়ে গেল। এদিকে রেস্টুরেন্টে ঘটে গেল আরেক ঘটনা। তানজিন তিশা যে ছেলেটাকে ভালোবাসতো অর্ণব অন্ত সে আরেকটি মেয়ের সাথে রেস্টুরেন্টে বসে গল্প করছে আর খাচ্ছে, এই অবস্থায় তানজিন তিশা তাদেরকে দেখে ফেলে এবং সে সেখানে রেগে গিয়ে ছুটে যায় আর তার বয়ফ্রেন্ডকে যথেষ্ট বকাঝকা করে এবং তাদের তার সামনে থাকা খাবারগুলো তার গায়ের উপর ঢেলে দেয়।তারপর যখন তানজিন তিশা মেয়েটিকে তাকাতে বলে সে লজ্জায় নিচের দিকে তাকিয়ে ছিল যখন সে মেয়েটি তার মুখটি তুলে তাকে দেখায় তখন ঘটে যায় আরেক কান্ড। তানজিন তিশা দেখতে পায় যে তার বান্ধবী যে কিছুক্ষণ আগে তাকে ফোন দিয়ে তার বয়ফ্রেন্ডের ব্যাপারে অন্য মেয়ের সাথে চক্কর চলছে এই বিষয়ে কথা বলছিল। তখন তো সে লজ্জায় আর কথা বলার কোন মুখ নেই। সে দেখতে পায় এই তো সেই স্বর্ণালতা তার বান্ধবী সেও রাগের চোটে তার সামনে থাকা খাবারগুলো তার গায়ে ঢেলে দিয়ে এখান থেকে চলে যায়। আর এইসব ঘটনা গুলো আফরান নিশো রেস্টুরেন্টের বাইরের গ্লাস দিয়ে দেখছিল।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
তখন তানজিন তিশা সে নেমে চলে যায় এবং সে বাড়ি চলে যাবে সেই জন্য সে তার গাড়ি কাছে যায় গাড়ির কাছে গিয়ে দেখে তার গাড়িটি কেউ একজন মেরে দিয়েছে। তখন সে সিকিউরিটি গার্ডকে ডেকে তার সাথে একটু রাগারাগি করে সেখান থেকে চলে যায়। এদিকে সম্পূর্ণভাবে ফলো করছিল আফরান নিশো তাকে এবং সে দৌড়ে আসতে আসতে তানজিন তিশা সেখান থেকে চলে যায়। তারপর আফরান নিশো সিকিউরিটি গার্ড থেকে বিভিন্ন বাহানা কৌশলে গাড়ির নাম্বার নিয়ে নেয় এবং সে তার বন্ধুর সাহায্যে গাড়ির নাম্বার দিয়ে ব্যক্তিগত ঠিকানা বের করে নেয়। আর সেই ঠিকানা অনুযায়ী তাকে খুঁজতে থাকে এভাবে সে এক ঠিকানা থেকে আরেক ঠিকানা বের করে তিন তিনটি বাসা খুঁজে আফরান নিশো তানজিন তিশা কে খুঁজে পায়। এবং সে তার বাসায় গিয়ে বলে যে তার মোটরসাইকেল তানজিন তিশার গাড়িতে লাগিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে এবং এটা শুনে তানজিন তিশা খুবই অবাক হয়ে যায়। আজকালকার দিনে এরকম লোক আছে যে আমার ঠিকানা খুঁজে বের করে আমার গাড়ির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য চলে আসে, সে খুব অবাক হয়। এবং তাকে বাসার ভিতরে এনে চা খেতে দেয় এবং চা খেতে খেতে সে কত টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে আর লাগবে সেগুলো জানতে চাই। এরপর তারা চলে গেল একটা গ্যারেজে গাড়ি নিয়ে সেখানে যখন মিস্ত্রিকে দেখালো ৮০০০ টাকা চাইলেও এটা ঠিক করার জন্য। কিন্তু এতে আফরান নিশো মিস্ত্রির সাথে ক্ষেপে যায় এবং তার কাছে এত টাকা নেই সেইটা করাতে পারবে না এই বলে সে তানজিন তিশাকে বলে এত টাকা চাইতেছে এটা তো ঠিক না। অনেক টাকা চাইতেছে আমি এত টাকা কোথায় পাব তখন সে তাকে বলে আপনি কত টাকা নিয়ে এসেছেন বলল আমিতো হাজার পনেরশো টাকা নিয়ে এসেছি। তখন তানজিন তিশা বলল ঠিক আছে আপনাকে দিতে হবে না আমার গাড়ি আমি ঠিক করে নিযচ্ছি। তখন সে গাড়িটি ঠিক করার জন্য এখানে রেখে চলে যাচ্ছিল।