চট্টগ্রামে বই উৎসবে কাটানো কিছু মুহূর্ত/ শেষ পর্ব
বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম
আসসালামু আলাইকুম
শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি।
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের, চট্টগ্রামে বই উৎসবে কাটানো কিছু মুহূর্তের অনুভূতি সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।
আসুন শুরু করি
গতকাল আমি আমাদের মাঝে চট্টগ্রামে বই উৎসবে কাটানো কিছু মুহূর্তের প্রথম পর্ব উপস্থাপন করেছি। আজ শেষ পর্ব উপস্থাপন করছি। বিকেলের সময়টাতে আমি বই মেলা গিয়েছি। ঘুরে ঘুরে যখন বিভিন্ন বইয়ের স্টল দেখছি তখন পশ্চিম আকাশে সূর্য হেলে যাচ্ছে । সাধারণত বিকেল বেলাতে বই মেলাতে লোক সমাগম বেশি হয়ে থাকে। পড়ন্ত বিকেলে ধীরে ধীরে বই প্রেমিকেরা বই উৎসবে আসছে। বিভিন্ন লেখক এবং প্রকাশনী লোকজন সাধারণ দর্শনার্থীদের দেখে তাদের বই সম্পর্কে অবগত করছে। আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে তাদের বই দেখছি এবং তাদের কথা শুনছি।
অনেক গুলো বইয়ের স্টল বসেছে। প্রত্যেক স্টলে দাঁড়িয়ে পছন্দের বই খোঁজা বেশ সময়ের ব্যাপার। হাতে সময় খুব কম তবুও বিভিন্ন বইয়ের স্টল ঘুরে ঘুরে পছন্দের বই খুজতেছি। আসলে সত্যি কথা বলতে মজার ব্যাপার হলো, বইয়ের উপরে মডল এবং নাম দেখলে প্রত্যেক বই পছন্দ হয়ে যায়। তবে অনেক সময় দেখা যায় বইয়ের মডেল এবং নাম দেখে যেমনটা ভাবা হয় পরবর্তীতে বই পড়তে ঠিক তেমনটা হয় না। ছোট্ট সোনামণিদের জন্য বেশ কয়েকটি বইয়ের স্টল বসেছে। বিভিন্ন রকম চড়া, কবিতা, ছোটগল্প, কাটুন এবং চিত্র অংকনসহ নানা রকম বইয়ের সমাহার।
উপন্যাস পড়তে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। তাই আমি প্রথমে উপন্যাসের বই খুজতেছি। প্রথমে আমি মেমসাহেব নামে একটি উপন্যাসের বই নিলাম। উপন্যাসটির রচয়িতা নিমাই ভট্টাচার্য। তারপর আমি আরো একটি উপন্যাসের বই নিলাম তাহলো, কোথাও কেউ নেই উপন্যাসটির রচয়িতা জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ আমার খুবই জনপ্রিয় লেখক। তার লেখা অনেক গুলো উপন্যাস, ছোটগল্প ও নাটক পড়েছি । তাছাড়া আমি একটি ইসলামী বই সংগ্রহ করি। বইটি হলো বিশ্ব বিখ্যাত ইসলামিক পন্ডিত জালাল উদ্দিন রুমির (রঃ) লেখা রুমির প্রত্যাবর্তন।
এই বইটির আমি কিছু অংশ আগে পড়েছি পরবর্তীতে আর পড়ার সুযোগ হয় নি। তাই বইটি দেখে কিনে নিয়েছি। বিশ্ব বিখ্যাত ইসলামিক পন্ডিত জালাল উদ্দিন রুমির (রঃ) ইসলামের বিষয় উপর লেখা বই পড়ে খুব ভালো লাগে। তার লেখা অনেক গুলো বই আমি পড়েছি। তারপর আমি হ্যালো ডাক্তার নামে একটি বই কিনে নিলাম বইটির লেখক শামীম হাসান। আসলে অনেক গুলো স্টল দেখতে দেখতে বেশ কান্ত হয়ে গেলাম। তারপর আমি বইয়ের স্টলের পাশে খাবার দোকান থেকে একটি ঠান্ডা লাচ্ছি খেয়ে নিলাম। আবার এসে পড়লাম বইয়ের স্টলে । অনেক রকমের বই দেখে সত্যি বেশ ভালো লাগলো। আসলে কোনটা রেখে কোনটা দেখবো আর কোনটা কিনবো তা ওই মুহূর্তে ঠিক করে নেওয়াটা কঠিন ব্যাপার ছিলো।
আসলে এতো রকমের বই দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো। বেশ উৎসব মুখর পরিবেশ চারদিকে বিরাজ করছে। বই উৎসবে কাটানো মুহূর্ত সত্যি বেশ দারুন ছিলো। বিশেষ করে ঘুরে ঘুরে বই দেখার আনন্দটাই অন্যরকম ছিলো। অনেক গুলো বইয়ের মাঝে কয়েকটি বই কিনতে পেরে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। নিজের কিছু প্রিয় বই নিয়েছি।
পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।
এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি এই ধরনের কবিতা আরো উপস্থাপন করবো, ইনশাআল্লাহ।
অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো।
আমার পরিচিতি
আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমরা গতকাল আপনার পোস্টের মাধ্যমে চট্টগ্রামে বই উৎসবে কাটানো কিছু মুহূর্ত আমরা উপভোগ করার সুযোগ পেয়েছি। আপনি আজকে চট্টগ্রামে বই উৎসবে কাটানো কিছু মুহূর্তের শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন। আসলে বই উৎসব কিংবা বই মেলায় ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগে আমার। আপনি চট্টগ্রামে বই উৎসবে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন।
বই উৎসবে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত কিন্তু আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন ভাইজান। বেশি ভালো লাগলো আপনার অসাধারণ এই মুহূর্তের অনুভূতি প্রকাশ করতে দেখে। আসলে বই পড়ার মজাটাই আলাদা। তাই কোন বই পড়তে পড়তে যদি বাদ পড়ে যায় অবশ্যই সেটার প্রতি আরো আকর্ষণ বেড়ে যায়। আর সেই কারণে হয়তো আপনি কিনে নিয়েছেন।
https://twitter.com/MdAgim17/status/1775933416254628061?t=Y2ZDpzEXPgsC9ofVPTDqQg&s=19
চট্টগ্রাম বই উৎসবের আপনার কাটানো মুহূর্তের প্রথম পর্ব আমি দেখেছিলাম। আজকে শেষ পর্ব ভালো লাগলো। বেশ কয়েকটি বই কিনেছেন আপনি এই বই উৎসব থেকে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা আমিও ভীষণ পছন্দ করি। তার একটি উপন্যাসের বই কিনেছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চট্টগ্রামে সুন্দর্যময় এই বই উৎসবে আপনি ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছিলেন৷ যা খুবই ভালো লেগেছে৷ আজকে এর শেষ পর্বের মাধ্যমে আপনি খুব সুন্দর ভাবে অনেক গুলো বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন৷ সুন্দর সুন্দর বিষয়গুলো আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ খুব ভালোভাবে আপনি এই স্থানের যা কিছু ছিল তা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ একইসাথে খুব সুন্দর কিছু বর্ণনা দিয়েছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