ঢাকা যাওয়ার অনুভূতির/ শেষ পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগlast year (edited)

বিসমিল্লাহি রহমানের রাহিম

আসসালামু আলাইকুম

শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন ? সৃষ্টিকর্তার কৃপায় আশা করি ভালো আছেন । আমিও সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছি ।

প্রিয় , আমার বাংলা ব্লগ কমিটির সদস্যরা
আপনাদের মাঝে আবার এসে হাজির হলাম।আজ আমি আপনাদের, ঢাকা যাওয়ার অনুভূতির শেষ পর্ব সম্পর্কে বলতে চাই। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনারা আপনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে পুরো পোস্টটি দেখবেন আশা করি।

আসুন শুরু করি

1696177076893.jpg

IMG20230908181246.jpg

আমি আপনাদের মাঝে গত পর্বে ঢাকা যাওয়ার অনুভূতির তৃতীয় পর্ব শেয়ার করেছি। আজ শেষ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যারা আমার পূর্বের পূর্ব গুলো পড়েছে তারা আজকের পর্ব পড়লে নিশ্চয়ই বেশ ভালো লাগবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সন্ধ্যায় বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটানোর পর বাসায় ফিরে এলাম। বাসায় এসে কিছুক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করে তারপরে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম‌। আমার পরিকল্পনা ছিলো আমি সকাল বেলা বাড়িতে রওনা দিবো। কিন্তু মামা আমাকে সকালে আসতে নিষেধ করলো। কারণ সে বলতেছে দুপুরে আমার সাথে খাওয়া খাবে এরপরে বিকেলে আমি যেন বাড়িতে চলে যাই । মামা যেহেতু বলছে তার কথা রাখতে হবে। তার কথা রাখতে গিয়ে আমি বিকেলে বাড়িতে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।

IMG20230908181316.jpg

IMG20230908181324.jpg

সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হলাম। তারপর নাস্তা করে কিছুক্ষণ বাইরে ঘুরতে গেলাম। আমার এক বন্ধু শাহবাগ এলাকায় থাকে। তার সাথে দেখা করবো তাই একটি লোকাল বাসে উঠলাম। কিন্তু ফার্মগেট এলাকায় যে যানজট সৃষ্টি হলো এতে করে সময় মত যেতে পারে নি তার কাছে। আসলে আমার মনে হয় না ঢাকা শহরের যানজট কখনো নিরসন হবে। ফার্মগেট থেকে শাহাবাগ যেতে সময় লাগে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট‌। কিন্তু সে জায়গায় জ্যামের মধ্যে থাকতে থাকতে ৩৫ মিনিট উপরে সময় চলে যায়। অবশেষে তার সাথে দেখা করতে পেরেছি। আমার সাথে দেখা করে তার অফিসে যাওয়ার কথা ছিলো ।

IMG20230908181329.jpg

IMG20230908181533.jpg

কিন্তু আমি যানজটের মধ্যে পড়ে যাওয়ার কারণে তার সাথে দেখা করতে দেরি হওয়ায় তার অফিসে যাওয়া হলো না। আসলে ঢাকা শহরে যানজটের কারণে মানুষের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। সাথে করে মোবাইল না নেওয়ার কারণে ফটোগ্রাফি করা হলো না। আরো কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার কথা ছিলো কিন্তু যানজটের কারণে কোথায় যাওয়া হলো না আমার। অবশেষে বাসায় ফিরে এলাম। বাসায় এসে সকালের সাথে বেশ সুন্দর ভাবে খাওয়া-দাওয়া মুহূর্ত পার করেছিলাম । আসলে আবার কখন ঢাকাতে আসবো জানি না তবে এই মুহূর্ত গুলো স্মৃতির পাতায় থেকে যাবে সারা জীবন‌। মামা-মামী মামাতো ভাই সবাই মিলে গল্প করলাম।

IMG20230908181536.jpg

IMG20230908181636.jpg

অনেক ধরনের খাবার তৈরি করলো মাছ মাংস ডিম পোলাও। তাছাড়া পুরান ঢাকার আরো তিন-চার ধরনের খাবার তৈরি করলো আমার জন্য। আমিও তাদের বাসায় অনেক দিন পরে গিয়েছি আবার কখন যাবো তা নিয়ে সন্ধিহান এই কারণে দুপুরের খাওয়ার সময় সবাই আমাকে জোর করে করে খাবার দিচ্ছে। আসলে তাদের ভালোবাসা কখনো ভুলে যাওয়ার মতোন নয়। মামি আমাকে বলতেছে আর কখন আসবি জানি না ভালো করে খেয়ে যা। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করলাম। তারপর বাড়িতে আসার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করলাম।