এদিকে আফরান নিশো মোটরসাইকেল নিয়ে তার পিছু পিছু যাচ্ছিল এবং সে তাকে অফার করলো যেহেতু তার গাড়িটি একদিন সময় লাগবে ঠিক হতে সে পর্যন্ত তাকে তার মোটরসাইকেলে যেতে, যেখানে যাবে সেখানে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বায়না ধরল। যদিও আফরান নিশো ও একটু রাগী ছিল তার বয়ফ্রেন্ডের কারণে তারপর সে তার কথায় রাজী হয়ে মোটরসাইকেল উঠে বসল। কিন্তু ওই মুহূর্তে মোটরসাইকেলের তেল শেষ হয়ে গেল। তারপর সে তাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে আরও 200 টাকা দেওয়ার জন্য বলল তেল কিনার জন্য কিন্তু আফরান নিশো তো অবাক হলো। তখন সে তাকে বলল আপনার কাছে না হাজার পনেরশো টাকা ছিল সেই টাকা কোথায়? সে বলল সেটা তো আমার কার্ডে রয়েছে এখন আমি কার্ড দিয়ে কোথা থেকে টাকা তুলব আপনি আমাকে 200 টাকা দেন আমি আপনাকে পরবর্তীতে দিয়ে দেবো। এটা বলে সে তেল নিয়ে বাইকে করে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে লাগলো।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
ঘুরতে ঘুরতে তাদের দুপুরের খাওয়ার সময় হলো এবং তানজিন তিশা একটি রেস্টুরেন্টে গেল খাওয়ার জন্য। এদিকে আফরান নিশো রেস্টুরেন্ট দেখে একটু ঘাবড়ে গিয়েছিল এই অবস্থা দেখে তানজিন তিশা তাকে বলল আপনার ভয়ের কিছু নাই আমি আপনাকে খাওয়াবো চলুন আমরা দুপুরে লাঞ্চ করে আসি। এই কথা বলে তারা দুজনে খেতে গেল এবং সেখানে তারা খাওয়ার জন্য লুডুস অর্ডার করলো এটা দেখে একটু অবাক হল দুপুর বেলায় আমরা লুডুস খাব এটা কি হয়। সে খেতে খেতে উত্তরায় সাদ্দাম হোটেলের খাবার খুব প্রশংসা করল এটা শুনে তানজিন তিশা আগ্রহ প্রকাশ করল এবং সে সেখানে গিয়ে খাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে নিল। তখন তারা সেখানে চলে গেল খাওয়ার জন্য। সেখানে গিয়ে তানজিন তিশা বেশকিছু পথশিশুকে দেখতে পেল এবং আফরান নিশো তাদেরকে ডেকে এনেছে তানজিন তিশা তাদেরকে খাওয়াবে বলে। এটা শুনে রীতিমতো তানজিন তিশা একটু অবাক। তারপর আফরান নিশো এক এক করে তাদেরকে পরিচয় করে দিচ্ছে কেউ ওবামা কেউ ক্লিনটন কেউ হিলারি এরপর তানজিন তিশা বলল যে আপনার সাদ্দামের হোটেলে তো দেখছি আমেরিকার প্রেসিডেন্টের মিলন মেলা। তারপর সেখানে তারা খাওয়া-দাওয়া করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তানজিন তিশা খাওয়ার বিল দিতে চাইল কিন্তু সাদ্দামের হোটেলে সাদ্দাম সে নিল না, না নিয়ে আরো আফরান নিশোর প্রশংসা করল এবং তার দেয়া তৈরি করে দেওয়া হোটেল সে পরিচালনা করছে এই বলে আপনার কাছ থেকে টাকা নিব এটা কখনোই সম্ভব নয়। তখন সাদ্দাম বলল আমার এই স্যারের শুধু চাহিদা হচ্ছে এই পথে শিশুদেরকে একবেলা খাইয়ে দিতে হবে আর কোনো চাহিদা নেই তার এখান থেকে তারপর চলে গেল।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
এদিকে তারা ঘুরাঘুরি শেষ করে প্রায় বিকেলেই তানজিন তিশা তার গাড়ি নেওয়ার জন্য গ্যারেজে গেল। আফরান নিশো যখন তানজিন তিশাকে গ্যারেজে নামেই দিয়ে চলে আসছিল তখন তানজিন তিশা তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে এই জন্য তার কাছে ক্ষমা চাইলো এবং তখন আফরান নিশো তাকে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটার কথা বলল এবং সে তাকে ভালোবাসে না বা তার প্রতি তার বয়ফ্রেন্ডের কোন ফিলিংস নেই এটা বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে দিল। এগুলা শুনে তানজিন তিশা রীতিমতো এতটা অবাক হয়েছে সে ভাবতেই পারেনি কখনো। এরপর সেখান থেকে বাইকে নিয়ে আফরান নিশো চলে গেল।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া
এরপর তানজিন তিশা গ্যারেজ এর মিস্ত্রিকে সে বিল দিতে গেলে মিস্ত্রি তখন বলল যে স্যার সকালে বিলটা পেমেন্ট করে দিয়ে গেছে। এটা শুনে তো আরও সে অবাক হয়ে গেল। তারপর সে গাড়ি নিয়ে বাড়ি চলে গেল। বাড়ি গিয়ে তার আফরান নিশোর কথা গুলো বারবার মনে পড়ছিল এবং বারবার সে তার ফোন চেক করছিল মেসেজ চেক করছিল আফরান নিশো তার সাথে কোন রকম যোগাযোগই করেনি। তার এই আচরণে বোঝা যাচ্ছিল সে আফরান নিশো কে ভালবেসে ফেলেছে এবং তাকে সে খুব মিস করছিল তখন। এরপর তিন দিন অপেক্ষা করে সে যখন কোন ফোন বা মেসেজ পাইনি তখন আফরান নিশো কে খুঁজতে পেরে বেরিয়ে গেলাম অংশে দেখি রাস্তায় কিছু পথশিশুকে পড়াশোনা করাচ্ছে। সেখানে গিয়ে তাকে খুঁজে পেল এবং তাকে ডেকে বলল তুমি কেমন মানুষ আজ তিন দিন হয়ে গেল তুমি আমাকে কোন ফোন বা মেসেজ দাও নি। তখন আফরান নিশো তো রীতিমত অবাক এবং সে তাকে জিজ্ঞাসা করল আপনি কি প্রেমে পড়েছেন ঠিক ওই মুহূর্তে তানজিন তিশা তার যে এক্সপ্রেশন ছিল সেটা খুবই চমৎকার ছিল এবং সে এক্সপ্রেশনটা আফরান নিশো তার কাছ থেকে আবারো দেখতে চাইল কিন্তু তখন তানজিন তিশা তাকে বলল এগুলো বার বার করা যায় না একবারই হয়ে থাকে। এভাবেই তাদের মধ্যে ভালোবাসা হয়ে গেল এবং নাটকটির সমাপ্তি ঘটল।
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকটি নিয়ে আমার ব্যক্তিগত মতামত হল এখানে অনেক কিছু শিখার আছে। আমরা যদি ভালো করে লক্ষ্য করি এইখানে আফরান নিশো কিছু পথ শিশুদের নিজের উদ্যোগে তাদেরকে লেখাপড়া করি মানুষের মত মানুষ করার চেষ্টা করছিল আমি মনে করি এভাবে যদি আমাদের মধ্যে থেকে সবাই 2/৪ জনের দায়িত্ব নিতে পারত তাহলে হয়তো এরকম পথ শিশুদের এভাবে পথে পথে ঘুরতে হতো না। এরপর আপনি যদি খেয়াল করেন এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষ করলে চোখে পড়বে সেটি হল একটি মেয়ে তার বয়ফ্রেন্ড থেকে যে কষ্ট পেয়েছে সেই কষ্ট থেকে তাকে সম্পূর্ণ আলাদা রাখতে আফরান নিশো তানজিন তিশাকে সম্পন্ন ভাবে চেষ্টা করেছে, এই ঘটনা থেকে তাকে ভুলিয়ে রাখতে। আসলে এরকম ঘটনা অনেক মেয়ে আমাদের সমাজে নিজেদেরকে শেষ করে দেয়। পরিশেষে আমি এই নাটকটি দেখে যেটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে সেটি হল আফরান নিশো তানজিন তিশাকে সর্বশেষ তার ভালোবাসার অনুভূতি গুলো নিয়ে তাকে বুঝিয়ে দিয়েছিল সেটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আর আফরান নিশোর এই চরিত্রটির সত্যি একজন প্রকৃত ভালো মানুষের চরিত্র ছিল যা আমাকে মুগ্ধ করেছে।