IMG20230908181658.jpg

IMG20230908182852.jpg

সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে সবাই থেকে বিদায় নিয়ে বাস কাউন্টারে চলে আসলাম। আসলে সবার সাথে বিদায়ের মুহূর্ত গুলো খুব কষ্ট ছিলো । তারা কোন ভাবেই আমাকে আসতে দিচ্ছে না কিন্তু কি করার প্রকৃতির নিয়মে আমাকে যে বাড়িতে আসতে হবে। সবাই বেশ আপ্লুত হয়ে গেলো সত্যি কথা বলতে আমাকে তারা বেশি ভালোবাসে আর তাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা অধিক। তাদের ছেড়ে আমারও আসতে মন চাইছে না। তারপরেও চোখের কোণে জল রেখে হাসিমুখে বিদায় নিলাম। ভালোবাসা আবেগের এবং সম্পর্কের টানে বিদায়ের শেষ লগ্নে ফিরে ফিরে তাদের দিকে তাকাচ্ছি। কে কখন এই পৃথিবী থেকে চলে যায় তার তো কোনো সময় নেই। বেঁচে থাকলে আবার সবার সাথে সবার দেখা হবে।

IMG20230908181751.jpg

ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে ঢাকা শহরকে বিদায় জানিয়ে বাসে উঠে পড়লাম। জানালার পাশে বসে ঢাকা শহরের দৃশ্য গুলো দেখছি। গাড়ি দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে গন্তব্যের দিকে। বাইরের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে গেলাম। অবশেষে নিরাপদে বাড়িতে এসে পৌঁছলাম। এবারে ঢাকা যাওয়ার মুহূর্ত গুলো বেশ ভালো ছিল আমার জন্য। এই মুহূর্ত গুলো হৃদয়ের পাতায় থেকে যাবে সারা জীবন‌ বিশেষ করে মামা-মামী মামাতো ভাই সবাই যে ভালোবাসা দেখিয়েছে তা সত্যি ই হৃদয়ের মাঝে রয়ে যাবে স্মৃতির পাতায়।


পোস্টটির কোথায় ভুল ত্রুটি হলে সুন্দর ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন।

এতক্ষণ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টটি শেষ পর্যন্ত দেখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।আপনাদের উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা পেলে আমি অন্য কোন বিষয় উপস্থাপন করবো , ইনশাআল্লাহ।

  • অন্য সময়ে আবার অন্য কোন বিষয় নিয়ে কথা হবে।সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিবেন ।এই আশাবাদ ব্যক্ত করে আপনাদের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।

সবাইকে শুভ রাত্রি
আপনারা সবাই ভালো থাকবেন।
আপনাদের সকলকে আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা 💜💙 এবং অভিনন্দন রইলো ।

আমার পরিচিতি

G0mIPwfurEJVlbirXIKFAUZVIuK.jpg

আমি আওলাদ হোসেন আজিম ।আর আমার ইউজার নাম @ah-agim আমি একজন বাংলাদেশী। মাতৃভাষা বাংলায় বলে পেরে আমি খুব গর্বিত। আমার মনে ভাষা বাংলায় প্রকাশ করতে খুব ভালো লাগে। আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবাসি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সন্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন, মডারেটর সহ সকল সদস্যদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা বিরাজমান। আমি বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে ভালোবাসি। সৃষ্টিকর্তার দেওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে আমার কাছে খুব বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া আমি বিভিন্ন ধরনের কাগজের ( কারুকাজ ) এবং বিভিন্ন রকমের রান্না ( রেসিপি ) করতে পছন্দ করে থাকি। আমি ফটোগ্রাফি করে থাকি। ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে অনেক অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার দেওয়ায় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দৃশ্য সমূহ ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছে ভালো লাগে।


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

♥️ আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ 🖤

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 last year 

আপনার ঢাকা যাওয়ার অনুভূতি শেষ পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। যদিও আমি আপনার প্রথম পর্ব গুলো দেখতে পারি নাই। ঢাকাতে মামার বাসায় যাওয়ার কারণে আপনি শহরটি দেখতে পেলেন এবং আপনার অভিজ্ঞতা হল। যদিও আপনি সকালবেলা বাড়িতে ফিরে আসার জন্য চাইলেন। মামা অনুরোধ করার কারণে দুপুরবেলা থেকে গেলেন। আসার সময় হয়তো আপনার একটু খারাপ লাগবে। কারণ মামা মামি এবং মামাতো ভাই সবাই আপনাকে অনেক আন্তরিকতা দেখালো। এবং ঢাকা বেড়ানোর এই অনুভূতি আপনার অনেকদিন মনে থাকবে। যাই হোক পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপনার মূল্যবান সময় ব্যয় করে এত চমৎকার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

ভাইয়া আপনার প্রথম পর্বগুলো আমি পড়ি নাই আজকে শেষ পর্বটি পড়েছি। যাইহোক মামা মামী এবং মামাতো ভাই সবাই আপনাকে অনেক আপ্যায়ন করেছে। যদিও আপনি রাত্রে চিন্তা করেছেন সকালবেলা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিবেন। মামা বিকেল বেলা বলার কারনে আরো একটি বেলা তাদের কাছে রয়ে গেলেন। তবে ঢাকাতে মামার বাসায় বেড়াতে গিয়ে খুব মজা করেছেন। এবং এই অনুভূতি অনেক দিন পর্যন্ত আপনার মনে থাকবে। আপনার অনুভূতিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.15
JST 0.030
BTC 65628.71
ETH 2669.64
USDT 1.00
SBD 2.86