আমার ব্যক্তিগত রেটিং
সম্পূর্ণ নাটকের লিংক
ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। অবশ্যই নাটকটির রিভিউ পড়ে মন্তব্য করতে ভুলবেন না। রিভিউটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে,@alauddinpabel
আমি আলাউদ্দিন পাবেল।
গাজীপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ 🇧🇩 থেকে।
"তাকে ভালোবাসা বলে" নাটকের রিভিউ দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। আমি আগে কখনো এই নাটকটি দেখিনি। আফরান নিশো ও তানজিন তিশার ঘটনাবলী খুবই উপভোগ করার মতো। নাটকটি দেখে সত্যিই অনেক কিছু শেখার আছে। ভাই আপনার মন্তব্যটি আমার কাছে অসাধারণ মনে হয়েছে, আমাদের মধ্য থেকে সবাই 2 থেকে 4 জন পথশিশুর দায়িত্ব নিতে পারলে হয়তো এরকম পথশিশুদের এভাবে পথে পথে ঘুরতে হতো না। খুবই সুন্দর একটি নাটকের সাথে আপনার অসাধারণ সুন্দর মতামত আমার কাছে অসম্ভব ভালো লেগেছে। সব মিলিয়ে খুবই চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাই আমার নাটক রিভিউটি আমার মতামতটি খুবই সুন্দর ভাবে পড়ে সে অনুযায়ী মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা অবিরাম আপনার জন্য। আর অবশ্যই বলবো নাটকটি একবার দেখবেন আমার বিশ্বাস অনেক ভালো লাগবে, খুবই মজার একটি নাটক সেই সাথে রোমান্টিক ও বটে।
শুধু নাটকগুলো দেখলেই হয় না আমাদের উচিত নাটকগুলো থেকে কিছু শিক্ষা নেওয়া। নাটকের কাহিনি বেশ ভালোই লেগেছে যে আফরান নিশো পথ শিশুদের সাহায্য করছে। আমরা সকলেই যদি ১ জন বা ২ জন পথশিশুরা দায়িত্ব নিতাম তাহলে আজ শিশুদেরকে পথে পথে এভাবে ঘুরতে হতো না। সবমিলিয়ে নাটকের কাহিনী টা আমার অনেক ভালো লেগেছে আমার নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। আর নিশো ও তানজিন তিশা আমার অনেক পছন্দের অভিনেতা ও অভিনেত্র। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া সুন্দর একটি নাটকের ভিডিও শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু সবার মন মানসিকতা একরকম নয়। আবার অনেকেই মন-মানসিকতা আছে কিন্তু সেভাবে সামর্থ্য নেই। সব মিলিয়ে যারা বিত্তবান সামর্থ্যবান তারা যদি এগিয়ে আসে তাহলে এসব পথশিশুরা কখনোই পথে পথে ঘুরতো না। অসংখ্য ধন্যবাদ খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে আমাকে এতটা উৎসাহ প্রদানের জন্য।
নাটকটি দেখে খুবই ভাল লেগেছে ভাই। এটি এটি এখনও আমার দেখা হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে নাটকের রিভিউটা করেছেন। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে এটি দেখে। এত চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল। অবশ্যই ভাই নাটকটি দেখবেন আমার বিশ্বাস খুবই ভাল লাগবে এবং সেইসাথে নাটকটি থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
আপনি খুব সুন্দর নাটকের রিভিউ দিয়েছেন। নাটকটি আমি দেখেছি নাটকের দৃশ্যপট, চরিত্র, এবং সংলাপ খুবই অসাধারণ। নাটকটি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এত অসাধারন নাটকে রিভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আমার এই নাটকের রিভিউওটি খুব সুন্দর ভাবে দেখে চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
নাটকটি অনেকদিন আগে দেখেছিলাম আফরান নিশু মানেই হলো বড় ধামাকা আমার অনেক পছন্দের একজন খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন শুভ কামনা রইলো।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল। যদিও আমি নাটক খুব কম দেখেছি তাও যে নাটকটা দেখেছি এই নাটকটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। তাই আপনাদের মাঝে রিভিউ আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
তাকে ভালোবাসা বলে" নাটকের রিভিউ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আমিও এই নাটকটি দেখেছি চমৎকার একটি নাটক। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
আপনিও ভালো থাকুন, আপনার জন্য শুভকামনা অবিরাম। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
নাটক খুব একটা দেখা হয়না, তবে আরফান নিশোর বেশ কয়েকটি নাটক দেখেছিলাম খুব ভালো অভিনয় করে। আর এই নাটকটি যদিও এখনো দেখিনি তবে আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। নাটকের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
ভাই নাটকটি অবশ্যই দেখে নেবেন আশা করি অনেক ভালো লাগবে খুবই রোমান্টিক একটি নাটক এবং এই নাটকে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। শুভকামনা আপনার জন্য অবিরাম।
মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত নাটক গুলা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে ।আর আফরান নিশোর অভিনয় কি বলবো ।আমি তার বড় একজন ভক্ত। এই নাটকটি আমি দেখেছি খুবই সুন্দর একটি নাটক ।।
ধন্যবাদ আপনাকে।।
আমার এই রিভিউটি পড়ে খুবই গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যেহেতু নাটকটি দেখেছেন আশা করি মজা পেয়েছেন।
তাকে ভালোবাসা বলে নাটকটি রিভিউ চমৎকার ছিল। এখন আর আগের মতো নাটক দেখিনা, আসলে সময় পাইনা। সংসারের চাপ আর কাজের চাপ সবমিলিয়ে খুব ঝামেলায় থাকি। যাক দেখে নিলাম রিভিউটি। সময়মতো দেখে নেবো ইনশাআল্লাহ ✨
ভাই বর্তমানে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে নাটক দেখাও বা কোন মুভি দেখাও আমাদের কাজের মধ্যেই পড়ে। তাই অবশ্যই সম্ভব হলে নতুন নতুন নাটক ও মুভিগুলো দেখে নেবেন আর এইভাবে রিভিউগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
এই নাটকটির এই বিষয় টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। তবে আজকাল এরকম মানুষ খুব কমই পাওয়া যায় যে একটি মেয়ের দুঃখ বুঝে তাকে সাপোর্ট করবে।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে নাটকটি লিখিত ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো।
আপনি ঠিকই বলেছেন বর্তমানে এরকম লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। আসল কথা বর্তমানে ভালোবাসাটাই কেমন যেন একটা লোভ-লালসার প্রতিচ্ছবি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।